ঢাকা ০১:২৯ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

৫০ হাজারের বেশি বিলে অতিরিক্ত উৎস করের প্রস্তাব

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট : ০১:৫১:১৫ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৩ জুন ২০২১
  • / 173

ছবি প্রতীকী

::নিজস্ব প্রতিবেদক::

২০২১-২২ অর্থবছর থেকে ৫০ হাজার টাকার বেশি বিল ব্যাংকিং চ্যানেলে না নিলে অতিরিক্ত উৎস করের প্রস্তাব করা হয়েছে। প্রস্তাবিত বাজেটে এর বেশি অর্থ পরিশোধ হলে তা ব্যাংক ট্রান্সফার বা ফিন্যান্সিয়াল সার্ভিসের (এমএফএস) মাধ্যমে সম্পাদনের বাধ্যবাধকতা আরোপের প্রস্তাব করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার বিকেলে জাতীয় সংসদে বাজেট অধিবেশনে অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল এ কথা জানান।

তিনি বলেন, যেসব অর্থ পরিশোধে ব্যাংক ট্রান্সফারের বাধ্যবাধকতা রয়েছে, সেসব ক্ষেত্রে ব্যাংক ট্রান্সফারের পাশাপাাশি এমএফএসের মাধ্যমে পরিশোধের বিধান অন্তর্ভুক্ত করার প্রস্তাব করছি। ৫০ হাজার টাকার বেশি বিল পেমেন্ট হলে তা ক্রসিং চেক বা ব্যাংক ট্রান্সফার বা এমএফএসের মাধ্যমে সম্পাদন করার বাধ্যবাধকতা আরোপ করার প্রস্তাব করছি। একই সঙ্গে সরবরাহ ও ঠিকাদারি বিল ব্যাংকিং বা এমএফএসের মাধ্যমে না নিলে প্রযোজ্য উৎস করের অতিরিক্ত ৫০ শতাংশ কর্তন করারও প্রস্তাব করছি।

প্রস্তাবিত ২০২১-২০২২ অর্থবছরের বাজেটের আকার ৬ লাখ ৩ হাজার ৬৮১ কোটি টাকা। বাজেটে অর্থায়নের জন্য ব্যাংকগুলো থেকে ৭৬ হাজার ২৫২ কোটি টাকা নেয়া হবে, যা চলতি অর্থবছরের তুলনায় ৪ দশমিক ৪ শতাংশ কম।

সঞ্চয়পত্র থেকে নেয়া হবে ৩২ হাজার কোটি টাকা, আর অন্যান্য খাত থেকে নেয়া হবে ৫ হাজার ১ কোটি টাকা। এসব ঋণের বিপরীতে সরকারকে সুদ পরিশোধ করতে হবে। এজন্য এবারের বাজেটে সুদ খাতে বরাদ্দ রাখা হয়েছে ৬৭ হাজার ৫৮৯ কোটি টাকা।

এর আগে ঘাটতি মেটাতে ২০২০-২১ অর্থবছরে ব্যাংকখাত থেকে ঋণ নেয়ার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছিল ৮৪ হাজার ৯৮০ কোটি টাকা, সঞ্চয়পত্র থেকে ২০ হাজার কোটি টাকা, বৈদেশিক উৎস থেকে ঋণ ৭৬ হাজার ৪ কোটি টাকা, বৈদেশিক সহায়তা ৪ হাজার ১৩ কোটি টাকা ও অন্যান্য খাতের সহায়তা ধরা হয়েছিল ৫ হাজার কোটি টাকা।

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্যাগস :

৫০ হাজারের বেশি বিলে অতিরিক্ত উৎস করের প্রস্তাব

আপডেট : ০১:৫১:১৫ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৩ জুন ২০২১
::নিজস্ব প্রতিবেদক::

২০২১-২২ অর্থবছর থেকে ৫০ হাজার টাকার বেশি বিল ব্যাংকিং চ্যানেলে না নিলে অতিরিক্ত উৎস করের প্রস্তাব করা হয়েছে। প্রস্তাবিত বাজেটে এর বেশি অর্থ পরিশোধ হলে তা ব্যাংক ট্রান্সফার বা ফিন্যান্সিয়াল সার্ভিসের (এমএফএস) মাধ্যমে সম্পাদনের বাধ্যবাধকতা আরোপের প্রস্তাব করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার বিকেলে জাতীয় সংসদে বাজেট অধিবেশনে অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল এ কথা জানান।

তিনি বলেন, যেসব অর্থ পরিশোধে ব্যাংক ট্রান্সফারের বাধ্যবাধকতা রয়েছে, সেসব ক্ষেত্রে ব্যাংক ট্রান্সফারের পাশাপাাশি এমএফএসের মাধ্যমে পরিশোধের বিধান অন্তর্ভুক্ত করার প্রস্তাব করছি। ৫০ হাজার টাকার বেশি বিল পেমেন্ট হলে তা ক্রসিং চেক বা ব্যাংক ট্রান্সফার বা এমএফএসের মাধ্যমে সম্পাদন করার বাধ্যবাধকতা আরোপ করার প্রস্তাব করছি। একই সঙ্গে সরবরাহ ও ঠিকাদারি বিল ব্যাংকিং বা এমএফএসের মাধ্যমে না নিলে প্রযোজ্য উৎস করের অতিরিক্ত ৫০ শতাংশ কর্তন করারও প্রস্তাব করছি।

প্রস্তাবিত ২০২১-২০২২ অর্থবছরের বাজেটের আকার ৬ লাখ ৩ হাজার ৬৮১ কোটি টাকা। বাজেটে অর্থায়নের জন্য ব্যাংকগুলো থেকে ৭৬ হাজার ২৫২ কোটি টাকা নেয়া হবে, যা চলতি অর্থবছরের তুলনায় ৪ দশমিক ৪ শতাংশ কম।

সঞ্চয়পত্র থেকে নেয়া হবে ৩২ হাজার কোটি টাকা, আর অন্যান্য খাত থেকে নেয়া হবে ৫ হাজার ১ কোটি টাকা। এসব ঋণের বিপরীতে সরকারকে সুদ পরিশোধ করতে হবে। এজন্য এবারের বাজেটে সুদ খাতে বরাদ্দ রাখা হয়েছে ৬৭ হাজার ৫৮৯ কোটি টাকা।

এর আগে ঘাটতি মেটাতে ২০২০-২১ অর্থবছরে ব্যাংকখাত থেকে ঋণ নেয়ার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছিল ৮৪ হাজার ৯৮০ কোটি টাকা, সঞ্চয়পত্র থেকে ২০ হাজার কোটি টাকা, বৈদেশিক উৎস থেকে ঋণ ৭৬ হাজার ৪ কোটি টাকা, বৈদেশিক সহায়তা ৪ হাজার ১৩ কোটি টাকা ও অন্যান্য খাতের সহায়তা ধরা হয়েছিল ৫ হাজার কোটি টাকা।