পরীমনিসহ ১৫ মামলার তদন্ত শেষ পর্যায়ে

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট : ০২:২৪:৫০ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৪ অগাস্ট ২০২১
  • / 193

ছবি সংগৃহীত

::নিজস্ব প্রতিবেদক::

বর্তমান সময়ের আলোচিত নায়িকা পরীমনি, হেলেনা জাহাঙ্গীরসহ বেশ কয়েকজনের নামে দায়ের হওয়া ১৫ মামলার তদন্ত সিআইডির হাতে রয়েছে বলে জানিয়েছেন পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) অতিরিক্ত মহাপরিদর্শক ব্যারিস্টার মাহবুবুর রহমান।

তিনি বলেন, এসব মামলার তদন্ত কাজ প্রায় শেষ পর্যায়ে। আসামি ও স্বাক্ষীদের জিজ্ঞাসাবাদও শেষ পর্যায়ে। ফরেনসিক রিপোর্ট হাতে পেলে আগামী ১ থেকে দেড় মাসের মধ্যে পুলিশি প্রতিবেদন জমা দেয়া হবে।

মঙ্গলবার দুপুরে মালিবাগে সিআইডির প্রধান কার্যালয়ে সাংবাদিকদের এসব কথা জানান সিআইডি প্রধান।

তিনি বলেন, অভিযুক্তরা ছাড়াও তদন্ত সংশ্লিষ্ট প্রয়োজনে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য যাদের-যাদের ডাকার প্রয়োজন তাদের আমরা ডেকেছি, আমরা কথা বলেছি। আপাতত আর কাউকে ডাকার পরিকল্পনা নেই।

এক প্রশ্নের জবাবে সিআইডি প্রধান বলেন, আর্থিক অপরাধের বিষয়ে তদন্তে যাদের নাম এসেছে তাদের বিষয়ে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কাছে আমরা তথ্য চেয়েছি। তবে তদন্তের প্রয়োজনে আমরা এখনই সব বলতে চাচ্ছিনা।

পরীমনিকে একাধিকবার রিমান্ডে নেয়ার বিষয়ে সিআইডি প্রধান বলেন, প্রথমবার আমরা তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করিনি। দিতীয় দফায় জিজ্ঞাসাবাদ করেছি। পরে কিন্তু তাকে আর রিমান্ড চাওয়া হয়নি। তবে জিজ্ঞাসাবাদে পাওয়া কিছু তথ্য মেলানোর প্রয়োজন ছিল। এরই পরিপ্রেক্ষিতে আমরা তাকে আবারও রিমান্ডে চাই। সিআইডি তদন্ত প্রতিবেদন দেয়ার বিষয়ে ভুলের ঊর্ধ্বে থাকতে চায়। তাই তদন্তের প্রয়োজনেই সব করা হচ্ছে।

মাদক মামলায় গ্রেপ্তার পরীমনি ও পিয়াসাদের বাসায় মাদক মজুদ ও মাদক সংগ্রহ করার ব্যাপারে কী ধরনের তথ্য পেয়েছে সিআইডি এমন প্রশ্নের জবাবে অতিরিক্ত আইজিপি বলেন, মাদক মামলার আলামত তো পজেশনেই পাওয়া গেছে। সেগুলো আদৌ মাদক কিনা তা জানতে ক্যামিকেল ও ফরেনসিক পরীক্ষা করা হচ্ছে।

জব্দ মাদকের উৎস কী ছিলো সেই বিষয়ে কোন তথ্য জানা গেছে কিনা, এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, অনেকেই অনেক রকম তথ্য দিয়েছেন। কেউ বলেছেন বিদেশ থেকে নিয়ে এসেছেন, কেউ বলেছেন বিমানবন্দর থেকে কিনেছেন, কেউ নানা উপায়ে সংগ্রহ করেছেন। যেখান থেকেই সংগ্রহ করা হোক না কেন, এসব মাদক অনুনোমোদিত উপায়ে সংগ্রহে রাখা বা মজুদ রাখা আইনত অপরাধ।

অভিনেত্রী পরীমনি, পরিচালক-প্রযোজক নজরুল ইসলাম রাজ, মডেল পিয়াসা ফারিয়া মাহবুব পিয়াসা ও ব্যবসায়ী হেলেনা জাহাঙ্গীরের ১৫টি মামলার তদন্ত প্রতিবেদন গুছিয়ে আনছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিষয়ক সংস্থা সিআইডি। এছাড়াও এ ১৫ মামলার কোনোটি ফিন্যানসিয়াল ক্রাইমের সঙ্গে যুক্ত কিনা তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলেও জানান সিআইডি প্রধান।

প্রসঙ্গত, গত ৪ আগস্ট বনানীর বাসা থেকে চিত্রনায়িকা পরীমনিকে বিপুল পরিমাণ মাদকসহ আটক করে র‌্যাব। এর আগে ও পরে অপর আসামিদের গ্রেপ্তার করে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। তাদের বিরুদ্ধে গুলশান-বনানী, এয়ারপোর্ট থানায় মাদক, সন্ত্রাস, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন ও বিশেষ ক্ষমতা আইনে পৃথক মামলা দায়ের করা হয়। মামলার তদন্ত এক পর্যায়ে সিআইডির কাছে হস্তান্তর করা হয়।

