নিজস্ব প্রতিবেদক
অবশেষে বহিষ্কারের বিরুদ্ধে মুখ খুললেন ক্ষমতাসীন ১৪ দলীয় মহাজোটের শরিক বাংলাদেশ তরিকত ফেডারেশনের সাবেক মহাসচিব এম এ আউয়াল এম পি। অন্যায়ভাবে তাকে দলীয় মহাসচিবের পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে বলে তিনি গতকাল রাজধানীর কলাবাগানে নিজ কার্যালয়ে এক সাংবাদিক সম্মেলনে এ অভিযোগ করেন।
দলের মহাসচিব পদ থেকে হঠাৎ তাকে অপসারণ করা অগণতান্ত্রিক এবং গঠনতন্ত্রবিরোধী হয়েছে দাবি করে তরিকত ফেডারেশনের সাবেক এই মহাসচিব বলেন, আমি সঠিক বলতে পারবো না কি করাণে আমাকে বহিষ্কার করা হয়েছে। তবে এপ্রিলের ২৮ তারিখকাউন্সিলের আগে হঠাৎ ১৬ এপ্রিল আমাকে অপসারণ করা হয়। আমি মনে করি এটা উদ্যেশ্যপ্রণোদিত। এতে আমি ক্ষুব্ধ এবং তীব্র প্রতিবাদ জানাই। গণতান্ত্রিকভাবে সব কাজ হওয়া দরকার। আমি তরিকতের সাথেই ছিলাম, থাকব বলে দাবি করেন তিনি।
নিজ দল থেকে বহিষ্কার হলেও ১৪ দলীয় মহাজোট থেকে আগামী জাতীয় নির্বাচনে অংশ গ্রহণের ইচ্ছের কথা জানিয়ে তিনি বলেন:আরও উন্নয়ন ও গণতন্ত্রের ধারাবাহিকতা বজায় রাখতে আগামী নির্বাচনে আবারও মহাজোটসরকারকে ক্ষমতায় আনার কোনো বিকল্প নেই। এ লক্ষ্যে ১৪-দলীয় জোটকে আরও শক্তিশালী ও বেগবান হতে হবে।
বর্তমানে আমি তরিকতের মহাসচিব না থাকলেও দলটির একজন কর্মী। বর্তমানে আমাদের দুজনসংসদ সদস্য আছে। আগামী নির্বাচনে আমরা দশটি আসন জোটের কাছে চাইব। ইসলাম নিয়ে কাজ করা এবং মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাসী ইসলামী দলগুলোকে একটি নির্দিষ্ট প্ল্রাটফর্মে আনার জন্য অতীতের প্রচেষ্টা এখনও অব্যাহত রয়েছে বলেও জানান তিনি। এম এ আউয়াল আরও বলেন, আমি চেয়েছিলাম যেসব দল সত্যিকারের ইসলাম নিয়ে কাজ করে এবং মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাস করে, তাদের আলাদ না রেখে এক জায়গায় নিয়ে আসতে।
তাহলে মুক্তিযুদ্ধেও চেতনায়বিশ্বাসী ইসলামী দলগুলোকে নিয়ে একসাথে কাজ করতে পারব। আমরা অনেকগুলো দলের সাথে যোগাযোগ করেছিলাম। তাদের কাছ থেকে ইতিবাচক সাড়া পেয়েছিলাম এবং যোগাযোগ অব্যাহত আছে। এই জোট আমি এগিয়ে নিয়ে যাব।