ঢাকা ০৪:৫৮ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

শিমুলিয়ায় মানুষের ঢল, ফাঁকা পাটুরিয়া

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট : ০১:৩৬:০২ অপরাহ্ন, রবিবার, ৯ মে ২০২১
  • / 247

বামে পাটুরিয়া ঘাট ডানে শিমুলিয়া। ছবি নিজস্ব

::নিজস্ব প্রতিবেদক::

করোনা সংক্রমণ রোধে সরকার ঘোষিত বিধিনিষেধ বাস্তবায়নে ঈদে ঘরমুখো মানুষের জনস্রোত ঠেকাতে মুন্সীগঞ্জের মাওয়া এবং মানিকগঞ্জের পাটুরিয়া ফেরিঘাটে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) মোতায়েন করা হয়েছে।

এরপরও আজ রোববার বিজিবির বাধা উপেক্ষা করে ঈদে নাড়ির টানে ঘরমুখো মানুষের উপচেপড়া ভিড় দেখা গেছে মুন্সীগঞ্জের শিমুলিয়া ঘাটে। তবে মানিকগঞ্জের পাটুরিয়া ফেরিঘাটে ঘরমুখী মানুষের ভিড় তেমনটা দেখা যায়নি।

রোববার সকাল আটটা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত শিমুলিয়া ঘাট থেকে যাত্রী বোঝাই করে দুটি ফেরি ছেড়ে যায়। ফেরি দুটিতে কমপক্ষে পাঁচ হাজার যাত্রী ছিলো বলে ধারণা করা হচ্ছে।

তবে ঘাট কর্তৃপক্ষ বলছে, অ্যাম্বুলেন্স ও জরুরি প্রয়োজন ছাড়া ফেরি ছাড়া হচ্ছে না। যখনই অ্যাম্বুলেন্স নিয়ে ফেরি ছাড়া হয়, তখনই ওই ফেরিতে যাত্রীরা হুমড়ি খেয়ে পড়েন। যাত্রীদের কোনোভাবেই নিয়ন্ত্রণ করা যাচ্ছে না।

বিআইডব্লিউটিসির একটি সূত্র জানায়, করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাতে মুন্সিগঞ্জের শিমুলিয়া ও মাদারীপুরের বাংলাবাজার ফেরিঘাটে সীমিত আকারে তিন থেকে চারটি ফেরি জরুরি ভিত্তিতে আসা যানবাহন ও যাত্রী নিয়ে চলাচল করছে।

আজ সকাল আটটায় কুঞ্জলতা ও সাড়ে আটটায় কুমিল্লা নামের দুটি ছোট ফেরি শিমুলিয়ার উদ্দেশে ছেড়ে যায়। আর শিমুলিয়া থেকেও সকাল আটটায় ফরিদপুর নামের একটি ছোট ফেরি সকাল সাড়ে নয়টায় বাংলাবাজার ঘাটে এসে পৌঁছায়। এতে কমপক্ষে দেড় হাজার যাত্রী ছিলেন। এরপর সোয়া ১১টায় বাংলাবাজার ঘাটে আসে রো রো ফেরি শাহ্ পরান। এ ফেরিতেও প্রায় সাড়ে তিন হাজার যাত্রী ছিলেন।

এসময় যাত্রীদের মধ্যে করোনা নিয়ে কোনো সচেতনতা দেখা যায়নি। যাত্রীরা একে অপরের গা ঘেঁষে দাঁড়ানো। কিছু যাত্রীর মুখে মাস্ক থাকলেও বেশির ভাগ যাত্রীর মুখে নেই মাস্ক। ঘাট এলাকায়ও নেই করোনা নিয়ে কোনো ধরনের সচেতনতা।

এ বিষয়ে বিআইডব্লিউটিসির শিমুলিয়া ঘাটের ব্যবস্থাপক ফয়সাল বাংলাদেশ জার্নালকে বলেন, বিজিবির বাধা উপেক্ষা করে ঘাট এলাকায় প্রচুর পরিমাণ লোক রয়েছে। সকাল ৮টায় ফরিদপুর নামে একটি ফেরি পাঁচটি লাশবাহী অ্যাম্বুলেন্স নিয়ে ছেড়ে যায়। এ সময় ফেরিতে অনেক লোক উঠে পড়ে।

