মাস্ক ব্যবহারে সরকারের কিছু নির্দেশনা

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট : ০৭:২৭:৪০ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৭ মে ২০২১
  • / 267

সংগৃহীত ছবি

::নিজস্ব প্রতিবেদক::

করোনা ভাইরাস সংক্রমণ প্রতিরোধে ঘরের বাইরে মাস্ক ব্যবহার করার ক্ষেত্রে বেশ কিছু নির্দেশনা দিয়েছে সরকার। সরকারি তথ্য বিবরণীতে বলা হয়েছে, কোনো জরুরি কাজে কেউ ঘরের বাইরে গেলে মাস্ক ব্যবহার করার জন্য সরকারের এসব নির্দেশনা সবাইকে বাধ্যতামূলকভাবে মেনে চলতে হবে।

সরকারি নির্দেশনাগুলো হলো-

১. অধিক স্তর বিশিষ্ট সার্জিক্যাল মাস্ক ব্যবহার করা সবচেয়ে ভালো। তবে তা এককালীন ব্যবহার করতে হবে। সার্জিক্যাল মাস্ক ঘরে রেখে দিয়ে দীর্ঘদিন ব্যবহার করা ঠিক নয়। একটি মাস্ক সর্বোচ্চ একদিন ব্যবহার করে সেটাকে ধ্বংস করে দিতে হবে।

২. অনেকে মাস্ক নাক খোলা রেখে শুধু মুখ ঢেকে রাখে। এটি সঠিক নয়। এক্ষেত্রে ওপরের মেটাল অংশটাকে নাকের সঙ্গে চেপে ও নিচের অংশটাকে থুতনির নিচে নিয়ে উভয়ই ঢেকে রাখতে হবে। অর্থাৎ সম্পূর্ণ মুখমণ্ডল ঢেকে রেখে মাস্ক পরতে হবে।

৩. দেখা যায় অনেকে মাস্ক থুতনি পর্যন্ত খুলে রেখে কথাবার্তা বলেন, যা ঠিক নয়। এতে লেগে থাকা জীবাণু সহজেই ছড়িয়ে পড়ে। তাই মাস্ক দিয়ে সম্পূর্ণ মুখমণ্ডল ঢেকে রেখে কথা বলতে হবে।

৩. যেসব স্থানে নিরাপদ শারীরিক দূরত্ব বজায় রাখা মুশকিল, সেসব জায়গায় মাস্ক পরতেই হবে। একই সঙ্গে নিরাপদ শারীরিক দূরত্ব বজায় ও হাত জীবাণুমুক্ত রাখতে হবে।

৪. কাপড়ের তৈরি মাস্ক ব্যবহারের করার পর অবশ্যই পরিষ্কার করতে হবে। তবে পরিষ্কার না করে ব্যবহার করলে রোগে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। তাই মাস্ক সাবান পানিতে ভিজিয়ে ভালোভাবে ধুয়ে রোদে শুকিয়ে জীবাণুমুক্ত করতে হবে।

৫. কোন অবস্থাতেই ভেজা মাস্ক পরিধান করা উচিত না। ভেজা মাস্ক পরলে সংক্রমিত হওয়ার অধিক ঝুঁকি থাকে।

৬. জরুরি কাজে বাইরে গেলে দুটি মাস্ক ব্যাগে রাখা উচিত। কারণ কোন কারণে একটি ব্যবহার করা মাস্ক নষ্ট হলে অন্যটি ব্যবহার করা যাবে।

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্যাগস :

মাস্ক ব্যবহারে সরকারের কিছু নির্দেশনা

আপডেট : ০৭:২৭:৪০ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৭ মে ২০২১
::নিজস্ব প্রতিবেদক::

করোনা ভাইরাস সংক্রমণ প্রতিরোধে ঘরের বাইরে মাস্ক ব্যবহার করার ক্ষেত্রে বেশ কিছু নির্দেশনা দিয়েছে সরকার। সরকারি তথ্য বিবরণীতে বলা হয়েছে, কোনো জরুরি কাজে কেউ ঘরের বাইরে গেলে মাস্ক ব্যবহার করার জন্য সরকারের এসব নির্দেশনা সবাইকে বাধ্যতামূলকভাবে মেনে চলতে হবে।

সরকারি নির্দেশনাগুলো হলো-

১. অধিক স্তর বিশিষ্ট সার্জিক্যাল মাস্ক ব্যবহার করা সবচেয়ে ভালো। তবে তা এককালীন ব্যবহার করতে হবে। সার্জিক্যাল মাস্ক ঘরে রেখে দিয়ে দীর্ঘদিন ব্যবহার করা ঠিক নয়। একটি মাস্ক সর্বোচ্চ একদিন ব্যবহার করে সেটাকে ধ্বংস করে দিতে হবে।

২. অনেকে মাস্ক নাক খোলা রেখে শুধু মুখ ঢেকে রাখে। এটি সঠিক নয়। এক্ষেত্রে ওপরের মেটাল অংশটাকে নাকের সঙ্গে চেপে ও নিচের অংশটাকে থুতনির নিচে নিয়ে উভয়ই ঢেকে রাখতে হবে। অর্থাৎ সম্পূর্ণ মুখমণ্ডল ঢেকে রেখে মাস্ক পরতে হবে।

৩. দেখা যায় অনেকে মাস্ক থুতনি পর্যন্ত খুলে রেখে কথাবার্তা বলেন, যা ঠিক নয়। এতে লেগে থাকা জীবাণু সহজেই ছড়িয়ে পড়ে। তাই মাস্ক দিয়ে সম্পূর্ণ মুখমণ্ডল ঢেকে রেখে কথা বলতে হবে।

৩. যেসব স্থানে নিরাপদ শারীরিক দূরত্ব বজায় রাখা মুশকিল, সেসব জায়গায় মাস্ক পরতেই হবে। একই সঙ্গে নিরাপদ শারীরিক দূরত্ব বজায় ও হাত জীবাণুমুক্ত রাখতে হবে।

৪. কাপড়ের তৈরি মাস্ক ব্যবহারের করার পর অবশ্যই পরিষ্কার করতে হবে। তবে পরিষ্কার না করে ব্যবহার করলে রোগে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। তাই মাস্ক সাবান পানিতে ভিজিয়ে ভালোভাবে ধুয়ে রোদে শুকিয়ে জীবাণুমুক্ত করতে হবে।

৫. কোন অবস্থাতেই ভেজা মাস্ক পরিধান করা উচিত না। ভেজা মাস্ক পরলে সংক্রমিত হওয়ার অধিক ঝুঁকি থাকে।

৬. জরুরি কাজে বাইরে গেলে দুটি মাস্ক ব্যাগে রাখা উচিত। কারণ কোন কারণে একটি ব্যবহার করা মাস্ক নষ্ট হলে অন্যটি ব্যবহার করা যাবে।