নির্বাচনের দিনক্ষণ জানানোর দায়িত্ব সরকারের কোনা মন্ত্রীর নয় বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। সম্প্রতি অর্থমন্ত্রী বলেছিলেন ডিসেম্বরের ২৭ তারিখেই জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।
অর্থমন্ত্রীকে ইঙ্গিত করে বৃহস্পতিবার গুলিস্তানের বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে রাজশাহী মহানগর ও জেলা আওয়ামী লীগের নেতাদের সঙ্গে মতবিনিময় সভা শেষে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘নির্বাচন কমিশনই বলবে—কবে নির্বাচন হবে। এটি বলার দায়িত্ব সরকার কিংবা সরকারের কোনো মন্ত্রীর নয় কিংবা দলের কোনো নেতার না। তাই আমাদের যার যার এরিয়ার মধ্যে সীমিত থেকে রেসপনসিবল ভূমিকায় থাকলে দেশ, গণতন্ত্র ও সরকারের জন্য ভালো।’
তিনি বলেন, ‘২৭ ডিসেম্বর নির্বাচনের সম্ভাব্য তারিখ, এটি নিশ্চিত হলেও তা বলার দায়িত্ব আমাদের না, এটি নির্বাচন কমিশনের দায়িত্ব। নির্বাচন কমিশনকে বিব্রত করা আমাদের কাজ না।’
ওবায়দুল কাদের বলেন, আওয়ামী লীগের মতো বড় দলকে বাদ দিয়ে জাতীয় ঐক্য সম্ভব নয়। জাতীয় ঐক্যের নামে যা হচ্ছে, তা সাম্প্রদায়িক মেরুকরণ।
তিনি আরো বলেন, আওয়ামী লীগ জনগণের ঐক্যে বিশ্বাসী। প্রয়োজন হলে আওয়ামী লীগ ঐক্যের ডাক দিবে।
নির্বাচনকালীন সরকারের রূপরেখা কেমন হবে জানতে চাইলে তিনি বলেন, নির্বাচনকালীন সরকারের রূপরেখার ব্যাখ্যা দিতে পারবেন একমাত্র প্রধানমন্ত্রী। দলের অন্য কেউ এর বাখ্যা দিতে পারেন না।
আওয়ামী লীগের মনোনয়ন প্রত্যাশীদের উদ্দেশ্যে ওবায়দুল কাদের বলেন, অশুভ প্রতিযোগিতা করে কেউ নমিনেশন পাবে না। জনমতের ভিত্তিতে নমিনেশন দেওয়া হবে।
সভায় আরো উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক খালিদ মাহমুদ চৌধুরী, দপ্তর সম্পাদক ড. আব্দুস সোবহান গোলাপ, সাংস্কৃতিক সম্পাদক অসীম কুমার উকিল, উপ-দপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া, রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনের নব নির্বাচিত মেয়র এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন প্রমুখ।