কারাগারমুক্ত বরিশাল আওয়ামী লীগের ১২ নেতাকর্মী

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট : ০১:১৪:৫৫ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২ সেপ্টেম্বর ২০২১
  • / 134

বরিশাল সদর উপজেলা পরিষদ চত্ত্বরের সহিংসতার ঘটনায় ইউএনও ও পুলিশের মামলায় দ্বিতীয় দফায় কারাগার থেকে মুক্তি পেয়েছেন আওয়ামী লীগের ১২ নেতাকর্মী।

বৃহস্পতিবার বিকেল ৫টায় বরিশাল কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে মুক্তি পান তারা।

কারাফটকে তাদের স্বাগত জানান মহানগর আওয়ামী লীগ সভাপতি একেএম জাহাঙ্গীর এবং সহ-সভাপতি ও সদর উপজেলা চেয়ারম্যান সাইদুর রহমান রিন্টু ও প্যানেল মেয়র-১ গাজী নাঈমুল হোসেন লিটুসহ দলীয় কিছু সংখ্যক নেতাকর্মী।

দুই মামলায় মুক্তিপ্রাপ্তরা হলেন- মহানগর আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক হাসান মাহমুদ বাবু, মো. অলিউল্লাহ, মহানগর আওয়ামী লীগের ত্রাণ ও পুনর্বাসন সম্পাদক মোয়াজ্জেম হোসেন ফিরোজ, লিটন ঘোষ, রাকিবুল ইসলাম রাকিব, শুভ হাওলাদার, শুভ সাহা, সদর উপজেলার কড়াপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আহমেদ শাহরয়ার বাবু, শাহিনুর ইসলাম শাহিন ও হারুনর রশিদ।

পুলিশের মামলায় এই ১০ জন ছাড়াও মহানগর আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও নগরীর ২১ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর শেখ সাইয়্যেদ আহমেদ মান্না এবং মিরাজ গাজী নামে দুইজন কারা মুক্তি পেয়েছেন।

নেতাকর্মীরা মুক্তি পাওয়ায় সন্তোষ প্রকাশ করেন মহানগর আওয়ামী লীগ সভাপতি একেএম জাহাঙ্গীর। তবে নেতাকর্মীরা অন্যায়ভাবে জেল খেটেছে কিনা এমন প্রশ্নের সরাসরি কোনো উত্তর দেননি তিনি।

বৃহস্পতিবার দীর্ঘ শুনানি শেষে ১০ হাজার টাকার বেলবন্ড এবং জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি গোলাম মাসউদ বাবলু ও তালুকার মো. ইউনুসের জিম্মায় তাদের জামিন মঞ্জুর করেন আদালত। দুপুর সোয়া ১টায় অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক মাসুম বিল্লাহ এ আদেশ দেন। আদেশে আরো বলা হয়, দুটি মামলায় পুলিশের রিপোর্ট দেয়া পর্যন্ত তারা জামিনে থাকবে।

চোখে গুলিবিদ্ধ তানভীর হাসান এবং মনিরুজ্জামান মনির গ্রেপ্তার অবস্থায় ঢাকার জাতীয় চক্ষুবিজ্ঞান ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। ওই ২ জন বাদে বরিশাল কারাগারে থাকা ২১ আসামির মধ্যে গত ২৫ আগস্ট ৯ জন এবং সবশেষ আজ আরও ১২ জন নেতাকর্মী মুক্তি পেলেন।

উল্লেখ্য, গত ১৮ আগস্টের ঘটনায় পরদিন ১৯ আগস্ট ইউএনও মুনিবুর রহমান এবং কোতয়ালী মডেল থানার উপ-পরিদর্শক শাহজালাল মল্লিক বাদী হয়ে সিটি মেয়র সেরনিয়াবাত সাদিক আবদুল্লাহ ও সিটি কর্পোরেশনের প্রশাসনিক কর্মকর্তা স্বপন কুমার দাসসহ ১১৪ জনের নামোল্লেখ এবং অজ্ঞাতনামাসহ আওয়ামী লীগের ৬০২ জন নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে পৃথক দুটি মামলা দায়ের করেন।

এ মামলায় পুলিশ মহানগর আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হাসান মাহমুদ বাবুসহ ২৩ জনকে গ্রেপ্তার করে। এদের মধ্যে ২১ জন কারাগার থেকে মুক্ত হয়েছেন।

