ফতুল্লায় ওয়াকওয়ে ভেঙে অবৈধ স্থাপনা, উচ্ছেদ মঙ্গলবার
২৮ মে ২০১৮, ১৫:৩৫

নারায়ণগঞ্জ প্রতিনিধি
ফতুল্লার পোস্ট অফিস থেকে শুরু করে পাগলা মুন্সিখোলা এলাকায় দখল নিয়ে গড়ে তোলা অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদে মঙ্গলবার (২৯ মে) সকাল থেকে একজন নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেটের নেতৃত্বে বিআইডব্লিউটিএ ঢাকা নদী বন্দর এই উচ্ছেদ অভিযান চালাবে।
গত ৩ মে ফতুল্লা মডেল থানায় বিআইডব্লিউটিএ ঢাকা নদী বন্দরের পক্ষ থেকে একটি জিডি করা হয়। জিডিতে শ্রমিকলীগ নেতা কাউছার আহম্মেদ পলাশ ও তার নেতৃত্বাধীন অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিদের অভিযুক্ত করা হয় ওয়াকওয়ে ভাঙার ব্যাপারে।
তখন বিআইডব্লিউটিএ ঢাকা নদী বন্দরের যুগ্ম পরিচালক আরিফউদ্দিন জানান, ফতুল্লা, আলীগঞ্জ, পাগলাবাজার এলাকার ওয়াকওয়ে ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্থ করে এলাকার কিছু প্রভাবশালী ব্যক্তি ব্যবসা করছে। কোটি কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত ওয়াকওয়ে ভেঙে তারা সেখানে কয়লা, বালু, সাদা সিমেন্ট সহ নানা রকম ব্যবসা করছে।
তিনি জানিয়েছিলেন, সরেজমিনে পরিদর্শন করে কয়েকটা প্রতিষ্ঠানের কাজ বন্ধ করে দিয়েছি। কাজ বন্ধ করে দিলেও তারা স্থানীয় ভাবে প্রভাবশালী। আর ওইসব প্রভাবশালীর ব্যক্তিদের কারণে এসব কিছু হচ্ছে। এখানে অনেকেই কাউছার আহম্মেদ পলাশের নাম বলেছে। তার নেতৃত্বে ওখানে রশিদ হাজী, সেন্টু এরা বেশ কিছু প্রভাবশালী লোক এ কাজ করছে। মূলত এগুলোর মধ্যে কাউছার আহম্মেদ পলাশের নামই বেশি শোনা যাচ্ছে। তার ছত্রছায়ায় এগুলো হচ্ছে। যারা এখানে নতুন নতুন গদি বানাচ্ছে শোনা যাচ্ছে কাউসার আহমেদ পলাশ এগুলো উদ্বোধন করছে।
তবে কাউছার আহমেদ পলাশ জানিয়েছিলেন, কেউ যদি ওয়াকওয়ে ভেঙে থাকে তাহলে পুলিশ ব্যবস্থা নিক, আমাদের আপত্তি নেই। পাশাপাশি এটাও দেখা উচিত কারা ভেঙেছে অথবা নিম্ন মানের নির্মাণ সামগ্রী দিয়ে ওয়াকওয়ে নির্মাণের কারণে সেটি ভেঙে গেছে কিনা।
এদিকে বিআইডব্লিউটিএ ঢাকা নদী বন্দরের একটি সূত্র জানায়, মঙ্গলবার থেকে একজন নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেটের নেতৃত্বে পাগলা মুন্সিখোলা এলাকা থেকে উচ্ছেদ অভিযান শুরু হতে যাচ্ছে। উচ্ছেদ অভিযানে বিপুল সংখ্যক পুলিশ আনসারসহ এক্সাভেটর (ভেকু) ও উচ্ছেদ কর্মীরা থাকবে।
বিআইডব্লিউটিএ ঢাকা নদী বন্দরের যুগ্ম পরিচালক আরিফউদ্দিন জানান, মঙ্গলবার সকাল থেকে একজন নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেটের নেতৃত্বে পাগলা মুন্সিখোলা এলাকা থেকে উচ্ছেদ অভিযান শুরু হতে যাচ্ছে। দখলদাররা যত প্রভাবশালীই হোক না কেন তাদের কোন প্রকার ছাড় দেয়া হবে না।