ঢাকা ০২:৪৭ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

সাগর-সুন্দরবনে আজ থেকে মাছ ধরা নিষিদ্ধ

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট : ০৭:০০:১১ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২০ মে ২০২১
  • / 150

প্রতীকী ছবি

::নিজস্ব প্রতিবেদক::

মাছের প্রজনন ও উৎপাদন বৃদ্ধি করতে বৃহস্পতিবার (২০ মে) থেকে বঙ্গোপসাগর ও সুন্দরবনে ইলিশসহ সব প্রজাতির মাছ ধরায় নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। এ নিষেধাজ্ঞা আগামী ৩০ জুলাই পর্যন্ত বহাল থাকবে।

৬৫ দিন মাছ শিকারের উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করায় জেলেদের মাঝে হতাশা দেখা দিয়েছে। বাগেরহাটের শরণখোলার মৎস্য ব্যবসায়ী ও ফিশিং ট্রলার মালিক আনোয়ার হোসেন, সগির হোসেন, জামাল হোসেন ও কবির হোসেনরা জানান, ইলিশ ধরার মৌসুম হলো বছরের জুন থেকে ছয় মাস। এর মধ্যে প্রথমে মৎস্য মন্ত্রনালয় ১১ দিন ইলিশ অবরোধ জারি করেছিল। পরে এটিকে করা হয় ২২ দিন। শেষে ভরা মৌসুমে ২২ দিনের পাশাপাশি ৬৫ দিনের মাছ ধরার উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করায় মৌসুম সংকুচিত হয়ে দাড়িয়েছে এখন তিন মাসে। এ কারনে অনেকেইে পেশা পরিবর্তন করে অন্য পেশায় চলে গেছে।

মৎস্য ব্যবসায়ী বিলাস রায় জানান, এ মাছের উপরই তাদের জীবন-জীবিকা। মাছ ধরা বন্ধ থাকলে তাদের আয় বন্ধ হয়ে যায়, উপকূলের জেলেরা এখন হতাশায় পড়েছেন। ৬৫ দিনের জন্য মাছ ধরা বন্ধ থাকায় তারা বেকার হয়ে পড়েছে। দীর্ঘ ৬৫ দিন ধার দেনা করে দিন কাটাতে হবে।

শরণখোলা উপজেলা মৎস্য আড়ৎদার সমিতির সভাপতি দেলোয়ার হোসেন ফরাজী জানান, যথাযথ সময়ে যদি ২২ দিনের অবরোধ শতভাগ কার্যকর করা হতো তাহলে ৬৫ দিনের মাছ শিকারের উপর নিষেধাজ্ঞার প্রয়োজন হতো না। ৬৫ দিনের মাছ শিকারের নিষেধাজ্ঞা এখন জেলেদের জন্য মরার উপর খারার ঘা হয়ে দেখা দিয়েছে। বিষয়টি সরকারের বিচেনা করার দাবী জানিয়েছেন তিনি।

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্যাগস :

সাগর-সুন্দরবনে আজ থেকে মাছ ধরা নিষিদ্ধ

আপডেট : ০৭:০০:১১ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২০ মে ২০২১
::নিজস্ব প্রতিবেদক::

মাছের প্রজনন ও উৎপাদন বৃদ্ধি করতে বৃহস্পতিবার (২০ মে) থেকে বঙ্গোপসাগর ও সুন্দরবনে ইলিশসহ সব প্রজাতির মাছ ধরায় নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। এ নিষেধাজ্ঞা আগামী ৩০ জুলাই পর্যন্ত বহাল থাকবে।

৬৫ দিন মাছ শিকারের উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করায় জেলেদের মাঝে হতাশা দেখা দিয়েছে। বাগেরহাটের শরণখোলার মৎস্য ব্যবসায়ী ও ফিশিং ট্রলার মালিক আনোয়ার হোসেন, সগির হোসেন, জামাল হোসেন ও কবির হোসেনরা জানান, ইলিশ ধরার মৌসুম হলো বছরের জুন থেকে ছয় মাস। এর মধ্যে প্রথমে মৎস্য মন্ত্রনালয় ১১ দিন ইলিশ অবরোধ জারি করেছিল। পরে এটিকে করা হয় ২২ দিন। শেষে ভরা মৌসুমে ২২ দিনের পাশাপাশি ৬৫ দিনের মাছ ধরার উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করায় মৌসুম সংকুচিত হয়ে দাড়িয়েছে এখন তিন মাসে। এ কারনে অনেকেইে পেশা পরিবর্তন করে অন্য পেশায় চলে গেছে।

মৎস্য ব্যবসায়ী বিলাস রায় জানান, এ মাছের উপরই তাদের জীবন-জীবিকা। মাছ ধরা বন্ধ থাকলে তাদের আয় বন্ধ হয়ে যায়, উপকূলের জেলেরা এখন হতাশায় পড়েছেন। ৬৫ দিনের জন্য মাছ ধরা বন্ধ থাকায় তারা বেকার হয়ে পড়েছে। দীর্ঘ ৬৫ দিন ধার দেনা করে দিন কাটাতে হবে।

শরণখোলা উপজেলা মৎস্য আড়ৎদার সমিতির সভাপতি দেলোয়ার হোসেন ফরাজী জানান, যথাযথ সময়ে যদি ২২ দিনের অবরোধ শতভাগ কার্যকর করা হতো তাহলে ৬৫ দিনের মাছ শিকারের উপর নিষেধাজ্ঞার প্রয়োজন হতো না। ৬৫ দিনের মাছ শিকারের নিষেধাজ্ঞা এখন জেলেদের জন্য মরার উপর খারার ঘা হয়ে দেখা দিয়েছে। বিষয়টি সরকারের বিচেনা করার দাবী জানিয়েছেন তিনি।