অনুমোদন ছাড়া ডে-কেয়ার চালালে জেল- জরিমানা

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট : ১২:১৭:০৭ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৬ জুন ২০২১
  • / 345

ফাইল ছবি

::নিজস্ব প্রতিবেদক::

অনুমোদন ছাড়া কেউ শিশু দিবাযত্ন কেন্দ্র (ডে-কেয়ার) চালালে দুই বছরের কারাদণ্ড ও দশ লাখ টাকা জরিমানার বিধান রেখে খসড়া আইনে চূড়ান্ত অনুমোদন দিয়েছে জাতীয় সংসদ।

বুধবার মহিলা ও শিশু বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী ফজিলাতুন নেসা ইন্দিরা এ সংক্রান্ত ‘শিশু দিবাযত্ন কেন্দ্র বিল-২০২১’ সংসদে পাসের প্রস্তাব করেন। সেটি কণ্ঠভোটে পাস হয়।

বিলের কারণ ও উদ্দেশ্য সম্পর্কে প্রতিমন্ত্রী ইন্দিরা বলেন, বাংলাদেশে যৌথ পরিবার প্রতা ক্রমান্বয়ে হ্রাস পাচ্ছে এবং একক পরিবারের সংখ্যা দেশে প্রতিনিয়ত বৃদ্ধি পাচ্ছে। দেশে দিন দিন কর্মজীবী ও পেশাজীবী মায়েদের সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে এবং সরকারি, আধা-সরকারি, স্বায়ত্তশাসিত ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে কর্মরত ব্যক্তিকে দিনের বেশিরভাগ সময় নিজ বাসগৃহের বাইরে অবস্থধান করতে হয় এবং তার শিশুর জন্য মানসম্মত উপযুক্ত স্থানে নিরাপদ ও প্রাতিষ্ঠানিক পরিচর্যার লক্ষ্যে শিশুর দিবাকালীন অবস্থানের জন্য শিশু দিবাযত্ন কেন্দ্রের প্রয়োজনীয়তা দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে।

আইনটি পাসের আগে বিলের ওপর দেয়া জনমত যাচাই, বাছাই কমিটিতে পাঠানো এবং সংশোধনী প্রস্তাবগুলোর নিষ্পত্তি করেন স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরী।

শিশু দিবাযত্ন কেন্দ্র থেকে শিশু হারিয়ে গেলে সর্বোচ্চ ১০ বছর কারাদণ্ড ও পাঁচ লাখ পর্যন্ত জরিমানা করা যাবে বলে বিলে বলা হয়েছে।

প্রতি তিন মাসে একবার করে শিশুদের অভিভাবকদের সঙ্গে মতবিনিময় করতে হবে উল্লেখ করে বিলে বলা হয়েছে, শিশু বা ক্ষেত্রমতে বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন শিশুর প্রয়োজনীয় সেবা, স্বাস্থ্য সুরক্ষা, নিরাপত্তা, চিকিৎসা, বিনোদন, চিকিৎসা, শিক্ষা ও শিশুর জন্য অনুকূল পরিবেশ ও প্রয়োজনীয় সুবিধা নিশ্চিত করতে হবে।

শিশু দিবাযত্ন কেন্দ্রে সংক্রামক রোগের বিস্তারের সহায়তা করলে বা তথ্য গোপন করলে ছয় মাসের কারাদণ্ড বা ১ লাখ টাকা জরিমানা হবে বলেও বিলে বলা হয়েছে।

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্যাগস :

অনুমোদন ছাড়া ডে-কেয়ার চালালে জেল- জরিমানা

আপডেট : ১২:১৭:০৭ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৬ জুন ২০২১
::নিজস্ব প্রতিবেদক::

অনুমোদন ছাড়া কেউ শিশু দিবাযত্ন কেন্দ্র (ডে-কেয়ার) চালালে দুই বছরের কারাদণ্ড ও দশ লাখ টাকা জরিমানার বিধান রেখে খসড়া আইনে চূড়ান্ত অনুমোদন দিয়েছে জাতীয় সংসদ।

বুধবার মহিলা ও শিশু বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী ফজিলাতুন নেসা ইন্দিরা এ সংক্রান্ত ‘শিশু দিবাযত্ন কেন্দ্র বিল-২০২১’ সংসদে পাসের প্রস্তাব করেন। সেটি কণ্ঠভোটে পাস হয়।

বিলের কারণ ও উদ্দেশ্য সম্পর্কে প্রতিমন্ত্রী ইন্দিরা বলেন, বাংলাদেশে যৌথ পরিবার প্রতা ক্রমান্বয়ে হ্রাস পাচ্ছে এবং একক পরিবারের সংখ্যা দেশে প্রতিনিয়ত বৃদ্ধি পাচ্ছে। দেশে দিন দিন কর্মজীবী ও পেশাজীবী মায়েদের সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে এবং সরকারি, আধা-সরকারি, স্বায়ত্তশাসিত ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে কর্মরত ব্যক্তিকে দিনের বেশিরভাগ সময় নিজ বাসগৃহের বাইরে অবস্থধান করতে হয় এবং তার শিশুর জন্য মানসম্মত উপযুক্ত স্থানে নিরাপদ ও প্রাতিষ্ঠানিক পরিচর্যার লক্ষ্যে শিশুর দিবাকালীন অবস্থানের জন্য শিশু দিবাযত্ন কেন্দ্রের প্রয়োজনীয়তা দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে।

আইনটি পাসের আগে বিলের ওপর দেয়া জনমত যাচাই, বাছাই কমিটিতে পাঠানো এবং সংশোধনী প্রস্তাবগুলোর নিষ্পত্তি করেন স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরী।

শিশু দিবাযত্ন কেন্দ্র থেকে শিশু হারিয়ে গেলে সর্বোচ্চ ১০ বছর কারাদণ্ড ও পাঁচ লাখ পর্যন্ত জরিমানা করা যাবে বলে বিলে বলা হয়েছে।

প্রতি তিন মাসে একবার করে শিশুদের অভিভাবকদের সঙ্গে মতবিনিময় করতে হবে উল্লেখ করে বিলে বলা হয়েছে, শিশু বা ক্ষেত্রমতে বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন শিশুর প্রয়োজনীয় সেবা, স্বাস্থ্য সুরক্ষা, নিরাপত্তা, চিকিৎসা, বিনোদন, চিকিৎসা, শিক্ষা ও শিশুর জন্য অনুকূল পরিবেশ ও প্রয়োজনীয় সুবিধা নিশ্চিত করতে হবে।

শিশু দিবাযত্ন কেন্দ্রে সংক্রামক রোগের বিস্তারের সহায়তা করলে বা তথ্য গোপন করলে ছয় মাসের কারাদণ্ড বা ১ লাখ টাকা জরিমানা হবে বলেও বিলে বলা হয়েছে।