বলৎকারে রাজি না হওয়ায় ছাত্রকে নির্যাতন, শিক্ষক গ্রেপ্তার

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট : ১১:০৫:৩৮ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৯ অগাস্ট ২০২১
  • / 200
ব‌রিশা‌ল সদর উপজেলার পূর্ব ধর্মাদী জা‌মেউল উলুম মাদ্রাসার শিক্ষক জোবা‌য়ের আহ‌মে‌দের বিরু‌দ্ধে বলৎকা‌র কর‌তে না দেয়ায় শিশুশিক্ষার্থী‌কে নির্যাত‌নের অ‌ভি‌যোগ পাওয়া গেছে। এমন‌কি ‌শিশুটি‌কে মল চাটা‌নোরও অ‌ভি‌যোগ ক‌রে‌ছেন তার বাবা। বর্তমানে শিশুটি শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। নির্যাতনের শিকার ওই শিক্ষার্থী মাদ্রাসার নাজেরা বিভাগে অধ্যায়নরত।

এ ঘটনায় রোববার দুপুরে শিশুটির বাবা বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেন। এর আগে গতকাল শনিবার অভিযুক্ত শিক্ষককে পুলিশে সোপর্দ করা হয়। পরে জোবায়কে গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতে পাঠানো হয়।

ব‌রিশা‌ল সদ‌রের রায়পাশা কড়াপুর ইউ‌নিয়‌নের ধর্মাদী গ্রা‌মে জা‌মেউল উলুম মাদ্রাসার না‌জেরানা বিভা‌গের ৮ বছ‌রের এক শিক্ষার্থীকে গত ২৫ আগস্ট থে‌কে তি‌ন‌দিন ধ‌রে বলৎকা‌রের চেষ্টা ও নির্যাত‌নের অ‌ভিযোগ ক‌রে‌ন তার বাবা।

শিশুটি জানায়, ২৫ আগস্ট রাতে সকলে ঘমিয়ে পড়লে তাকে নির্যাতন করে শিক্ষক জোবায়ের। এ সময় তার নিতম্বে তিনটি স্থানে কামড় দেয়া হয়। এরপর মলত্যাগ করায়ে শিশুটিকে মল চাটাতে বধ্য করা হয়। আর এসব ঘটনা কাউকে বললে তাকে হত্যার হুমকি দেয়া হয়।

নির্যাতনের শিকার শিক্ষার্থীর বাবা বলেন, ঘটনা ২৫ আগস্ট ঘটলেও ২৮ আগস্ট সকালে গিয়ে বিষয়টি জানতে পান। পরে স্থানীয়দের জানালে তারা ওই শিক্ষককে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করে। নির্যাতনের ঘটনায় উপযুক্ত বিচার দাবি করেন তিনি।

শের-ই-বাংলা মেডিকেলের শিশু সার্জারী বিভাগের চিকিৎসক একেএম মিজানুর রহমান বলেন, শিশুটির নিতম্বে তিনটি কামড়ের দাগসহ শরীরে নির্যাতনের আরো দাগ রয়েছে। এছাড়াও চোখে রক্ত জমে আছে। এটি বিকৃত যৌনচারের পরিচয়। বর্তমানে শিশুটি মানসিক সমস্যায় ভুগছে বলে জানান চিকিৎসক।

বরিশাল মেট্রোপলিটন এয়ারপোর্ট থানার ওসি কমলেশ চন্দ্র হালদার বলেন, এ ঘটনায় শিশুর বাবা বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেছেন। পরে ওই মামলায় মাদ্রাসার শিক্ষককে গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতে পাঠানো হয়েছে। তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়া হবে।

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্যাগস :

বলৎকারে রাজি না হওয়ায় ছাত্রকে নির্যাতন, শিক্ষক গ্রেপ্তার

আপডেট : ১১:০৫:৩৮ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৯ অগাস্ট ২০২১
ব‌রিশা‌ল সদর উপজেলার পূর্ব ধর্মাদী জা‌মেউল উলুম মাদ্রাসার শিক্ষক জোবা‌য়ের আহ‌মে‌দের বিরু‌দ্ধে বলৎকা‌র কর‌তে না দেয়ায় শিশুশিক্ষার্থী‌কে নির্যাত‌নের অ‌ভি‌যোগ পাওয়া গেছে। এমন‌কি ‌শিশুটি‌কে মল চাটা‌নোরও অ‌ভি‌যোগ ক‌রে‌ছেন তার বাবা। বর্তমানে শিশুটি শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। নির্যাতনের শিকার ওই শিক্ষার্থী মাদ্রাসার নাজেরা বিভাগে অধ্যায়নরত।

এ ঘটনায় রোববার দুপুরে শিশুটির বাবা বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেন। এর আগে গতকাল শনিবার অভিযুক্ত শিক্ষককে পুলিশে সোপর্দ করা হয়। পরে জোবায়কে গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতে পাঠানো হয়।

ব‌রিশা‌ল সদ‌রের রায়পাশা কড়াপুর ইউ‌নিয়‌নের ধর্মাদী গ্রা‌মে জা‌মেউল উলুম মাদ্রাসার না‌জেরানা বিভা‌গের ৮ বছ‌রের এক শিক্ষার্থীকে গত ২৫ আগস্ট থে‌কে তি‌ন‌দিন ধ‌রে বলৎকা‌রের চেষ্টা ও নির্যাত‌নের অ‌ভিযোগ ক‌রে‌ন তার বাবা।

শিশুটি জানায়, ২৫ আগস্ট রাতে সকলে ঘমিয়ে পড়লে তাকে নির্যাতন করে শিক্ষক জোবায়ের। এ সময় তার নিতম্বে তিনটি স্থানে কামড় দেয়া হয়। এরপর মলত্যাগ করায়ে শিশুটিকে মল চাটাতে বধ্য করা হয়। আর এসব ঘটনা কাউকে বললে তাকে হত্যার হুমকি দেয়া হয়।

নির্যাতনের শিকার শিক্ষার্থীর বাবা বলেন, ঘটনা ২৫ আগস্ট ঘটলেও ২৮ আগস্ট সকালে গিয়ে বিষয়টি জানতে পান। পরে স্থানীয়দের জানালে তারা ওই শিক্ষককে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করে। নির্যাতনের ঘটনায় উপযুক্ত বিচার দাবি করেন তিনি।

শের-ই-বাংলা মেডিকেলের শিশু সার্জারী বিভাগের চিকিৎসক একেএম মিজানুর রহমান বলেন, শিশুটির নিতম্বে তিনটি কামড়ের দাগসহ শরীরে নির্যাতনের আরো দাগ রয়েছে। এছাড়াও চোখে রক্ত জমে আছে। এটি বিকৃত যৌনচারের পরিচয়। বর্তমানে শিশুটি মানসিক সমস্যায় ভুগছে বলে জানান চিকিৎসক।

বরিশাল মেট্রোপলিটন এয়ারপোর্ট থানার ওসি কমলেশ চন্দ্র হালদার বলেন, এ ঘটনায় শিশুর বাবা বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেছেন। পরে ওই মামলায় মাদ্রাসার শিক্ষককে গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতে পাঠানো হয়েছে। তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়া হবে।