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্যাগস :

পরীমনিসহ ১৫ মামলার তদন্ত শেষ পর্যায়ে

আপডেট : ০২:২৪:৫০ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৪ অগাস্ট ২০২১
::নিজস্ব প্রতিবেদক::

বর্তমান সময়ের আলোচিত নায়িকা পরীমনি, হেলেনা জাহাঙ্গীরসহ বেশ কয়েকজনের নামে দায়ের হওয়া ১৫ মামলার তদন্ত সিআইডির হাতে রয়েছে বলে জানিয়েছেন পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) অতিরিক্ত মহাপরিদর্শক ব্যারিস্টার মাহবুবুর রহমান।

তিনি বলেন, এসব মামলার তদন্ত কাজ প্রায় শেষ পর্যায়ে। আসামি ও স্বাক্ষীদের জিজ্ঞাসাবাদও শেষ পর্যায়ে। ফরেনসিক রিপোর্ট হাতে পেলে আগামী ১ থেকে দেড় মাসের মধ্যে পুলিশি প্রতিবেদন জমা দেয়া হবে।

মঙ্গলবার দুপুরে মালিবাগে সিআইডির প্রধান কার্যালয়ে সাংবাদিকদের এসব কথা জানান সিআইডি প্রধান।

তিনি বলেন, অভিযুক্তরা ছাড়াও তদন্ত সংশ্লিষ্ট প্রয়োজনে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য যাদের-যাদের ডাকার প্রয়োজন তাদের আমরা ডেকেছি, আমরা কথা বলেছি। আপাতত আর কাউকে ডাকার পরিকল্পনা নেই।

এক প্রশ্নের জবাবে সিআইডি প্রধান বলেন, আর্থিক অপরাধের বিষয়ে তদন্তে যাদের নাম এসেছে তাদের বিষয়ে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কাছে আমরা তথ্য চেয়েছি। তবে তদন্তের প্রয়োজনে আমরা এখনই সব বলতে চাচ্ছিনা।

পরীমনিকে একাধিকবার রিমান্ডে নেয়ার বিষয়ে সিআইডি প্রধান বলেন, প্রথমবার আমরা তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করিনি। দিতীয় দফায় জিজ্ঞাসাবাদ করেছি। পরে কিন্তু তাকে আর রিমান্ড চাওয়া হয়নি। তবে জিজ্ঞাসাবাদে পাওয়া কিছু তথ্য মেলানোর প্রয়োজন ছিল। এরই পরিপ্রেক্ষিতে আমরা তাকে আবারও রিমান্ডে চাই। সিআইডি তদন্ত প্রতিবেদন দেয়ার বিষয়ে ভুলের ঊর্ধ্বে থাকতে চায়। তাই তদন্তের প্রয়োজনেই সব করা হচ্ছে।

মাদক মামলায় গ্রেপ্তার পরীমনি ও পিয়াসাদের বাসায় মাদক মজুদ ও মাদক সংগ্রহ করার ব্যাপারে কী ধরনের তথ্য পেয়েছে সিআইডি এমন প্রশ্নের জবাবে অতিরিক্ত আইজিপি বলেন, মাদক মামলার আলামত তো পজেশনেই পাওয়া গেছে। সেগুলো আদৌ মাদক কিনা তা জানতে ক্যামিকেল ও ফরেনসিক পরীক্ষা করা হচ্ছে।

জব্দ মাদকের উৎস কী ছিলো সেই বিষয়ে কোন তথ্য জানা গেছে কিনা, এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, অনেকেই অনেক রকম তথ্য দিয়েছেন। কেউ বলেছেন বিদেশ থেকে নিয়ে এসেছেন, কেউ বলেছেন বিমানবন্দর থেকে কিনেছেন, কেউ নানা উপায়ে সংগ্রহ করেছেন। যেখান থেকেই সংগ্রহ করা হোক না কেন, এসব মাদক অনুনোমোদিত উপায়ে সংগ্রহে রাখা বা মজুদ রাখা আইনত অপরাধ।

অভিনেত্রী পরীমনি, পরিচালক-প্রযোজক নজরুল ইসলাম রাজ, মডেল পিয়াসা ফারিয়া মাহবুব পিয়াসা ও ব্যবসায়ী হেলেনা জাহাঙ্গীরের ১৫টি মামলার তদন্ত প্রতিবেদন গুছিয়ে আনছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিষয়ক সংস্থা সিআইডি। এছাড়াও এ ১৫ মামলার কোনোটি ফিন্যানসিয়াল ক্রাইমের সঙ্গে যুক্ত কিনা তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলেও জানান সিআইডি প্রধান।

প্রসঙ্গত, গত ৪ আগস্ট বনানীর বাসা থেকে চিত্রনায়িকা পরীমনিকে বিপুল পরিমাণ মাদকসহ আটক করে র‌্যাব। এর আগে ও পরে অপর আসামিদের গ্রেপ্তার করে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। তাদের বিরুদ্ধে গুলশান-বনানী, এয়ারপোর্ট থানায় মাদক, সন্ত্রাস, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন ও বিশেষ ক্ষমতা আইনে পৃথক মামলা দায়ের করা হয়। মামলার তদন্ত এক পর্যায়ে সিআইডির কাছে হস্তান্তর করা হয়।