যত্রতত্র বর্জ্য ফেললে গুণতে হবে জরিমানা

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট : ০৩:১০:৪৩ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২২ জুন ২০২১
  • / 189

মেয়রের সচেতনামূলক প্রচারণায়

::সিলেট প্রতিনিধি::

ছড়া-খাল, ড্রেনে বা যত্রতত্র বাড়ির ময়লা-আবর্জনা ফেলে পানি নিষ্কাশনে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি না করতে নগরবাসীর প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন সিলেট সিটি কর্পোরেশনের (সিসিক) মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী। পাশাপাশি নির্দিষ্ট স্থানের বাইরে বা যত্রতত্র বর্জ্য ফেললে আইন অনুযায়ী জরিমানা করা হবে বলেও নগরবাসীকে সতর্ক করেন তিনি।

মঙ্গলবার দুপুরে নগরীর জল্লারপাড়, জিন্দাবাজার ও বন্দরবাজার এলাকায় বর্জ্য ব্যবস্থাপনা বিষয়ক সচেতনামূলক প্রচারণায় লিফলেট বিতরণকালে তিনি এ আহ্বান জানান এবং নগরবাসীকে সতর্ক করেন।

এ সময় তিনি বলেন, নগরবাসীর সহযোগিতায় সিলেট নগরীকে দূষণমুক্ত হিসেবে গড়ে তুলতে কাজ করছে সিটি কর্পোরেশন। তাই নগরের মাটি, পানি ও পরিবেশ দূষণ রোধে নির্দিষ্ট স্থানে বর্জ্য ফেলার বিকল্প নেই। তিনি নগরবাসীকে নির্ধারিত স্থানে বর্জ্য ফেলার আহ্বান জানান।

সচেতনতামূলক প্রচারণায় উপস্থিত ছিলেন, কাউন্সিলর নজরুল ইসলাম মুনিম, সিলেট সিটি কর্পোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ও সরকারের যুগ্ম সচিব বিধায়ক রায় চৌধুরী, প্রধান প্রকৌশলী মো. নূর আজিজুর রহমান, নির্বাহী প্রকৌশলী মো. আলী আকবর, নির্বাহী প্রকৌশলী মো. শামসুল হক পাঠোয়ারী, প্রশাসনিক কর্মকর্তা মোহাম্মদ হানিফুর রহমান, মেয়রের সহকারী একান্ত সচিব মো. সোহেল আহমদ, সহকারী প্রকৌশলী তানভীর আমহদ তামিম, জনসংযোগ কর্মকর্তা আব্দুল আলিম শাহ প্রমুখ।

প্রচারণায় বলা হয়, ‘যত্রতত্র বর্জ্য বিস্তার পরিবেশকে মারাত্মকভাবে দূষিত করে অর্থাৎ পরিবেশের উপাদান মাটি, পানি ও বাতাস দূষিত করে বর্জ্য নিক্ষিপ্ত স্থানে অসহ্যকর দুর্গন্ধ যুক্ত হওয়ার কারণে পাশ দিয়ে যাতায়াতে পথচারীদের সমস্যা হয়। এ থেকে পোকা-মাকড়, মসা, মাছির উৎপত্তি ঘটে। এসব কীটপতঙ্গ মানুষের সংস্পর্শে এসে মানুষকে নানা রোগে আক্রান্ত করে। আবর্জনা স্থান সংলগ্ন পানি দূষিত হয় এবং নানা ধরনের রোগ জীবাণু ছড়ায়।’

‘শিল্প-কারখানা হাসপাতাল এলাকায়, বিপজ্জনক বর্জ্য জনস্বাস্থ্যের ওপর ক্ষতিকর প্রভাব ফেলে। কঠিন বর্জ্য যত্রতত্র তথা ছড়া/খাল ড্রেনের ফেলার ফলে ড্রেনেজ সিস্টেম বন্ধ হয়ে যায়। ফলে নগরে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়। এতে দূষিত পানি আশপাশের বাড়িঘর, রাস্তাঘাটে ঢুকে জনস্বাস্থ্যের দারুণ ক্ষতি করে। কঠিন বর্জ্যের ‘লিচেট’ ভূগর্ভস্থ পানি এবং ভূপৃষ্ঠস্থ পানি দূষিত করে। হাসপাতাল বর্জ্য (জীবাণু সৃষ্টিকারী বর্জ্য) যত্রতত্র ফেলার কারণে সংক্রামক রোগের সৃষ্টি করে। এছাড়া ব্যাকটেরিয়াবাহিত রোগের বিস্তার ঘটায়।’

এদিকে সচেতনতামূলক প্রচারণাকালে নির্দিষ্ট স্থানের বাইরে বা যত্রতত্র বর্জ্য ফেললে স্থানীয় সরকার সিলেট সিটি কর্পোরেশন আইনে জরিমানা করা হবে বলে নগরবাসীকে সতর্ক করা হয়।

প্রচারণায় (লিফলেটে) বলা হয়, নির্দিষ্ট স্থানের বাইরে বা যত্রতত্র বর্জ্য ফেললে স্থানীয় সরকার সিলেট সিটি কর্পোরেশন আইন-২০০৯ এর পঞ্চম তফসিল বর্ণিত অপরাধসমূহের ১৩ নম্বর ধারা অনুসারে অনধিক পাঁচ হাজার টাকা পর্যন্ত অর্থদণ্ড প্রধান করা হবে। এ অপরাধ যদি অনবরতভাবে ঘটতে থাকে, তাহলে প্রথম দিনের অপরাধের পর পরবর্তী প্রত্যেক দিনের জন্য অপরাধীকে অতিরিক্ত ৫০০ টাকা পর্যন্ত অর্থদণ্ড প্রদান করবে সিটি কর্পোরেশন।

