শনিবার, ১৮ই অক্টোবর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ২রা কার্তিক, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

সরাসরি বিশ্বকাপ নিশ্চিতে চোখ উইন্ডিজের

অনলাইন ডেস্ক
অক্টোবর ১৮, ২০২৫ ১১:১৪ পূর্বাহ্ণ
Link Copied!

মিরপুরের উইকেট দেখে কিছুটা ঘাবড়ে গেছেন ওয়েস্ট ইন্ডিজ দলের প্রধান কোচ ড্যারেন স্যামি। কালো মাটির তৈরি এই উইকেট কেমন আচরণ করতে পারে, তা অনুমানই করতে পারছেন না তিনি।

কিন্তু এই সিরিজ ঘিরে কোচ হিসেবে তার আশা অনেক বেশি। ২০২৭ বিশ্বকাপে সরাসরি খেলার যোগ্যতা অর্জনের জন্যও সিরিজটি গুরুত্বপূর্ণ বটে। এখন থেকেই সেরা ৮-এ থাকতে হবে সরাসরি যোগ্যতা অর্জনের লড়াইয়ে থাকা দলগুলোর। সেক্ষেত্রে র‌্যাংকিংয়ে ৯-এ থাকা উইন্ডিজের জন্য যেমন চ্যালেঞ্জ, তেমনি চ্যালেঞ্জ আরও একধাপ পিছিয়ে থাকা বাংলাদেশেরও।

২০২৭ বিশ্বকাপে সরাসরি খেলার সুযোগ পেতে এখনো অনেক বাকি। এখনো প্রায় দেড় বছর বাকি। তবে দলগুলোর ভেতর এখনই লড়াইয়ের প্রতিযোগিতা শুরু হয়েছে। উইন্ডিজ কোচও বলছেন বিশ্বকাপে সরাসরি খেলার যোগ্যতা অর্জনের লক্ষ্য তার দলের, ‘আমাদের এখানে ভালো খেলতে হবে। আমরা ২০২৭ দক্ষিণ আফ্রিকার বিশ্বকাপে সরাসরি খেলার যোগ্যতা অর্জনের একটা অভিযানে আছি। দল এখন সেদিকেই মনোযোগ দিচ্ছে, পয়েন্টগুলো অর্জন করতে পারলে সেটা আমাদের সরাসরি খেলার যোগ্যতা এনে দেবে।’ সর্বশেষ দেখায় উইন্ডিজের মাটিতে সিরিজ হেরেছিল বাংলাদেশ। তবে ঘরের মাঠে মেহেদী হাসান মিরাজরা যে ভিন্ন শক্তির দল সে কথাও স্মরণে আছে স্যামির, ‘ঘরের মাঠে আমরা বাংলাদেশের বিপক্ষে সফল একটা সিরিজ খেলেছি। আমরা জানি তারা এমন একটা দল, যারা ঘরের মাঠে সবসময় চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দেয়। আমি নিশ্চিত অধিনায়কও আমার সঙ্গে একমত হবে, জিততে হলে আমাদের ভালো ক্রিকেট খেলতে হবে।’

মিরপুরে সিরিজ মানেই একটা কথা পরিষ্কার—স্পিন সুবিধা থাকবে। বছরের পর বছর এমনটাই দেখা গেছে। কিছুটা অ্যাডভান্টেজ নিতেই এখানে সিরিজ খেলে বাংলাদেশ। এবারও সেরকম কিছু অপেক্ষা করছে বললে ভুল হবে না। কিন্তু উইকেট দেখে রীতিমতো চমকেই গেছেন উইন্ডিজ কোচ। এত কালো মাটির উইকেট আগে নাকি দেখেননি তিনি, ‘অধিনায়ক এখনো উইকেট দেখেনি, কিন্তু আমি দেখেছি। আমি নিশ্চিত নই এটা রেপ্লিকেট করতে পারব কি না। আমরা আগে এমন (উইকেট) কিছু দেখিনি। কিন্তু আমরা সবাই জানি উপমহাদেশে কী ধরনের চ্যালেঞ্জ থাকে, বিশেষ করে আমাদের ব্যাটারদের জন্য। আমার মনে হয়, ভারত থেকে এখানে আসাটা আমাদের জন্য বাড়তি একটা সুবিধা। কারণ ছেলেরা এমন কিংবা কাছাকাছি কন্ডিশনে খেলে অভ্যস্ত হয়েছে।’

বাংলাদেশের বিপক্ষে খেলতে নামার আগে শক্তির বিচারে উইন্ডিজ এখন খুব বেশি এগিয়ে নেই। দুই দলই শক্তির জায়গায় অনেকটা কাছাকাছি। অথচ একটা সময় বিশ্বক্রিকেটে আধিপত্যের সঙ্গে লড়াই করেছিল ক্যারিবীয়রা। সেসব এখন স্মৃতি আর গল্পের মতো। তারপরও স্যামির চোখে উইন্ডিজ ক্রিকেটের অতীত রাজকীয়ই, ‘আমার মনে হয় ওয়েস্ট ইন্ডিজ ক্রিকেটের ধারণাটা ক্রিকেট ইতিহাসের সবচেয়ে সফল ব্র্যান্ডকে তুলে ধরে। আমি আগেও বলেছি, আমরা যখন দাপটের সঙ্গে খেলতাম, তখন সবাই ওয়েস্ট ইন্ডিজের হয়ে খেলতে চাইত।’ খারাপ সময় কেটে যাবে বলে বিশ্বাস তার, ‘সব দলই এমন একটা অবস্থার মধ্য দিয়ে যায়, আমরা এখন সেই সময়ের মধ্য দিয়ে যাচ্ছি। কিন্তু ওয়েস্ট ইন্ডিজ ক্রিকেট কখনো ব্যর্থ হবে না।’