বাংলাদেশ করোনা নিয়ন্ত্রণে খুবই সফলতা দেখিয়েছে: স্বাস্থ্যমন্ত্রী

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট : ১১:২৭:২৮ পূর্বাহ্ন, সোমাবার, ৭ জুন ২০২১
  • / 176
::অনলাইন ডেস্ক::

স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেছেন, বাংলাদেশ করোনা নিয়ন্ত্রণে খুবই সফলতা দেখিয়েছে। ফলে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি শতকরা ৬ শতাংশে আছে। অনেক বড় বড় দেশ এটা পারেনি বলে ধরাশায়ী হয়েছে। বাংলাদেশ সেটা পেরেছে বলে জীবনযাত্রা স্বাভাবিক আছে।

সোমবার স্পিকার শিরীন শারমিনের সভাপতিত্বে জাতীয় সংসদে ২০২০-২০২১ অর্থবছরে সম্পূরক বাজেটে স্বাস্থ্যসেবা বিভাগ খাতে মঞ্জুরি দাবির উপর ছাঁটাই প্রস্তাবের আলোচনায় তিনি এ কথা বলেন।

করোনায় মানুষকে প্রয়োজনীয় সবধরনের সেবা দেওয়া হচ্ছে দাবি করে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, সারা দেশে জেলা, উপজেলা পর্যায়ে কমিটি করা হয়েছে। বন্দরে স্ক্যানারের ব্যবস্থা করা হয়েছে। জেলা উপজেলা পর্যায়ে ছয় হাজারের মতো আইসোলেশন সেন্টার করা হয়েছে। মাত্র একটি ল্যাব ছিল, এখন ৫০০টি ল্যাব কাজ করছে। ১৫০টি হাসপাতালে সেন্ট্রাল অক্সিজেন প্ল্যান্ট করা হয়েছে। ‘১৩ হাজার বেড অক্সিজেন লাইনের আওতায় আনা হয়েছে। আমরা ৫০ লাখ লোককে টেলিমেডিসিন সেবা দিয়েছি। ভ্যাকসিনের ব্যবস্থা করেছি, ভ্যাকসিন চলমান। এসব উন্নয়নের কারণে আমাদের দেশে মৃত্যুহার দেড় শতাংশ। সারা পৃথিবীতে মৃত্যুর হার আড়াই শতাংশ। করোনার কারণে কেউ চিকিৎসার জন্য দেশের বাইরে যেতে পারছে না। তারা এই দেশেই চিকিৎসা নিচ্ছেন। দেশে সেই সক্ষমতা তৈরি হয়েছে।

নেত্রকোণা-৩ আসনের এমপি অসীম কুমার উকিলের এক প্রশ্নের জবাবে জাহিদ মালেক বলেন, চীন সরকার থেকে ৫ লাখ ডোজ টিকা উপহার এসেছে। এই টিকা ২৫ মে থেকে প্রয়োগ শুরু হয়েছে। আরও ৬ লাখ ডোজ অনুদান হিসাবে শিগগিরই পাওয়া যাবে।

তিনি বলেন, সেরাম থেকে তিনকোটি ডোজ টিকা ক্রয়ের চুক্তি হয়েছিল। এর মধ্যে ৭০ লাখ ডোজ পাওয়া গেছে। চুক্তি মোতাবেক বাকি ২ কোটি ৩০ লাখ ডোজ সংগ্রহের প্রচেষ্টা অব্যাহত রয়েছে। রাশিয়া থেকে ১ কোটি ডোজ স্পুটনিক ভি কেনা প্রক্রিয়াধীন বলে জানান মন্ত্রী।

ফাইজারের ১ লাখ ৬২০ ডোজ টিকাদান শিগগিরই শুরু হবে উল্লেখ করে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, করোনাভাইরাসের টিকা সংগ্রহের জন্য প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে সরকার। এই জন্য বিভিন্ন দেশ ও টিকা উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে যোগাযোগ করা হচ্ছে। এ ছাড়াও দেশে টিকা উৎপাদনের উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। এজন্য প্রযুক্তি হস্তান্তরের জন্য বিভিন্ন দেশ ও উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে আলোচনা চলছে।