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্যাগস :

যত্রতত্র বর্জ্য ফেললে গুণতে হবে জরিমানা

আপডেট : ০৩:১০:৪৩ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২২ জুন ২০২১
::সিলেট প্রতিনিধি::

ছড়া-খাল, ড্রেনে বা যত্রতত্র বাড়ির ময়লা-আবর্জনা ফেলে পানি নিষ্কাশনে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি না করতে নগরবাসীর প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন সিলেট সিটি কর্পোরেশনের (সিসিক) মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী। পাশাপাশি নির্দিষ্ট স্থানের বাইরে বা যত্রতত্র বর্জ্য ফেললে আইন অনুযায়ী জরিমানা করা হবে বলেও নগরবাসীকে সতর্ক করেন তিনি।

মঙ্গলবার দুপুরে নগরীর জল্লারপাড়, জিন্দাবাজার ও বন্দরবাজার এলাকায় বর্জ্য ব্যবস্থাপনা বিষয়ক সচেতনামূলক প্রচারণায় লিফলেট বিতরণকালে তিনি এ আহ্বান জানান এবং নগরবাসীকে সতর্ক করেন।

এ সময় তিনি বলেন, নগরবাসীর সহযোগিতায় সিলেট নগরীকে দূষণমুক্ত হিসেবে গড়ে তুলতে কাজ করছে সিটি কর্পোরেশন। তাই নগরের মাটি, পানি ও পরিবেশ দূষণ রোধে নির্দিষ্ট স্থানে বর্জ্য ফেলার বিকল্প নেই। তিনি নগরবাসীকে নির্ধারিত স্থানে বর্জ্য ফেলার আহ্বান জানান।

সচেতনতামূলক প্রচারণায় উপস্থিত ছিলেন, কাউন্সিলর নজরুল ইসলাম মুনিম, সিলেট সিটি কর্পোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ও সরকারের যুগ্ম সচিব বিধায়ক রায় চৌধুরী, প্রধান প্রকৌশলী মো. নূর আজিজুর রহমান, নির্বাহী প্রকৌশলী মো. আলী আকবর, নির্বাহী প্রকৌশলী মো. শামসুল হক পাঠোয়ারী, প্রশাসনিক কর্মকর্তা মোহাম্মদ হানিফুর রহমান, মেয়রের সহকারী একান্ত সচিব মো. সোহেল আহমদ, সহকারী প্রকৌশলী তানভীর আমহদ তামিম, জনসংযোগ কর্মকর্তা আব্দুল আলিম শাহ প্রমুখ।

প্রচারণায় বলা হয়, ‘যত্রতত্র বর্জ্য বিস্তার পরিবেশকে মারাত্মকভাবে দূষিত করে অর্থাৎ পরিবেশের উপাদান মাটি, পানি ও বাতাস দূষিত করে বর্জ্য নিক্ষিপ্ত স্থানে অসহ্যকর দুর্গন্ধ যুক্ত হওয়ার কারণে পাশ দিয়ে যাতায়াতে পথচারীদের সমস্যা হয়। এ থেকে পোকা-মাকড়, মসা, মাছির উৎপত্তি ঘটে। এসব কীটপতঙ্গ মানুষের সংস্পর্শে এসে মানুষকে নানা রোগে আক্রান্ত করে। আবর্জনা স্থান সংলগ্ন পানি দূষিত হয় এবং নানা ধরনের রোগ জীবাণু ছড়ায়।’

‘শিল্প-কারখানা হাসপাতাল এলাকায়, বিপজ্জনক বর্জ্য জনস্বাস্থ্যের ওপর ক্ষতিকর প্রভাব ফেলে। কঠিন বর্জ্য যত্রতত্র তথা ছড়া/খাল ড্রেনের ফেলার ফলে ড্রেনেজ সিস্টেম বন্ধ হয়ে যায়। ফলে নগরে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়। এতে দূষিত পানি আশপাশের বাড়িঘর, রাস্তাঘাটে ঢুকে জনস্বাস্থ্যের দারুণ ক্ষতি করে। কঠিন বর্জ্যের ‘লিচেট’ ভূগর্ভস্থ পানি এবং ভূপৃষ্ঠস্থ পানি দূষিত করে। হাসপাতাল বর্জ্য (জীবাণু সৃষ্টিকারী বর্জ্য) যত্রতত্র ফেলার কারণে সংক্রামক রোগের সৃষ্টি করে। এছাড়া ব্যাকটেরিয়াবাহিত রোগের বিস্তার ঘটায়।’

এদিকে সচেতনতামূলক প্রচারণাকালে নির্দিষ্ট স্থানের বাইরে বা যত্রতত্র বর্জ্য ফেললে স্থানীয় সরকার সিলেট সিটি কর্পোরেশন আইনে জরিমানা করা হবে বলে নগরবাসীকে সতর্ক করা হয়।

প্রচারণায় (লিফলেটে) বলা হয়, নির্দিষ্ট স্থানের বাইরে বা যত্রতত্র বর্জ্য ফেললে স্থানীয় সরকার সিলেট সিটি কর্পোরেশন আইন-২০০৯ এর পঞ্চম তফসিল বর্ণিত অপরাধসমূহের ১৩ নম্বর ধারা অনুসারে অনধিক পাঁচ হাজার টাকা পর্যন্ত অর্থদণ্ড প্রধান করা হবে। এ অপরাধ যদি অনবরতভাবে ঘটতে থাকে, তাহলে প্রথম দিনের অপরাধের পর পরবর্তী প্রত্যেক দিনের জন্য অপরাধীকে অতিরিক্ত ৫০০ টাকা পর্যন্ত অর্থদণ্ড প্রদান করবে সিটি কর্পোরেশন।