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্যাগস :

কারাগারমুক্ত বরিশাল আওয়ামী লীগের ১২ নেতাকর্মী

আপডেট : ০১:১৪:৫৫ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২ সেপ্টেম্বর ২০২১

বরিশাল সদর উপজেলা পরিষদ চত্ত্বরের সহিংসতার ঘটনায় ইউএনও ও পুলিশের মামলায় দ্বিতীয় দফায় কারাগার থেকে মুক্তি পেয়েছেন আওয়ামী লীগের ১২ নেতাকর্মী।

বৃহস্পতিবার বিকেল ৫টায় বরিশাল কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে মুক্তি পান তারা।

কারাফটকে তাদের স্বাগত জানান মহানগর আওয়ামী লীগ সভাপতি একেএম জাহাঙ্গীর এবং সহ-সভাপতি ও সদর উপজেলা চেয়ারম্যান সাইদুর রহমান রিন্টু ও প্যানেল মেয়র-১ গাজী নাঈমুল হোসেন লিটুসহ দলীয় কিছু সংখ্যক নেতাকর্মী।

দুই মামলায় মুক্তিপ্রাপ্তরা হলেন- মহানগর আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক হাসান মাহমুদ বাবু, মো. অলিউল্লাহ, মহানগর আওয়ামী লীগের ত্রাণ ও পুনর্বাসন সম্পাদক মোয়াজ্জেম হোসেন ফিরোজ, লিটন ঘোষ, রাকিবুল ইসলাম রাকিব, শুভ হাওলাদার, শুভ সাহা, সদর উপজেলার কড়াপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আহমেদ শাহরয়ার বাবু, শাহিনুর ইসলাম শাহিন ও হারুনর রশিদ।

পুলিশের মামলায় এই ১০ জন ছাড়াও মহানগর আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও নগরীর ২১ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর শেখ সাইয়্যেদ আহমেদ মান্না এবং মিরাজ গাজী নামে দুইজন কারা মুক্তি পেয়েছেন।

নেতাকর্মীরা মুক্তি পাওয়ায় সন্তোষ প্রকাশ করেন মহানগর আওয়ামী লীগ সভাপতি একেএম জাহাঙ্গীর। তবে নেতাকর্মীরা অন্যায়ভাবে জেল খেটেছে কিনা এমন প্রশ্নের সরাসরি কোনো উত্তর দেননি তিনি।

বৃহস্পতিবার দীর্ঘ শুনানি শেষে ১০ হাজার টাকার বেলবন্ড এবং জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি গোলাম মাসউদ বাবলু ও তালুকার মো. ইউনুসের জিম্মায় তাদের জামিন মঞ্জুর করেন আদালত। দুপুর সোয়া ১টায় অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক মাসুম বিল্লাহ এ আদেশ দেন। আদেশে আরো বলা হয়, দুটি মামলায় পুলিশের রিপোর্ট দেয়া পর্যন্ত তারা জামিনে থাকবে।

চোখে গুলিবিদ্ধ তানভীর হাসান এবং মনিরুজ্জামান মনির গ্রেপ্তার অবস্থায় ঢাকার জাতীয় চক্ষুবিজ্ঞান ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। ওই ২ জন বাদে বরিশাল কারাগারে থাকা ২১ আসামির মধ্যে গত ২৫ আগস্ট ৯ জন এবং সবশেষ আজ আরও ১২ জন নেতাকর্মী মুক্তি পেলেন।

উল্লেখ্য, গত ১৮ আগস্টের ঘটনায় পরদিন ১৯ আগস্ট ইউএনও মুনিবুর রহমান এবং কোতয়ালী মডেল থানার উপ-পরিদর্শক শাহজালাল মল্লিক বাদী হয়ে সিটি মেয়র সেরনিয়াবাত সাদিক আবদুল্লাহ ও সিটি কর্পোরেশনের প্রশাসনিক কর্মকর্তা স্বপন কুমার দাসসহ ১১৪ জনের নামোল্লেখ এবং অজ্ঞাতনামাসহ আওয়ামী লীগের ৬০২ জন নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে পৃথক দুটি মামলা দায়ের করেন।

এ মামলায় পুলিশ মহানগর আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হাসান মাহমুদ বাবুসহ ২৩ জনকে গ্রেপ্তার করে। এদের মধ্যে ২১ জন কারাগার থেকে মুক্ত হয়েছেন।