সোহরাওয়ার্দীতে রেস্টুরেন্ট নির্মাণ বন্ধসহ ৫ দাবি
- আপডেট : ০৭:২৫:৪৬ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৭ মে ২০২১
- / 254
সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের সবুজ ধ্বংস করে রেস্টুরেন্ট নির্মাণ বন্ধ করা এবং বৃক্ষনিধনের সাথে সংশ্লিষ্টদের শাস্তি দেয়াসহ ৫ দফা দাবি জানিয়েছে পরিবেশবাদী যুব সংগঠন গ্রীন ভয়েস।
শুক্রবার সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে আয়োজিত এক সমাবেশে এসব দাবি জানায় সংগঠনটির নেতারা।
সংগঠনের অন্যান্য দাবিগুলোর মধ্যে রয়েছে- সোহরাওয়ার্দী উদ্যানকে বৃক্ষময় করে গড়ে তোলা; সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে পরিবেশবান্ধব উন্নয়ন নিশ্চিত করা; সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের জন্য একটি দক্ষ, আন্তরিক ও গণমূখী রক্ষণাবেক্ষণ ও ব্যবস্থাপনা নিশ্চিত করা; এ উদ্যানটি সর্ব সাধারণের জন্য সকল সময় উন্মুক্ত রাখা; মাঠটির অখন্ডতা, নিরাপত্তা, চেতনাগত গাম্বীর্য ও পবিত্রতা নিশ্চিত করা।
গ্রীন ভয়েসের প্রধান সমন্বয়ক আলমগীর কবিরের সভাপতিত্বে সমাবেশে বক্তব্য দেন সংগঠনের উপদেষ্টা নগর পরিকল্পনাবিদ স্থপতি ইকবাল হাবিব, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় অর্থনীতি বিভাগের চেয়ারম্যান এম এম আকাশ, সিপিবির কেন্দ্রীয় নেতা গ্রীন ভয়েস এর উপদেষ্টা রুহিন হোসেন প্রিন্স, বাপা’র সাধারণ সম্পাদক শরিফ জামিল, কেন্দ্রীয় সহ -সমন্বয়ক হুমায়ুন কবির সুমন, নাগরিক সংহতির সাধারণ সম্পাদক শরিফুজ্জামান শরীফ, গ্রীন সেভার্সের প্রতিষ্ঠাতা আহসান রনি, গ্রীন ভয়েস কেন্দ্রীয় নেতা লালন গবেষক সরদার হীরক রাজা, গ্রীন ভয়েস ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সভাপতি নাসরিন জান্নাত, গ্রীন ভয়েস রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সভাপতি ইশরাত জাহান, গ্রীন ভয়েস পার্বত্য চট্টগ্রাম অঞ্চলের সমন্বয়ক সাচিনু মারমা প্রমূখ।
বক্তারা বলেন, স্বাধীনতা সংগ্রাম ও মহান মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিবিজড়িত সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে খাবারের দোকান করতে কেটে ফেলা হয়েছে প্রায় দেড় শতাধিক গাছ। আমরা সবাই জানি, সোহরাওয়ার্দী উদ্যান বাংলাদেশের জাতীয় ইতিহাসের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি অঙ্গ। উদ্যানটিকে গিলে খেতে ভূমিদস্যুরা একের পর এক নীলনকশা করেই যাচ্ছে। উদ্যানের একটি অংশ বেশকিছু ছোট বড় দখলদারদের পদানত হয়ে আছে। এক কোটির অধিক মানুষ অধ্যুষিত ঢাকা মহানগরীতে সোহরাওয়ার্দী উদ্যান সবার দম নেওয়ার একটি বৃহৎ স্থান।
তারা আরও বলেন, নান্দনিক এই স্থানটির ৩০ থেকে ৪০ বছরের পুরনো গাছগুলো কাটা হচ্ছে দোকান বানানোর নামে খোঁড়া অজুহাতে। আমরা এই অসাধু ব্যক্তিদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করছি। আমরা চাই শান্তি বৃক্ষনিধন করে নয় বরং বৃক্ষময় করে গড়ে তোলা হোক।