কাঠগড়ায় ওসি প্রদীপের ফোনালাপ, ৩ পুলিশ প্রত্যাহার

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট : ০১:২৭:৫৫ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৫ অগাস্ট ২০২১
  • / 193
আদালতের কাঠগড়ায় বসে মুঠোফোনে কথা বলেছেন কক্সবাজারের টেকনাফ থানার বরখাস্ত হওয়া ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ও আলোচিত সিনহা হত্যা মামলার প্রধান আসামি প্রদীপ কুমার দাশ। এমন একটি ছবি নেট দুনিয়ায় ছড়িয়ে পড়ায় দেশজুড়ে শুরু হয় তোলপাড়। এ ঘটনায় আদালতে দায়িত্ব অবহেলার কারণে তিন পুলিশ সদস্যকে প্রত্যাহার করা হয়েছে।

বুধবার সকালে কক্সবাজারের পুলিশ সুপার (এসপি) মো. হাসানুজ্জামান বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, তিন পুলিশ সদস্যকে প্রত্যাহার করে পুলিশ লাইন্সে সংযুক্ত করা হয়েছে। এ ঘটনায় একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হবে।

উল্লেখ্য, সোমবার কক্সবাজার জেলা ও দায়রা জজ আদালতে সাক্ষ্য দিচ্ছিলেন মামলার বাদী শারমিন শাহরিয়া ফেরদৌস। বিচারের কাঠগড়ায় দাঁড়িয়ে তখন ১৫ আসামি। ভাইরাল হওয়া ছবিতে দেখা যায় কাঠগড়ায় হাটু গেড়ে বসা অবস্থায় ফোনে কথা বলছিলেন প্রদীপ।

প্রদীপের ফোনে কথা বলার যে ছবি ছড়িয়ে পড়েছে তাতে দেখা যাচ্ছে, আদালত কক্ষের কাঠগড়ার ভেতরে হাঁটু গেড়ে বসে আছেন প্রদীপ। হাতে থাকা ফোনে কারো সঙ্গে তিনি কথা বলছেন। ঘটনার সময় কয়েকজন ব্যক্তি তার পাশে দাঁড়িয়ে ছিলেন। প্রদীপ কালো রঙের জামা পরে ছিলেন।

ওই ছবি সম্পর্কে রাষ্ট্রপক্ষের কৌঁসুলি (পিপি) ফরিদুল আলম গণমাধ্যমকে বলেন, মুঠোফোনে কথা বলার ছবিটি মঙ্গলবারের নয়। সোমবারের হতে পারে। তিনি কার সঙ্গে কথা বলেছেন, তা অনুসন্ধান করা জরুরি।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, সোমবার কাঠগড়ায় প্রদীপ খালি পায়ে ছিলেন। স্যান্ডেল বাইরে রেখে এসেছিলেন। কয়েক মিনিট কথা বলেন তিনি। এরপর ফোন রেখে দাঁড়িয়ে যান। ২টা ১০ মিনিটে মধ্যাহ্নভোজের বিরতি দিলে সবাই স্বাভাবিকভাবে এজলাস থেকে বেরিয়ে আসেন। ঘণ্টাখানেক পর আবারো সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু হয়। তবে তখন প্রদীপের হাতে মোবাইল ফোন দেখা যায়নি।

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্যাগস :

কাঠগড়ায় ওসি প্রদীপের ফোনালাপ, ৩ পুলিশ প্রত্যাহার

আপডেট : ০১:২৭:৫৫ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৫ অগাস্ট ২০২১
আদালতের কাঠগড়ায় বসে মুঠোফোনে কথা বলেছেন কক্সবাজারের টেকনাফ থানার বরখাস্ত হওয়া ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ও আলোচিত সিনহা হত্যা মামলার প্রধান আসামি প্রদীপ কুমার দাশ। এমন একটি ছবি নেট দুনিয়ায় ছড়িয়ে পড়ায় দেশজুড়ে শুরু হয় তোলপাড়। এ ঘটনায় আদালতে দায়িত্ব অবহেলার কারণে তিন পুলিশ সদস্যকে প্রত্যাহার করা হয়েছে।

বুধবার সকালে কক্সবাজারের পুলিশ সুপার (এসপি) মো. হাসানুজ্জামান বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, তিন পুলিশ সদস্যকে প্রত্যাহার করে পুলিশ লাইন্সে সংযুক্ত করা হয়েছে। এ ঘটনায় একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হবে।

উল্লেখ্য, সোমবার কক্সবাজার জেলা ও দায়রা জজ আদালতে সাক্ষ্য দিচ্ছিলেন মামলার বাদী শারমিন শাহরিয়া ফেরদৌস। বিচারের কাঠগড়ায় দাঁড়িয়ে তখন ১৫ আসামি। ভাইরাল হওয়া ছবিতে দেখা যায় কাঠগড়ায় হাটু গেড়ে বসা অবস্থায় ফোনে কথা বলছিলেন প্রদীপ।

প্রদীপের ফোনে কথা বলার যে ছবি ছড়িয়ে পড়েছে তাতে দেখা যাচ্ছে, আদালত কক্ষের কাঠগড়ার ভেতরে হাঁটু গেড়ে বসে আছেন প্রদীপ। হাতে থাকা ফোনে কারো সঙ্গে তিনি কথা বলছেন। ঘটনার সময় কয়েকজন ব্যক্তি তার পাশে দাঁড়িয়ে ছিলেন। প্রদীপ কালো রঙের জামা পরে ছিলেন।

ওই ছবি সম্পর্কে রাষ্ট্রপক্ষের কৌঁসুলি (পিপি) ফরিদুল আলম গণমাধ্যমকে বলেন, মুঠোফোনে কথা বলার ছবিটি মঙ্গলবারের নয়। সোমবারের হতে পারে। তিনি কার সঙ্গে কথা বলেছেন, তা অনুসন্ধান করা জরুরি।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, সোমবার কাঠগড়ায় প্রদীপ খালি পায়ে ছিলেন। স্যান্ডেল বাইরে রেখে এসেছিলেন। কয়েক মিনিট কথা বলেন তিনি। এরপর ফোন রেখে দাঁড়িয়ে যান। ২টা ১০ মিনিটে মধ্যাহ্নভোজের বিরতি দিলে সবাই স্বাভাবিকভাবে এজলাস থেকে বেরিয়ে আসেন। ঘণ্টাখানেক পর আবারো সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু হয়। তবে তখন প্রদীপের হাতে মোবাইল ফোন দেখা যায়নি।