টিকা পেতে জবি শিক্ষার্থীদের আবেদন শুরু
- আপডেট : ০৮:৪৪:৫৫ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ৪ জুন ২০২১
- / 457
::জবি সংবাদদাতা::
করোনাভাইরাসের টিকা নিশ্চিত করতে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) শিক্ষার্থী ও গবেষকদের জাতীয় পরিচয়পত্রসহ অন্যান্য তথ্যাদি প্রেরণের জন্য আহ্বান জানিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।
গতকাল বৃহস্পতিবার (৩ জুন) বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার প্রকৌশলী মো. ওহিদুজ্জামান সাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়নরত সকল স্নাতক ও স্নাতকোত্তর শিক্ষার্থী এবং এমফিল ও পিএইচডি গবেষকবৃন্দকে কোভিড-১৯ ভ্যাকসিন প্রদানের লক্ষ্যে তাদের তালিকা স্বাস্থ্য অধিদপ্তরে প্রেরণের জন্য জাতীয় পরিচয়পত্র (NID) ধারী শিক্ষার্থী ও গবেষককে ইংরেজি ক্যাপিটাল লেটারে জরুরী ভিত্তিতে আগামী ১০ জুনের মধ্যে www.jnu.ac.bd/vfc19 এই লিংকে তথ্যাদি প্রদানের জন্য অনুরোধ করা হলো। তথ্য প্রদানের লিংক। পরবর্তীতে শিক্ষার্থী ও গবেষকদের করনীয় সম্পর্কে বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে জানিয়ে দেওয়া হবে বলেও এতে জানানো হয়েছে।
তবে যে সকল শিক্ষার্থীর এখনো জাতীয় পরিচয়পত্র নেই তারা কিভাবে টিকা পাবে? এমন প্রশ্নের জবাবে রেজিস্ট্রার প্রকৌশলী মো. ওহিদুজ্জামান বলেন, যাদের জাতীয় পরিচয়পত্র নেই, তারা এখন আবেদন করার প্রয়োজন নেই। পরবর্তীতে স্টুডেন্ট আইডি অথবা জন্মনিবন্ধন সনদ দিয়ে স্পেশালি ব্যবস্থা করা যায় কিনা সে ব্যাপারে ইউজিসির সাথে যোগাযোগ চলছে। ইউজিসি থেকে নির্দেশনা পেলে আমরা সেভাবে ব্যবস্থা নিবো।
বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনের সচিব ফেরদৌস জামান বলেন, শিক্ষার্থীদের বৃহৎ একটি অংশ জাতীয় পরিচয়পত্র পায়নি। তাদের কথা চিন্তা করে একটা আলাদা এপস তৈরি করা হচ্ছে। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের প্রত্যয়নের ভিত্তিতে তাদের জন্যও টিকার ব্যবস্থা করা হবে। সরকার থেকেও শিক্ষার্থীদের অগ্রাধিকার ভিত্তিতে টিকা প্রদানের নির্দেশনা দেয়া আছে। বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এরকম শিক্ষার্থীদের একটা তালিকা দেয়া হলে আমরা ওই শিক্ষার্থীদের টিকার ব্যবস্থা করবো।
বিশ্ববিদ্যালয় এখনই সশরীরে পরীক্ষা নিতে পারবে কিনা? এমন প্রশ্নের জবাবে ফেরদৌস জামান বলেন, স্বাস্থ্যবিধি মেনে যে কোনো বিশ্ববিদ্যালয় চাইলে পরীক্ষা নিতে পারবে। তবে হল খুলতে পারবে না। হল খুলতে হলে টিকা নিশ্চিত করতে হবে। আর ক্লাস-পরীক্ষা নিতে হবে পর্যায়ক্রম ভিত্তিতে। ব্যাচ কিংবা অনুষদভিত্তিক পরীক্ষা নিলে ঝুঁকি কম থাকলো। যে কোনো বিশ্ববিদ্যালয় চাইলেই নিজেদের মধ্যে আলোচনা করে সশরীরে পরীক্ষা নেয়ার সিদ্ধান্ত নিতে পারে।