বাংলাদেশে নিউক্লিয়ার মেডিসিনের চার দশকের অগ্রযাত্রা তুলে ধরে “Advances in Nuclear Medicine in Bangladesh: A Journey of More Than Four Decades” শীর্ষক এক বৈজ্ঞানিক সেমিনার বৃহস্পতিবার (১৬ অক্টোবর) বাংলাদেশ পরমাণু শক্তি কমিশনের ড. আনোয়ার হোসেন অডিটোরিয়ামে অনুষ্ঠিত হয়।
বাংলাদেশ পরমাণু শক্তি কমিশনের উদ্যোগে আয়োজিত এ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. আনোয়ার হোসেন।
তিনি বলেন, “বাংলাদেশ পরমাণু শক্তি কমিশন দীর্ঘদিন ধরে চিকিৎসা ও মানবকল্যাণে পরমাণু প্রযুক্তির প্রয়োগে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখে আসছে। বিশেষত ক্যান্সার, কার্ডিয়াক ও অন্যান্য জটিল রোগের চিকিৎসায় এ প্রতিষ্ঠানের অবদান প্রশংসনীয়।”
সচিব বলেন, পরমাণু শক্তি কমিশনের বহু গুরুত্বপূর্ণ যন্ত্রপাতি ও স্থাপনা এখনো পুরোপুরি ব্যবহার হচ্ছে না। সরকারের বিদ্যমান সম্পদসমূহকে একটি নীতিমালার আওতায় এনে বেসরকারি খাত, বিশেষ করে ওষুধ ও রপ্তানি খাতে ব্যবহার উপযোগী করে তোলার ওপর তিনি জোর দেন।
তিনি বলেন, “নির্দিষ্ট ফি-এর বিনিময়ে বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলো যেন সরকারের টেস্টিং ফ্যাসিলিটিজ ব্যবহার করে দেশের ওষুধ ও অন্যান্য পণ্যের গুণগত মান উন্নয়নে ভূমিকা রাখতে পারে, সেটি নিশ্চিত করতে হবে।”
এছাড়া সচিব বলেন, “পরমাণু শক্তি কমিশন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষের লোকবল সীমিত হলেও দক্ষতা ও সমন্বয়ের মাধ্যমে আরও বেশি কাজ করা সম্ভব। তিনি পরমাণু শক্তি কমিশনের লোকবল বৃদ্ধির বিষয়ে কনক্রম নেয়া হবেবলে আশ্বাস দেন। বর্তমানে সপ্তাহে তিন দিন রোগী সেবা দেওয়া হয়—এটি সপ্তাহের সাত দিন করার ব্যবস্থা নিতে হবে।” মাম সংশ্লিষ্ট দের ব্যবস্থা নিতে বলেন।
তিনি জানান, গবেষণা, একাডেমিয়া ও শিল্প খাতের মধ্যে সমন্বয় বাড়ানোর মাধ্যমে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের কার্যক্রম আরও ফলপ্রসূ করা হবে। ইতোমধ্যেই বেশ কয়েকটি সমঝোতা স্মারক (MoU) স্বাক্ষর হয়েছে এবং ভবিষ্যতে দেশি-বিদেশি প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে প্রযুক্তি হস্তান্তরের উদ্যোগ নেওয়া হবে।
সচিব আরও বলেন, ময়মনসিংহ ও চট্টগ্রামে শিগগিরই সাইক্লোট্রন উৎপাদন কেন্দ্র স্থাপন করে আইসোটোপ উৎপাদনের মাধ্যমে সরকারি-বেসরকারি ক্লিনিকগুলোতে সরবরাহ করা হবে। তিনি সাভারে নতুন ইনফ্রাস্ট্রাকচার গড়ে তোলার তৃতীয় ধাপের কাজ দ্রুত শুরু করতে বাংলাদেশ পরমাণু শক্তি কমিশনকে নির্দেশ দেন।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ পরমাণু শক্তি কমিশনের চেয়ারম্যান ড. মো. মজিবুর রহমান। এ সময় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, বিসিএসআইআর, পরমাণু শক্তি নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষ, শিল্প ও বাণিজ্য খাতের প্রতিনিধি এবং বাংলাদেশ পরমানু শক্তি কমিশনের বিভিন্ন পর্যায়ের বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।