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্যাগস :

বাংলাদেশ করোনা নিয়ন্ত্রণে খুবই সফলতা দেখিয়েছে: স্বাস্থ্যমন্ত্রী

আপডেট : ১১:২৭:২৮ পূর্বাহ্ন, সোমাবার, ৭ জুন ২০২১
::অনলাইন ডেস্ক::

স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেছেন, বাংলাদেশ করোনা নিয়ন্ত্রণে খুবই সফলতা দেখিয়েছে। ফলে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি শতকরা ৬ শতাংশে আছে। অনেক বড় বড় দেশ এটা পারেনি বলে ধরাশায়ী হয়েছে। বাংলাদেশ সেটা পেরেছে বলে জীবনযাত্রা স্বাভাবিক আছে।

সোমবার স্পিকার শিরীন শারমিনের সভাপতিত্বে জাতীয় সংসদে ২০২০-২০২১ অর্থবছরে সম্পূরক বাজেটে স্বাস্থ্যসেবা বিভাগ খাতে মঞ্জুরি দাবির উপর ছাঁটাই প্রস্তাবের আলোচনায় তিনি এ কথা বলেন।

করোনায় মানুষকে প্রয়োজনীয় সবধরনের সেবা দেওয়া হচ্ছে দাবি করে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, সারা দেশে জেলা, উপজেলা পর্যায়ে কমিটি করা হয়েছে। বন্দরে স্ক্যানারের ব্যবস্থা করা হয়েছে। জেলা উপজেলা পর্যায়ে ছয় হাজারের মতো আইসোলেশন সেন্টার করা হয়েছে। মাত্র একটি ল্যাব ছিল, এখন ৫০০টি ল্যাব কাজ করছে। ১৫০টি হাসপাতালে সেন্ট্রাল অক্সিজেন প্ল্যান্ট করা হয়েছে। ‘১৩ হাজার বেড অক্সিজেন লাইনের আওতায় আনা হয়েছে। আমরা ৫০ লাখ লোককে টেলিমেডিসিন সেবা দিয়েছি। ভ্যাকসিনের ব্যবস্থা করেছি, ভ্যাকসিন চলমান। এসব উন্নয়নের কারণে আমাদের দেশে মৃত্যুহার দেড় শতাংশ। সারা পৃথিবীতে মৃত্যুর হার আড়াই শতাংশ। করোনার কারণে কেউ চিকিৎসার জন্য দেশের বাইরে যেতে পারছে না। তারা এই দেশেই চিকিৎসা নিচ্ছেন। দেশে সেই সক্ষমতা তৈরি হয়েছে।

নেত্রকোণা-৩ আসনের এমপি অসীম কুমার উকিলের এক প্রশ্নের জবাবে জাহিদ মালেক বলেন, চীন সরকার থেকে ৫ লাখ ডোজ টিকা উপহার এসেছে। এই টিকা ২৫ মে থেকে প্রয়োগ শুরু হয়েছে। আরও ৬ লাখ ডোজ অনুদান হিসাবে শিগগিরই পাওয়া যাবে।

তিনি বলেন, সেরাম থেকে তিনকোটি ডোজ টিকা ক্রয়ের চুক্তি হয়েছিল। এর মধ্যে ৭০ লাখ ডোজ পাওয়া গেছে। চুক্তি মোতাবেক বাকি ২ কোটি ৩০ লাখ ডোজ সংগ্রহের প্রচেষ্টা অব্যাহত রয়েছে। রাশিয়া থেকে ১ কোটি ডোজ স্পুটনিক ভি কেনা প্রক্রিয়াধীন বলে জানান মন্ত্রী।

ফাইজারের ১ লাখ ৬২০ ডোজ টিকাদান শিগগিরই শুরু হবে উল্লেখ করে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, করোনাভাইরাসের টিকা সংগ্রহের জন্য প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে সরকার। এই জন্য বিভিন্ন দেশ ও টিকা উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে যোগাযোগ করা হচ্ছে। এ ছাড়াও দেশে টিকা উৎপাদনের উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। এজন্য প্রযুক্তি হস্তান্তরের জন্য বিভিন্ন দেশ ও উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে আলোচনা চলছে।