আড়ালে
অগোছালো যতো।
————————————————-জাকির তাহের কাজল
কেন এমনটা হয় ,—–
দিনগুলো যায় লুকোচুরি খেলে।
আর,রাতের দীর্ঘ প্রহরগুলো হামাগুড়ি দিয়ে ক্লান্ত ভোর হয়।
ইদানিং,——
এস্রাজও তার সুরের সুঠাম খুয়ে কেনো যেন নিভু-নিভু।
সুরে যেন বেসুরো ব্যান্জনার অবাঞ্ছিত দাপট।
সুরের —–
জুবুথুবু রুপ যেন দাঁত কেলিয়ে বিদ্রুপে হাসে।
আমার বড্ড কষ্ট হয়।—
আমার ব্যালকনিতেও যেন আজ আলো আসে না। ——
আমার ব্যালকনিও কেনো যেন বিদ্রুপ করে ইদানিং।
দখিনা পবনে ভেসে আসা রাক্ষুসে শ্বাপদ বিশ্রী গন্ধ।
ব্যালকনিতে প্রজাপতি আর পাখা মেলেনা ইদানিং।
সেখানে আজ নীল মাছির আনাগোনা। মনে হয়,—-
কি যেন পঁচার ভাগাড় !
যে টুকুন রুপালি জোছনা আসে জানালায়, তাতেও বালুকণার আস্তরণ !, মনে হয়,
এ যেন ঝড়ের পূর্বাভাস!
ঝড় বুঝি খুব কাছে! ——–
ইদানিং, নির্ভীক বসে থাকা মাছরাঙ্গাও ডাল ছেড়ে নেমে আসে শুষ্ক ঘাসে।
কেন এমনটা চোখে আসে আমার !
শ্যামাচরণ বাউলের কথাও ইদানিং ঢোকে গেলে না। কী হয়েছে এমন !
ষষ্ঠ ইন্দ্রীয় নিকুচি করে
ঠাঁই চুপচাপ!
কিছু অগোছালো নিরুত্তর নির্দয় ভেংচি কেটে পাড়ি জমিয়েছে যোজন যোজন দূরে! ——-
তবে কি চাপা ছাইয়ে লুক্কায়িত দগদগে আগুন
চোখ ঠেলে বেরিয়ে আসতে চায়?
নাকি,এ আমার দেখা কোনো ভুল,- অথবা অসার
কোনো ক্লান্তি!——-