অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ৫ বছরে প্রায় এক লাখ

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট : ১১:৫৫:১৬ পূর্বাহ্ন, সোমাবার, ১২ জুলাই ২০২১
  • / 342
::যুগের কন্ঠ ডেস্ক::

প্রতি বছরে দেশে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় অনেক মানুষ প্রাণ হারায়। এইতো গেলো বৃহস্পতিবার (৮ জুলাই) নারায়ণগঞ্জে হাসেম ফুডস কারখানায় ভয়াবহ আগুনে অন্তত ৫২ জনের মৃত্যু হয়। এনিয়ে গত ৫ বছরে দেশে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে প্রায় এক লাখ। এতে আর্থিক ক্ষতি ১ হাজার ৪৬০ কোটি। এই ক্ষতির ৫৭ শতাংশই বিদ্যুৎ গোলযোগ থেকে সৃষ্টি আগুনে।

ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অধিদপ্তরের তথ্য মতে, ২০১৬ থেকে ২০২০ সাল ডিসেম্বর পর্যন্ত ৯৯ হাজার ৭৫২টি অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটনা ঘটেছে। এরমধ্যে বিদ্যুৎ গোলযোগে আগুন লাগার ঘটনা ৩৭ হাজার ৪০৪টি। আর ১৯ হাজার ১২৪টি আগুন লাগে বিভিন্নধরণের চুলা থেকে। হিসাব বলছে, এই দুই ধরনের আগুন মোট দুর্ঘটনার ৫৬ শতাংশ।

তবে আগুনে আর্থিক ক্ষতির হিসাবটা আরও ভয়াবহ। দমকল বাহিনীর পরিসংখ্যান বলছে, গেলো ৫ বছরে আগুনে আর্থিক ক্ষতি ১ হাজার ৪৬০ কোটি টাকা। এরমধ্যে বিদ্যুৎ গোলযোগে ক্ষতি ৮৩৪ কোটি; যা মোট ক্ষতির ৫৭ শতাংশ। আর চুলার আগুনে আর্থিক ক্ষতি ১৬৬ কোটি বা ১১ শতাংশ।

বিশ্লেষকরা বলছেন, বিদ্যুৎ সংযোগে নিম্নমানের সামগ্রী ব্যবহার ও নিয়মিত পরিচর্যার অভাবে আগুন লাগার অন্যতম কারণ। সচেতনতার পাশাপাশি সরঞ্জাম ব্যবহারে যত্নবান হলে কমে আসবে এসব দুর্ঘটনা।

ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ব্রি. জে. মো. সাজ্জাত হোসাইন বলছেন, বৈদ্যুতিক কারণে যে আগুনগুলো লাগে সেগুলো বেশিরভাগি হয় শর্টসার্কিট থেকে। এর কারণ হলো- নিম্নমানের তার, নিম্নমানের সামগ্রী, রক্ষণাবেক্ষন ও চুলার আগুন। সবাইকে সচেতন হতে হবে। এর মাধ্যমেই এসব দুর্ঘটনা কমে আসবে বলে জানান তিনি।

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্যাগস :

অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ৫ বছরে প্রায় এক লাখ

আপডেট : ১১:৫৫:১৬ পূর্বাহ্ন, সোমাবার, ১২ জুলাই ২০২১
::যুগের কন্ঠ ডেস্ক::

প্রতি বছরে দেশে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় অনেক মানুষ প্রাণ হারায়। এইতো গেলো বৃহস্পতিবার (৮ জুলাই) নারায়ণগঞ্জে হাসেম ফুডস কারখানায় ভয়াবহ আগুনে অন্তত ৫২ জনের মৃত্যু হয়। এনিয়ে গত ৫ বছরে দেশে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে প্রায় এক লাখ। এতে আর্থিক ক্ষতি ১ হাজার ৪৬০ কোটি। এই ক্ষতির ৫৭ শতাংশই বিদ্যুৎ গোলযোগ থেকে সৃষ্টি আগুনে।

ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অধিদপ্তরের তথ্য মতে, ২০১৬ থেকে ২০২০ সাল ডিসেম্বর পর্যন্ত ৯৯ হাজার ৭৫২টি অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটনা ঘটেছে। এরমধ্যে বিদ্যুৎ গোলযোগে আগুন লাগার ঘটনা ৩৭ হাজার ৪০৪টি। আর ১৯ হাজার ১২৪টি আগুন লাগে বিভিন্নধরণের চুলা থেকে। হিসাব বলছে, এই দুই ধরনের আগুন মোট দুর্ঘটনার ৫৬ শতাংশ।

তবে আগুনে আর্থিক ক্ষতির হিসাবটা আরও ভয়াবহ। দমকল বাহিনীর পরিসংখ্যান বলছে, গেলো ৫ বছরে আগুনে আর্থিক ক্ষতি ১ হাজার ৪৬০ কোটি টাকা। এরমধ্যে বিদ্যুৎ গোলযোগে ক্ষতি ৮৩৪ কোটি; যা মোট ক্ষতির ৫৭ শতাংশ। আর চুলার আগুনে আর্থিক ক্ষতি ১৬৬ কোটি বা ১১ শতাংশ।

বিশ্লেষকরা বলছেন, বিদ্যুৎ সংযোগে নিম্নমানের সামগ্রী ব্যবহার ও নিয়মিত পরিচর্যার অভাবে আগুন লাগার অন্যতম কারণ। সচেতনতার পাশাপাশি সরঞ্জাম ব্যবহারে যত্নবান হলে কমে আসবে এসব দুর্ঘটনা।

ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ব্রি. জে. মো. সাজ্জাত হোসাইন বলছেন, বৈদ্যুতিক কারণে যে আগুনগুলো লাগে সেগুলো বেশিরভাগি হয় শর্টসার্কিট থেকে। এর কারণ হলো- নিম্নমানের তার, নিম্নমানের সামগ্রী, রক্ষণাবেক্ষন ও চুলার আগুন। সবাইকে সচেতন হতে হবে। এর মাধ্যমেই এসব দুর্ঘটনা কমে আসবে বলে জানান তিনি।