মা-বাবা-বোনকে হত্যা : সেই মেহজাবিন আরেকটি হত্যা মামলার আসামি

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট : ০১:৪৫:৩৮ অপরাহ্ন, রবিবার, ২০ জুন ২০২১
  • / 219
::নিজস্ব প্রতিবেদক::

রাজধানীর কদমতলীতে বাবা-মা ও মেয়ের মরদেহ উদ্ধার হওয়ার ঘটনায় মামলার আসামি মেহজাবিন মুন আরও একটি হত্যা মামলার আসামী। ২০১৬ সালের দক্ষিণ কেরানীগঞ্জে দায়ের হয় ওই হত্যা মামলাটি।বর্তমানে তিনি ওই মামলায় জামিনে রয়েছেন। এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন কদমতলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জামাল উদ্দিন মীর।

রোববার দুপুরে গণমাধ্যমকে তিনি জানান, ২০১৬ সালে দক্ষিণ কেরানীগঞ্জে এক ব্যক্তিকে হত্যার ঘটনায় মুন তার মা নিহত মৌসুমী ইসলাম ও আরেক খালার বিরুদ্ধে ওই সময় একটি হত্যা মামলা হয়। ওই মামলায় তারা জামিনে ছিলেন। দক্ষিণ কেরানীগঞ্জে যে ব্যক্তিকে হত্যা করা হয়েছিল, সেই ব্যক্তির সঙ্গে মুনের মায়ের পরিচয় ছিল। এই পরিচয়ের সূত্র ধরে ওই সময়ে হত্যাকাণ্ডের ঘটনাটি ঘটে।

কদমতলী থানার ওসি জামাল উদ্দিন মীর বলেন, বাবা-মা ও বোনকে হত্যার অভিযোগে মেহেজাবিন ও তার স্বামী শফিকুলের নামে হত্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে। ঘটনাস্থল থেকে আটক মেহেজাবিনকে এই মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। মামলার অপর আসামি শফিকুল ইসলাম এখন মিটফোর্ড হাসপাতালে পুলিশি হেফাজতে চিকিৎসাধীন।

এরআগে শনিবার সকালে মেহজাবিন মুন ৯৯৯-এ ফোন দিয়ে বলেন, মা-বাবা ও ছোট বোনকে হত্যা করেছি। আপনারা আসেন। এসে আমাকে ধরে নিয়ে যান। খবর পেয়ে রাজধানীর কদমতলীর মুরাদপুর এলাকার একটি বাসা থেকে বাবা-মা ও মেয়ের মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। নিহতরা হলেন- মাসুদ রানা (৫০), তার স্ত্রী মৌসুমী ইসলাম (৪০) ও মেয়ে জান্নাতুল (২০)।

মেহজাবিন মুনকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিশ। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে, মুন নিজেই এই হত্যাকাণ্ডের দায় স্বীকার করেছেন। মেহজাবিন মুনকে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের বরাতে পুলিশ জানায়, শুক্রবার (১৮ জুন) দিনগত রাতের কোনো এক সময় খাবারের সঙ্গে পরিবারের সবাইকে ঘুমের ওষুধ খাওয়ান মুন। মাত্রাতিরিক্ত ঘুমের ওষুধে সবাইকে অচেতন করে বাবা-মা ও বোনের হাত-পা বাঁধা হয়। এরপর শ্বাসরোধ করে তাদের মৃত্যু নিশ্চিত করেন মুন।

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্যাগস :

মা-বাবা-বোনকে হত্যা : সেই মেহজাবিন আরেকটি হত্যা মামলার আসামি

আপডেট : ০১:৪৫:৩৮ অপরাহ্ন, রবিবার, ২০ জুন ২০২১
::নিজস্ব প্রতিবেদক::

রাজধানীর কদমতলীতে বাবা-মা ও মেয়ের মরদেহ উদ্ধার হওয়ার ঘটনায় মামলার আসামি মেহজাবিন মুন আরও একটি হত্যা মামলার আসামী। ২০১৬ সালের দক্ষিণ কেরানীগঞ্জে দায়ের হয় ওই হত্যা মামলাটি।বর্তমানে তিনি ওই মামলায় জামিনে রয়েছেন। এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন কদমতলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জামাল উদ্দিন মীর।

রোববার দুপুরে গণমাধ্যমকে তিনি জানান, ২০১৬ সালে দক্ষিণ কেরানীগঞ্জে এক ব্যক্তিকে হত্যার ঘটনায় মুন তার মা নিহত মৌসুমী ইসলাম ও আরেক খালার বিরুদ্ধে ওই সময় একটি হত্যা মামলা হয়। ওই মামলায় তারা জামিনে ছিলেন। দক্ষিণ কেরানীগঞ্জে যে ব্যক্তিকে হত্যা করা হয়েছিল, সেই ব্যক্তির সঙ্গে মুনের মায়ের পরিচয় ছিল। এই পরিচয়ের সূত্র ধরে ওই সময়ে হত্যাকাণ্ডের ঘটনাটি ঘটে।

কদমতলী থানার ওসি জামাল উদ্দিন মীর বলেন, বাবা-মা ও বোনকে হত্যার অভিযোগে মেহেজাবিন ও তার স্বামী শফিকুলের নামে হত্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে। ঘটনাস্থল থেকে আটক মেহেজাবিনকে এই মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। মামলার অপর আসামি শফিকুল ইসলাম এখন মিটফোর্ড হাসপাতালে পুলিশি হেফাজতে চিকিৎসাধীন।

এরআগে শনিবার সকালে মেহজাবিন মুন ৯৯৯-এ ফোন দিয়ে বলেন, মা-বাবা ও ছোট বোনকে হত্যা করেছি। আপনারা আসেন। এসে আমাকে ধরে নিয়ে যান। খবর পেয়ে রাজধানীর কদমতলীর মুরাদপুর এলাকার একটি বাসা থেকে বাবা-মা ও মেয়ের মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। নিহতরা হলেন- মাসুদ রানা (৫০), তার স্ত্রী মৌসুমী ইসলাম (৪০) ও মেয়ে জান্নাতুল (২০)।

মেহজাবিন মুনকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিশ। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে, মুন নিজেই এই হত্যাকাণ্ডের দায় স্বীকার করেছেন। মেহজাবিন মুনকে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের বরাতে পুলিশ জানায়, শুক্রবার (১৮ জুন) দিনগত রাতের কোনো এক সময় খাবারের সঙ্গে পরিবারের সবাইকে ঘুমের ওষুধ খাওয়ান মুন। মাত্রাতিরিক্ত ঘুমের ওষুধে সবাইকে অচেতন করে বাবা-মা ও বোনের হাত-পা বাঁধা হয়। এরপর শ্বাসরোধ করে তাদের মৃত্যু নিশ্চিত করেন মুন।