ঢাকা ০২:২৪ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

প্রাথমিকের খিচুড়ি রান্না প্রকল্প বাতিল

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট : ১০:৩৩:৪২ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১ জুন ২০২১
  • / 165
::যুগের কন্ঠ ডেস্ক::

অবশেষে খিচুড়ি রান্নার প্রকল্প বাতিল হলো জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভায়।মঙ্গলবার একনেক সভায় ‘প্রাইমারি স্কুল মিল’ প্রকল্পটি তোলা হলে প্রধানমন্ত্রী শিক্ষার্থীদের রান্না করা খাবার না দিয়ে রান্না ছাড়া খাবারের পক্ষে মত দেন। তিনি প্রকল্পটি নতুনভাবে উপস্থাপনের নির্দেশ দেন।

একনেক সভার তথ্য মতে, স্কুলে চাল, ডাল, তেল, শাকসবজি দিয়ে খাবার রান্না করা হলে শিক্ষার্থীদের পড়াশোনার ক্ষতি হতে পারে। তাই গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়কে নতুন ফরম্যাটে শিক্ষার্থীদের খাবার দেয়ার প্রকল্প নিতে বলা হয়েছে। সেই ফরমেট হতে পারে একদিন দুধ, একদিন ডিম ও একদিন বিস্কুটসহ বিভিন্ন বৈচিত্র।

বৈঠক শেষে পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান জানান, একনেকে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের ‘প্রাইমারি স্কুল মিল’ প্রকল্পটি বাদ দেয়া হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী এটি পছন্দ করলেও এর কাঠামো পরিবর্তন করতে বলেছেন।

মন্ত্রী বলেন, স্কুলের শিক্ষার্থীদের খাবার দেয়া অব্যাহত রাখতে বলেছেন প্রধানমন্ত্রী। তবে তা রান্না করা খাবার হিসেবে নয়। নতুন কোনো ফরম্যাটে।

প্রসঙ্গত, প্রাথমিকের শিক্ষার্থীদের স্কুলে পুষ্টিকর খাবার সরবরাহে ১৭ হাজার ২৯০ কোটি টাকার প্রকল্প হাতে নেয় প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়। প্রকল্পের পুরো অর্থ যোগানো হবে সরকারের নিজস্ব তহবিল। প্রকল্পের আওতায় খিচুড়ি রান্না ও পরিবেশনের প্রশিক্ষণ নিতে ১ হাজার সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীর বিদেশ সফরের একটি প্রস্তাব ছিল, যা নিয়ে সমালোচনা হয়। ফলে খাতটি বাদ দেওয়া হয়েছে।

আগামী ২০৩০ সালের মধ্যে প্রাথমিক বিদ্যালয়গামী সব শিক্ষার্থীকে পর্যায়ক্রমে স্কুল মিল কার্যক্রমের আওতায় এনে তাদের শিক্ষা, পুষ্টি, স্বাস্থ্য ও সামাজিক নিরাপত্তায় অবদান রাখাতে প্রকল্পটি হাতে নেওয়া হয়েছিল। খাদ্যদ্রব্য হিসেবে চাল-ডাল, ভোজ্যতেল, বিস্কুট ও শাকসবজি ইত্যাদি কেনা হবে ১১ লাখ ১১ হাজার ৪৪ মেট্রিক টন। পরিবহন ও ইন্সপেকশনের জন্যও ব্যয় ধরা হয়েছিলো।

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্যাগস :

প্রাথমিকের খিচুড়ি রান্না প্রকল্প বাতিল

আপডেট : ১০:৩৩:৪২ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১ জুন ২০২১
::যুগের কন্ঠ ডেস্ক::

অবশেষে খিচুড়ি রান্নার প্রকল্প বাতিল হলো জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভায়।মঙ্গলবার একনেক সভায় ‘প্রাইমারি স্কুল মিল’ প্রকল্পটি তোলা হলে প্রধানমন্ত্রী শিক্ষার্থীদের রান্না করা খাবার না দিয়ে রান্না ছাড়া খাবারের পক্ষে মত দেন। তিনি প্রকল্পটি নতুনভাবে উপস্থাপনের নির্দেশ দেন।

একনেক সভার তথ্য মতে, স্কুলে চাল, ডাল, তেল, শাকসবজি দিয়ে খাবার রান্না করা হলে শিক্ষার্থীদের পড়াশোনার ক্ষতি হতে পারে। তাই গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়কে নতুন ফরম্যাটে শিক্ষার্থীদের খাবার দেয়ার প্রকল্প নিতে বলা হয়েছে। সেই ফরমেট হতে পারে একদিন দুধ, একদিন ডিম ও একদিন বিস্কুটসহ বিভিন্ন বৈচিত্র।

বৈঠক শেষে পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান জানান, একনেকে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের ‘প্রাইমারি স্কুল মিল’ প্রকল্পটি বাদ দেয়া হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী এটি পছন্দ করলেও এর কাঠামো পরিবর্তন করতে বলেছেন।

মন্ত্রী বলেন, স্কুলের শিক্ষার্থীদের খাবার দেয়া অব্যাহত রাখতে বলেছেন প্রধানমন্ত্রী। তবে তা রান্না করা খাবার হিসেবে নয়। নতুন কোনো ফরম্যাটে।

প্রসঙ্গত, প্রাথমিকের শিক্ষার্থীদের স্কুলে পুষ্টিকর খাবার সরবরাহে ১৭ হাজার ২৯০ কোটি টাকার প্রকল্প হাতে নেয় প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়। প্রকল্পের পুরো অর্থ যোগানো হবে সরকারের নিজস্ব তহবিল। প্রকল্পের আওতায় খিচুড়ি রান্না ও পরিবেশনের প্রশিক্ষণ নিতে ১ হাজার সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীর বিদেশ সফরের একটি প্রস্তাব ছিল, যা নিয়ে সমালোচনা হয়। ফলে খাতটি বাদ দেওয়া হয়েছে।

আগামী ২০৩০ সালের মধ্যে প্রাথমিক বিদ্যালয়গামী সব শিক্ষার্থীকে পর্যায়ক্রমে স্কুল মিল কার্যক্রমের আওতায় এনে তাদের শিক্ষা, পুষ্টি, স্বাস্থ্য ও সামাজিক নিরাপত্তায় অবদান রাখাতে প্রকল্পটি হাতে নেওয়া হয়েছিল। খাদ্যদ্রব্য হিসেবে চাল-ডাল, ভোজ্যতেল, বিস্কুট ও শাকসবজি ইত্যাদি কেনা হবে ১১ লাখ ১১ হাজার ৪৪ মেট্রিক টন। পরিবহন ও ইন্সপেকশনের জন্যও ব্যয় ধরা হয়েছিলো।