এদিকে রোববার ভোর হতে পাটুরিয়া ফেরি ঘাটে জড়ো হতে শুরু করে হাজারো যাত্রী। তবে বিজিবি সদস্যরা সক্রিয় হলে যাত্রীশূন্য হয়ে পরে পুরো ঘটা এলাকা। বিচ্ছিন্নভাবে কিছু যাত্রী ঘাটে পৌঁছালেও তারা অ্যাম্বুলেন্স পারের জন্য চলাচলরত ফেরিতে করে নদী পার হচ্ছেন।

সরেজমিনে দেখা যায়, মানিকগঞ্জে ঢাকা-আরিচা মহাসড়কসহ তিনটি পয়েন্টে ফেরিঘাটগামী যানবাহন নিয়ন্ত্রণ করছে বিজিবি। অ্যাম্বুলেন্স ও জরুরি মালামাল বোঝাই যানবাহনগুলো ঘাটে আসতে দিলেও চেকপোস্টে আটকে দেয়া হচ্ছে যাত্রীবাহী গাড়িগুলো। অনেককেই ঘাট থেকে ফেরত পাঠানো হচ্ছে। প্রশাসনের কঠোর নজরদারিতে পরিচয়পত্রে মানিকগঞ্জের স্থায়ী বাসিন্দা ছাড়া কাউকেই প্রবেশ করতে দিচ্ছে না বিজিবি।

এ বিষয়ে বাংলাদেশ নৌপরিবহন করপোরেশন আরিচা কার্যালয়ের ডিজিএম জিল্লুর রহমান বলেন, সকাল থেকে ঘাটে ফেরি চলাচল বন্ধ আছে। জরুরিভাবে অ্যাম্বুলেন্স পারাপার হচ্ছে। গত দুইদিনের তুলনায় আজ ঘাটে যাত্রীর চাপ অনেকটাই কম।

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্যাগস :

শিমুলিয়ায় মানুষের ঢল, ফাঁকা পাটুরিয়া

আপডেট : ০১:৩৬:০২ অপরাহ্ন, রবিবার, ৯ মে ২০২১
::নিজস্ব প্রতিবেদক::

করোনা সংক্রমণ রোধে সরকার ঘোষিত বিধিনিষেধ বাস্তবায়নে ঈদে ঘরমুখো মানুষের জনস্রোত ঠেকাতে মুন্সীগঞ্জের মাওয়া এবং মানিকগঞ্জের পাটুরিয়া ফেরিঘাটে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) মোতায়েন করা হয়েছে।

এরপরও আজ রোববার বিজিবির বাধা উপেক্ষা করে ঈদে নাড়ির টানে ঘরমুখো মানুষের উপচেপড়া ভিড় দেখা গেছে মুন্সীগঞ্জের শিমুলিয়া ঘাটে। তবে মানিকগঞ্জের পাটুরিয়া ফেরিঘাটে ঘরমুখী মানুষের ভিড় তেমনটা দেখা যায়নি।

রোববার সকাল আটটা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত শিমুলিয়া ঘাট থেকে যাত্রী বোঝাই করে দুটি ফেরি ছেড়ে যায়। ফেরি দুটিতে কমপক্ষে পাঁচ হাজার যাত্রী ছিলো বলে ধারণা করা হচ্ছে।

তবে ঘাট কর্তৃপক্ষ বলছে, অ্যাম্বুলেন্স ও জরুরি প্রয়োজন ছাড়া ফেরি ছাড়া হচ্ছে না। যখনই অ্যাম্বুলেন্স নিয়ে ফেরি ছাড়া হয়, তখনই ওই ফেরিতে যাত্রীরা হুমড়ি খেয়ে পড়েন। যাত্রীদের কোনোভাবেই নিয়ন্ত্রণ করা যাচ্ছে না।

