ঢাকা ০৩:২০ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

সাবিরা হত্যার ২৪ ঘন্টায়ও মামলা হয়নি

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট : ১০:৩৯:২২ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১ জুন ২০২১
  • / 169
::নিজস্ব প্রতিবেদক::

রাজধানীর কলাবাগান এলাকায় নিজ বাসা থেকে কাজী সাবিরা রহমান লিপি (৪৭) নামে এক নারী চিকিৎসকের মরদেহ উদ্ধারের পর চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। তবে এ ঘটনার ২৪ ঘন্টা পেরিয়ে গেলেও চিকিৎসকের হত্যাকান্ডে এখনো পরিবারের পক্ষ থেকে মামলা করা হয়নি।

মঙ্গলবার দুপুরে কলাবাগান থানা ও রমনা ডিবি পুলিশ জানিয়েছে, মামলার সব প্রক্রিয়া শেষ হলেও নিহতের পরিবারের কেউ এখনো মামলা করতে আসেননি।

এবিষয়ে রমনা বিভাগের অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার শাহেনশাহ বলেন, নিহতের পরিবার বাদী হয়ে মামলা করবে। তবে এখন পর্যন্ত পরিবারের কেউ থানায় মামলা করতে আসেনি। তবে চিকিৎসক কাজী সাবিরা রহমান লিপি হত্যার শিকার হয়েছেন ধরেই তদন্ত করা হচ্ছে।

এর আগে সোমবার (৩১ মে) দুপুরে কলাবাগানের ৫০/১, ফাস্ট লেনের বাসা থেকে ওই চিকিৎসকের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। তিনি ধানমন্ডির গ্রিন লাইফ হাসপাতালের রেডিওলজি বিভাগের চিকিৎসক ছিলেন।

সিআইডির ধারণা, এই হত্যাকাণ্ডটি রোববার (৩০ মে) মধ্যরাতের যে কোনো সময় সংঘটিত হয়েছে। মরদেহ উদ্ধারের ঘটনায় ওই বাড়িতে সিআইডির ক্রাইম সিন ইউনিট ও মহানগর গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে আলামত সংগ্রহ করছেন। ময়নাতদন্তের পর মৃত্যুর কারণ জানা যাবে।

সিআইডির ক্রাইম সিন ইউনিট সূত্র জানায়, সাবিরাকে নিষ্ঠুরভাবে ব্রুটালি কিলড করা হয়েছে। ধারাল অস্ত্র দিয়ে আঘাতের পর বিছানার তোশকে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়। দাহ্য পদার্থ না থাকায় আগুন তেমন ছড়াতে পারেনি। তবে, সাবিরার শরীরের কিছু অংশ দগ্ধ হয়।

সিআইডির ক্রাইম সিন ইউনিটের ইন্সপেক্টর শেখ রাসেল কবির সংবাদমাধ্যমকে বলেন, ধারাল অস্ত্র দিয়ে সাবিরার শ্বাসনালী কেটে ফেলা হয়েছে। তার দেহে রক্ত ও পোড়ার ক্ষত আছে। তবে আমরা নিশ্চিত হয়েছি যে, এটি হত্যাকাণ্ড।

ঘটনাস্থলে এসে রমনা পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগের উপকমিশনার এইচএম আজিমুল হক বলেন, চিকিৎসকের দুটি রুম সাবলেট দেওয়া আছে। তার পিঠে ও গলায় জখমের চিহ্ন আছে। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে তাকে হত্যা করা হয়েছে।

এ বিষয়ে রমনা পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগের উপকমিশনার এইচএম আজিমুল হক বাংলাদেশ জার্নালকে বলেন, এ ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য বাসার সাবলেটের বাসিন্দা কানিজ সুবর্ণা, তার এক বন্ধু ও বাসার দারোয়ান রমজান ৩ জনকে ডিবি হেফাজতে নেওয়া হয়েছে।

গোয়েন্দা পুলিশের এই কর্মকর্তা আরো বলেন, ডা. সাবিরা দুটি বিয়ে করেছিলেন, তার প্রথম স্বামী একটি সড়ক দুর্ঘটনায় মারা যান। এরপর সাবিরা দ্বিতীয় বিয়ে করেন এবং তিনি একটি বেসরকারী ব্যাংক কর্মকর্ত।

তদন্তের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমরা আলামত নিয়ে আসছি। সুষ্ঠ তদন্তের জন্য সবরকম চেষ্টা করা হবে। দ্রুত রহস্য উদঘাটন করতে পারবো বলে জানান ডিবি রমনার ডিসি এইচএম আজিমুল হক।

