চোখের সামনে সন্তানকে বেড়ে উঠতে দেখা আনন্দের। তবে সন্তান লালন পালন খুব সহজ বিষয় নয়। বাবা-মাকে অনেক কসরত করতে হয়। পরিবারের অন্যান্য ও অভিভাবককেও বেশ সচেতন থাকতে হয়। অনেক সময় না বোঝেই সন্তানের সামনে বাবা-মা ও অভিভাবকেরা এমন অনেক আচরণ করে ফেলেন, যা শিশু সন্তানের আচরণগত দিক এবং মানসিক বিকাশে প্রভাব ফেলে।
যেসব ভুল করা উচিত নয়:
অতিরিক্ত শাসন: সন্তান ছোট হোক কিংবা বড়, তার ভুল স্বাভাবিকভাবে মেনে নিন। অনেক অভিভাবক ভুলের জন্য কঠোর শাসন করেন। এতে সন্তানের আত্মবিশ্বাস কমে যায় এবং অভিভাবকের সঙ্গে দূরত্ব তৈরি হয়।
অন্যের সাথে তুলনা: সন্তানের পরীক্ষার ফলাফল, উচ্চতা, কর্মকাণ্ড কোনোকিছু নিয়েই অন্যদের সঙ্গে তুলনা করা উচিত নয়। সন্তানকে ভাইবোন বা বন্ধুদের সাথে তুলনা করলে তা তাদের মনে নেতিবাচক প্রভাব ফেলে। তারা হীনমন্যতায় ভোগে। তারা নিজস্ব দক্ষতা বিকাশ করতে কুণ্ঠাবোধ করে।
ভুল স্বীকার না করা: বাবা-মায়ের ভুল হয়। সন্তানেরও ভুল হতে পারে। এ ব্যাপারগুলো স্বাভাবিক। নিজে ভুল করলে তার জন্য সন্তানের কাছে ক্ষমা চাইতে বা ভুল স্বীকার করতে লজ্জা পাবেন না। এতে সম্পর্ক দৃঢ় হবে। সন্তান শিখবে যে ভুল করা স্বাভাবিক বিষয়।
প্রশংসা না করা: ভালো কাজের জন্য শিশুদের প্রশংসা করুন। ছবি আঁকা, সুন্দর হাতের লেখা, ঠিক সময় পড়তে বসার জন্যও প্রশংসা করুন। এতে সন্তানের আত্মবিশ্বাস বাড়ে, ভালো কাজের প্রতি আগ্রহও বাড়ে। নয়তো তারা ভালো কাজে আগ্রহ হারিয়ে ফেলতে পারে।
সময় না দেওয়া: মূল্যবান উপহার বা টাকার পরিবর্তে সন্তানের জন্য সময় দেওয়া বেশি গুরুত্বপূর্ণ। তাদের প্রতি আপনার সময় এবং মনোযোগ দেওয়া উচিত। এতে তারা নিজেদের অবহেলিত মনে করে না। আপনার প্রতিও ভালোবাসা ও সম্মান বাড়বে।
সিদ্ধান্ত নেওয়ার সুযোগ না দেওয়া: সন্তানকে ছোট ছোট সিদ্ধান্ত নিতে দিন। যেমন কী খাবে, কোন জামা পরবে সে বিষয়েও তাদের মতামত নিতে দিন। এতে তাদের আত্মবিশ্বাস বাড়ে।
সন্তানের সামনে নেতিবাচক কথা বলা: সন্তানের সামনে অন্যকে অপমান-অশ্রদ্ধা করে কথা বলা উচিত নয়। অন্যের নামে নেতিবাচক কথা বলা উচিত নয়। তবে হ্যাঁ, কিছু কিছু বাস্তব বিষয় সন্তানের সামনে আলোচনা করবেন।