বিআইডব্লিউটিসির একটি সূত্র জানায়, করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাতে মুন্সিগঞ্জের শিমুলিয়া ও মাদারীপুরের বাংলাবাজার ফেরিঘাটে সীমিত আকারে তিন থেকে চারটি ফেরি জরুরি ভিত্তিতে আসা যানবাহন ও যাত্রী নিয়ে চলাচল করছে।

আজ সকাল আটটায় কুঞ্জলতা ও সাড়ে আটটায় কুমিল্লা নামের দুটি ছোট ফেরি শিমুলিয়ার উদ্দেশে ছেড়ে যায়। আর শিমুলিয়া থেকেও সকাল আটটায় ফরিদপুর নামের একটি ছোট ফেরি সকাল সাড়ে নয়টায় বাংলাবাজার ঘাটে এসে পৌঁছায়। এতে কমপক্ষে দেড় হাজার যাত্রী ছিলেন। এরপর সোয়া ১১টায় বাংলাবাজার ঘাটে আসে রো রো ফেরি শাহ্ পরান। এ ফেরিতেও প্রায় সাড়ে তিন হাজার যাত্রী ছিলেন।

এসময় যাত্রীদের মধ্যে করোনা নিয়ে কোনো সচেতনতা দেখা যায়নি। যাত্রীরা একে অপরের গা ঘেঁষে দাঁড়ানো। কিছু যাত্রীর মুখে মাস্ক থাকলেও বেশির ভাগ যাত্রীর মুখে নেই মাস্ক। ঘাট এলাকায়ও নেই করোনা নিয়ে কোনো ধরনের সচেতনতা।

এ বিষয়ে বিআইডব্লিউটিসির শিমুলিয়া ঘাটের ব্যবস্থাপক ফয়সাল বাংলাদেশ জার্নালকে বলেন, বিজিবির বাধা উপেক্ষা করে ঘাট এলাকায় প্রচুর পরিমাণ লোক রয়েছে। সকাল ৮টায় ফরিদপুর নামে একটি ফেরি পাঁচটি লাশবাহী অ্যাম্বুলেন্স নিয়ে ছেড়ে যায়। এ সময় ফেরিতে অনেক লোক উঠে পড়ে।

এদিকে রোববার ভোর হতে পাটুরিয়া ফেরি ঘাটে জড়ো হতে শুরু করে হাজারো যাত্রী। তবে বিজিবি সদস্যরা সক্রিয় হলে যাত্রীশূন্য হয়ে পরে পুরো ঘটা এলাকা। বিচ্ছিন্নভাবে কিছু যাত্রী ঘাটে পৌঁছালেও তারা অ্যাম্বুলেন্স পারের জন্য চলাচলরত ফেরিতে করে নদী পার হচ্ছেন।

সরেজমিনে দেখা যায়, মানিকগঞ্জে ঢাকা-আরিচা মহাসড়কসহ তিনটি পয়েন্টে ফেরিঘাটগামী যানবাহন নিয়ন্ত্রণ করছে বিজিবি। অ্যাম্বুলেন্স ও জরুরি মালামাল বোঝাই যানবাহনগুলো ঘাটে আসতে দিলেও চেকপোস্টে আটকে দেয়া হচ্ছে যাত্রীবাহী গাড়িগুলো। অনেককেই ঘাট থেকে ফেরত পাঠানো হচ্ছে। প্রশাসনের কঠোর নজরদারিতে পরিচয়পত্রে মানিকগঞ্জের স্থায়ী বাসিন্দা ছাড়া কাউকেই প্রবেশ করতে দিচ্ছে না বিজিবি।

এ বিষয়ে বাংলাদেশ নৌপরিবহন করপোরেশন আরিচা কার্যালয়ের ডিজিএম জিল্লুর রহমান বলেন, সকাল থেকে ঘাটে ফেরি চলাচল বন্ধ আছে। জরুরিভাবে অ্যাম্বুলেন্স পারাপার হচ্ছে। গত দুইদিনের তুলনায় আজ ঘাটে যাত্রীর চাপ অনেকটাই কম।