ডিজিটাল আইনের প্রয়োজনীয় সংশোধন করা সম্ভব

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট : ০১:১২:৪৮ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২ সেপ্টেম্বর ২০২১
  • / 222

ফাইল ছবি

ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের প্রয়োজনীয় সংশোধন করা সম্ভব বলে জানিয়েছেন ডাক টেলিযোগাযোগ ও তথ্য প্রযুক্তি বিষয়ক মন্ত্রী মোস্তফা জব্বার।

বৃহস্পতিবার মহিলা পরিষদের উদ্যেগে ‘ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন: নারীর মানবাধিকার’ শীর্ষক অনলাইন মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

মন্ত্রী বলেন, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন ২০১৮ তে প্রণয়ন করা হলেও ২০২১ এ এসে আইনটি অপরাধ দমনে বিস্তৃত ভূমিকা রাখছে না। আইনের কিছু সীমাবদ্ধতা আছে। আইনের অপপ্রয়োগ মূলসমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে। এমতাবস্থায় আইনের প্রয়োজনীয় সংশোধন করা সম্ভব।

ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন প্রণয়নের প্রেক্ষাপট তুলে ধরে মোস্তফা জব্বার বলেন, বাংলাদেশকে ডিজিটাইজেশনের কথা বলা হলেও ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন বিষয়ক কোন আইন ২০১৮ এর আগে হয়নি। ডিজিটাল মাধ্যমে সংঘটিত অপরাধ দমনে এবং দ্রুত বিচারের লক্ষ্যে গ্রেপ্তারের আদেশের আগে গ্রেপ্তারের নির্দেশ দিয়ে আইন পাশ হয়। কিন্তু আইন প্রয়োগের দিকে নজর দিতে হবে।

তিনি বলেন, নারীর প্রতি সহিংসতা বন্ধসহ সকল অপরাধ দমন করতে হলে আইনের অপপ্রয়োগ বন্ধে আইন প্রয়োগকারীদের সচেতন হতে হবে, দৃষ্টিভঙ্গির পরিবর্তন করতে হবে। অনলাইনে অপপ্রচার, সন্ত্রাস, রাষ্ট্রবিরোধী অপপ্রচারের ক্ষেত্রে রাষ্ট্রের জিম্মি অবস্থা দূর করতে ফেসবুক ও ইউটিউব সোশ্যাল মিডিয়া কর্তৃপক্ষের সাথে আলোচনার মাধ্যমে আগের বিপন্ন অবস্থা থেকে কিছুটা উন্নতি হয়েছে, নিয়ম বহির্ভূত বিষয়গুলোর প্রচার বন্ধ করা সম্ভব হয়েছে।

সভায় জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান নাছিমা বেগম এনডিসি বলেন, নারীর প্রতি চলমান সাইবার অপরাধ, সাইবার বুলিং বন্ধে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুক, ইউটিউব ব্যবহারে কিছু টুল ব্যবহার করে এর সহজলভ্যতা নিয়ন্ত্রণ করতে হবে।

একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির সভাপতি এবং সাংবাদিক ও লেখক শাহরিয়ার কবির বলেন, ডিজিটাল মাধ্যমে নারীর প্রতি সহিংসতামূলক, অশ্লীল, কদর্যমূলক বক্তব্য দেয়ার পর ও ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন অনুসারে কাউকে গ্রেপ্তার করতে দেখা যায়নি। মহিলা পরিষদের সভাপতি ডা. ফওজিয়া মোসলেমের সভাপতিত্বে সভায় গাজী টেলিভিশনের প্রধান সম্পাদক সৈয়দ ইশতিয়াক রেজা, আইন ও বিচার বিভাগের উপসচিব বেগম মাকসুদা পারভীন, মহিলা পরিষদের সাধারণ সম্পাদক মালেকা বানু প্রমুখ বক্তব্য দেন।

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্যাগস :

ডিজিটাল আইনের প্রয়োজনীয় সংশোধন করা সম্ভব

আপডেট : ০১:১২:৪৮ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২ সেপ্টেম্বর ২০২১
ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের প্রয়োজনীয় সংশোধন করা সম্ভব বলে জানিয়েছেন ডাক টেলিযোগাযোগ ও তথ্য প্রযুক্তি বিষয়ক মন্ত্রী মোস্তফা জব্বার।

বৃহস্পতিবার মহিলা পরিষদের উদ্যেগে ‘ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন: নারীর মানবাধিকার’ শীর্ষক অনলাইন মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

মন্ত্রী বলেন, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন ২০১৮ তে প্রণয়ন করা হলেও ২০২১ এ এসে আইনটি অপরাধ দমনে বিস্তৃত ভূমিকা রাখছে না। আইনের কিছু সীমাবদ্ধতা আছে। আইনের অপপ্রয়োগ মূলসমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে। এমতাবস্থায় আইনের প্রয়োজনীয় সংশোধন করা সম্ভব।

ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন প্রণয়নের প্রেক্ষাপট তুলে ধরে মোস্তফা জব্বার বলেন, বাংলাদেশকে ডিজিটাইজেশনের কথা বলা হলেও ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন বিষয়ক কোন আইন ২০১৮ এর আগে হয়নি। ডিজিটাল মাধ্যমে সংঘটিত অপরাধ দমনে এবং দ্রুত বিচারের লক্ষ্যে গ্রেপ্তারের আদেশের আগে গ্রেপ্তারের নির্দেশ দিয়ে আইন পাশ হয়। কিন্তু আইন প্রয়োগের দিকে নজর দিতে হবে।

তিনি বলেন, নারীর প্রতি সহিংসতা বন্ধসহ সকল অপরাধ দমন করতে হলে আইনের অপপ্রয়োগ বন্ধে আইন প্রয়োগকারীদের সচেতন হতে হবে, দৃষ্টিভঙ্গির পরিবর্তন করতে হবে। অনলাইনে অপপ্রচার, সন্ত্রাস, রাষ্ট্রবিরোধী অপপ্রচারের ক্ষেত্রে রাষ্ট্রের জিম্মি অবস্থা দূর করতে ফেসবুক ও ইউটিউব সোশ্যাল মিডিয়া কর্তৃপক্ষের সাথে আলোচনার মাধ্যমে আগের বিপন্ন অবস্থা থেকে কিছুটা উন্নতি হয়েছে, নিয়ম বহির্ভূত বিষয়গুলোর প্রচার বন্ধ করা সম্ভব হয়েছে।

সভায় জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান নাছিমা বেগম এনডিসি বলেন, নারীর প্রতি চলমান সাইবার অপরাধ, সাইবার বুলিং বন্ধে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুক, ইউটিউব ব্যবহারে কিছু টুল ব্যবহার করে এর সহজলভ্যতা নিয়ন্ত্রণ করতে হবে।

একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির সভাপতি এবং সাংবাদিক ও লেখক শাহরিয়ার কবির বলেন, ডিজিটাল মাধ্যমে নারীর প্রতি সহিংসতামূলক, অশ্লীল, কদর্যমূলক বক্তব্য দেয়ার পর ও ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন অনুসারে কাউকে গ্রেপ্তার করতে দেখা যায়নি। মহিলা পরিষদের সভাপতি ডা. ফওজিয়া মোসলেমের সভাপতিত্বে সভায় গাজী টেলিভিশনের প্রধান সম্পাদক সৈয়দ ইশতিয়াক রেজা, আইন ও বিচার বিভাগের উপসচিব বেগম মাকসুদা পারভীন, মহিলা পরিষদের সাধারণ সম্পাদক মালেকা বানু প্রমুখ বক্তব্য দেন।