নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে রাজধানীতে তাজিয়া মিছিল

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট : ০১:৫২:৩৬ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৫ অগাস্ট ২০২১
  • / 830
রাজধানীতে পবিত্র আশুরায় পুলিশের নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে শিয়া সম্প্রদায়ের উদ্যোগে তাজিয়া মিছিল করতে দেখা গেছে। শুক্রবার (২০ আগস্ট) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে পুরান ঢাকার ইমামবাড়া হোসেনী দালান থেকে মিছিলটি বের হয়।

এ বিষয়ে লালবাগ জোনের উপ-পুলিশ কমিশনার (ডিসি) জসীমউদ্দীন বলেন, এবার করোনা পরিস্থিতির কারণে তাজিয়া মিছিল বন্ধ ঘোষণা করা হয়। তারপরও কেউ যদি নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে মিছিল বের করে, তাদের বিরুদ্ধে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেয়া হবে।

জানা গেছে, কয়েকশো মানুষের তাজিয়া মিছিলটি হোসনি দালান থেকে বের হয়ে চকবাজার, লালবাগ, আজিমপুর, নিউমার্কেট ও জিগাতলা বাস স্ট্যান্ড প্রদক্ষিণ করে। এছাড়া আজিমপুর ইমামবাড়া থেকে বের হয় তাজিয়া মিছিল।

যারা মিছিলে যোগ দিয়েছেন তাদের বেশিরভাগেরই পরনে শোকের রঙ কালো পোশাক রয়েছে। পাশাপাশি তাদের হাতে আছে কালো, লাল রঙের আলাম বা নিশান। তাজিয়া মিছিলে যোগ দিয়ে শিয়া সম্প্রদায়ের অনুসারীরা বুক চাপড়িয়ে ‘হায় হোসেন’, ‘হায় হোসেন’ মাতম তুলছেন। তাদের মাতমে চারপাশের পরিবেশ ভারী হয়ে উঠেছে।

অনেকেই ইমাম হোসাইন (রা.)-এর সমাধিতে শ্রদ্ধা নিবেদন করছেন। সেই সঙ্গে নিজ পরিবারের সদস্যদের নিয়ে কবর জিয়ারত করছেন।

ইমামবাড়া কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, প্রতিবছরের মতো এবারও প্রচুর জনসমাগম হয়েছে। তবে ইমামবাড়া চত্বর ছোট হওয়ায় অনেকেই ভেতরে ঢুকতে পারেননি।

হোসেনি দালান ইমামবাড়া মিছিল পরিচালনা কমিটির যুগ্ম আহ্বায়ক সৈয়দ বাকার রেজা মাজলুম বলেন, ৪০০ বছর ধরে এখান থেকে ঐতিহ্যবাহী তাজিয়া মিছিল বের করা হয়। এ বছর করোনার কারণে তা সীমিত আকারে করা হচ্ছে। এজন্য মিছিল আয়োজনে কষ্ট হচ্ছে। কিন্তু করোনা প্রাদুর্ভাব যাতে আর বিস্তার না হয়, এটা মেনে নিয়েছি। আমরা যেন আবার স্বাভাবিক জীবনে ফিরতে পারি, এটাই প্রার্থনা করছি। আজকের দিনে এটাই চাওয়া।

করোনার প্রকোপ থেকে রক্ষা পেতে তাজিয়া মিছিল বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেয় সরকার। গত মঙ্গলবার (১৭ আগস্ট) ধর্ম মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছিল। কারবালার শোক স্মরণে প্রতিবছর আশুরার দিনে পুরান ঢাকার হোসেনি দালান থেকে বিশাল তাজিয়া মিছিল বের করা হয়।

পবিত্র আশুরা উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, বিরোধী দলের নেতা বেগম রওশন এরশাদ ও বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর পৃথক বাণী দিয়েছেন।

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্যাগস :

নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে রাজধানীতে তাজিয়া মিছিল

আপডেট : ০১:৫২:৩৬ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৫ অগাস্ট ২০২১
রাজধানীতে পবিত্র আশুরায় পুলিশের নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে শিয়া সম্প্রদায়ের উদ্যোগে তাজিয়া মিছিল করতে দেখা গেছে। শুক্রবার (২০ আগস্ট) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে পুরান ঢাকার ইমামবাড়া হোসেনী দালান থেকে মিছিলটি বের হয়।

এ বিষয়ে লালবাগ জোনের উপ-পুলিশ কমিশনার (ডিসি) জসীমউদ্দীন বলেন, এবার করোনা পরিস্থিতির কারণে তাজিয়া মিছিল বন্ধ ঘোষণা করা হয়। তারপরও কেউ যদি নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে মিছিল বের করে, তাদের বিরুদ্ধে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেয়া হবে।

জানা গেছে, কয়েকশো মানুষের তাজিয়া মিছিলটি হোসনি দালান থেকে বের হয়ে চকবাজার, লালবাগ, আজিমপুর, নিউমার্কেট ও জিগাতলা বাস স্ট্যান্ড প্রদক্ষিণ করে। এছাড়া আজিমপুর ইমামবাড়া থেকে বের হয় তাজিয়া মিছিল।

যারা মিছিলে যোগ দিয়েছেন তাদের বেশিরভাগেরই পরনে শোকের রঙ কালো পোশাক রয়েছে। পাশাপাশি তাদের হাতে আছে কালো, লাল রঙের আলাম বা নিশান। তাজিয়া মিছিলে যোগ দিয়ে শিয়া সম্প্রদায়ের অনুসারীরা বুক চাপড়িয়ে ‘হায় হোসেন’, ‘হায় হোসেন’ মাতম তুলছেন। তাদের মাতমে চারপাশের পরিবেশ ভারী হয়ে উঠেছে।

অনেকেই ইমাম হোসাইন (রা.)-এর সমাধিতে শ্রদ্ধা নিবেদন করছেন। সেই সঙ্গে নিজ পরিবারের সদস্যদের নিয়ে কবর জিয়ারত করছেন।

ইমামবাড়া কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, প্রতিবছরের মতো এবারও প্রচুর জনসমাগম হয়েছে। তবে ইমামবাড়া চত্বর ছোট হওয়ায় অনেকেই ভেতরে ঢুকতে পারেননি।

হোসেনি দালান ইমামবাড়া মিছিল পরিচালনা কমিটির যুগ্ম আহ্বায়ক সৈয়দ বাকার রেজা মাজলুম বলেন, ৪০০ বছর ধরে এখান থেকে ঐতিহ্যবাহী তাজিয়া মিছিল বের করা হয়। এ বছর করোনার কারণে তা সীমিত আকারে করা হচ্ছে। এজন্য মিছিল আয়োজনে কষ্ট হচ্ছে। কিন্তু করোনা প্রাদুর্ভাব যাতে আর বিস্তার না হয়, এটা মেনে নিয়েছি। আমরা যেন আবার স্বাভাবিক জীবনে ফিরতে পারি, এটাই প্রার্থনা করছি। আজকের দিনে এটাই চাওয়া।

করোনার প্রকোপ থেকে রক্ষা পেতে তাজিয়া মিছিল বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেয় সরকার। গত মঙ্গলবার (১৭ আগস্ট) ধর্ম মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছিল। কারবালার শোক স্মরণে প্রতিবছর আশুরার দিনে পুরান ঢাকার হোসেনি দালান থেকে বিশাল তাজিয়া মিছিল বের করা হয়।

পবিত্র আশুরা উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, বিরোধী দলের নেতা বেগম রওশন এরশাদ ও বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর পৃথক বাণী দিয়েছেন।