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্যাগস :

সাবিরা হত্যার ২৪ ঘন্টায়ও মামলা হয়নি

আপডেট : ১০:৩৯:২২ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১ জুন ২০২১
::নিজস্ব প্রতিবেদক::

রাজধানীর কলাবাগান এলাকায় নিজ বাসা থেকে কাজী সাবিরা রহমান লিপি (৪৭) নামে এক নারী চিকিৎসকের মরদেহ উদ্ধারের পর চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। তবে এ ঘটনার ২৪ ঘন্টা পেরিয়ে গেলেও চিকিৎসকের হত্যাকান্ডে এখনো পরিবারের পক্ষ থেকে মামলা করা হয়নি।

মঙ্গলবার দুপুরে কলাবাগান থানা ও রমনা ডিবি পুলিশ জানিয়েছে, মামলার সব প্রক্রিয়া শেষ হলেও নিহতের পরিবারের কেউ এখনো মামলা করতে আসেননি।

এবিষয়ে রমনা বিভাগের অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার শাহেনশাহ বলেন, নিহতের পরিবার বাদী হয়ে মামলা করবে। তবে এখন পর্যন্ত পরিবারের কেউ থানায় মামলা করতে আসেনি। তবে চিকিৎসক কাজী সাবিরা রহমান লিপি হত্যার শিকার হয়েছেন ধরেই তদন্ত করা হচ্ছে।

এর আগে সোমবার (৩১ মে) দুপুরে কলাবাগানের ৫০/১, ফাস্ট লেনের বাসা থেকে ওই চিকিৎসকের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। তিনি ধানমন্ডির গ্রিন লাইফ হাসপাতালের রেডিওলজি বিভাগের চিকিৎসক ছিলেন।

সিআইডির ধারণা, এই হত্যাকাণ্ডটি রোববার (৩০ মে) মধ্যরাতের যে কোনো সময় সংঘটিত হয়েছে। মরদেহ উদ্ধারের ঘটনায় ওই বাড়িতে সিআইডির ক্রাইম সিন ইউনিট ও মহানগর গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে আলামত সংগ্রহ করছেন। ময়নাতদন্তের পর মৃত্যুর কারণ জানা যাবে।

সিআইডির ক্রাইম সিন ইউনিট সূত্র জানায়, সাবিরাকে নিষ্ঠুরভাবে ব্রুটালি কিলড করা হয়েছে। ধারাল অস্ত্র দিয়ে আঘাতের পর বিছানার তোশকে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়। দাহ্য পদার্থ না থাকায় আগুন তেমন ছড়াতে পারেনি। তবে, সাবিরার শরীরের কিছু অংশ দগ্ধ হয়।

সিআইডির ক্রাইম সিন ইউনিটের ইন্সপেক্টর শেখ রাসেল কবির সংবাদমাধ্যমকে বলেন, ধারাল অস্ত্র দিয়ে সাবিরার শ্বাসনালী কেটে ফেলা হয়েছে। তার দেহে রক্ত ও পোড়ার ক্ষত আছে। তবে আমরা নিশ্চিত হয়েছি যে, এটি হত্যাকাণ্ড।

ঘটনাস্থলে এসে রমনা পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগের উপকমিশনার এইচএম আজিমুল হক বলেন, চিকিৎসকের দুটি রুম সাবলেট দেওয়া আছে। তার পিঠে ও গলায় জখমের চিহ্ন আছে। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে তাকে হত্যা করা হয়েছে।

এ বিষয়ে রমনা পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগের উপকমিশনার এইচএম আজিমুল হক বাংলাদেশ জার্নালকে বলেন, এ ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য বাসার সাবলেটের বাসিন্দা কানিজ সুবর্ণা, তার এক বন্ধু ও বাসার দারোয়ান রমজান ৩ জনকে ডিবি হেফাজতে নেওয়া হয়েছে।

গোয়েন্দা পুলিশের এই কর্মকর্তা আরো বলেন, ডা. সাবিরা দুটি বিয়ে করেছিলেন, তার প্রথম স্বামী একটি সড়ক দুর্ঘটনায় মারা যান। এরপর সাবিরা দ্বিতীয় বিয়ে করেন এবং তিনি একটি বেসরকারী ব্যাংক কর্মকর্ত।

তদন্তের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমরা আলামত নিয়ে আসছি। সুষ্ঠ তদন্তের জন্য সবরকম চেষ্টা করা হবে। দ্রুত রহস্য উদঘাটন করতে পারবো বলে জানান ডিবি রমনার ডিসি এইচএম আজিমুল হক।