ঢাকা ০১:৫৭ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

গণতন্ত্রের ইতিহাসে সবচেয়ে বড় নির্বাচনী জালিয়াতি: নেতানিয়াহু

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট : ১১:৪৩:২১ পূর্বাহ্ন, সোমাবার, ৭ জুন ২০২১
  • / 179

সংগৃহীত ছবি।

::যুগের কন্ঠ ডেস্ক::

ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুর বিরুদ্ধে গঠিত নতুন জোটকে তিনি ‘গণতন্ত্রের ইতিহাসে সবচেয়ে বড় নির্বাচনী জালিয়াতি’র ফলাফল বলে উল্লেখ করেছেন। এই জোটটি বর্তমানে নেতানিয়াহুকে ক্ষমতাচ্যুত করার কাজ প্রায় সম্পন্ন করে ফেলেছে।

রয়টার্সের প্রতিবেদনে জানা যায়, এই মন্তব্য নেতানিয়াহু এমন এক সময়ে করলেন যখন ইসরায়েলের অভ্যন্ত্ররীণ নিরাপত্তা সংস্থার প্রধান সম্ভাব্য রাজনৈতিক সহিংসতার বিষয়ে সতর্ক করে দিয়েছেন।

নেতানিয়াহুর স্থলাভিষিক্ত হতে যাচ্ছেন নাফতালি বেনেট। নির্বাচনী জোট তৈরির ব্যাপারে নাফতালির প্রতিশ্রুতি ভঙ্গকে ইঙ্গিত করেই এ মন্তব্য করেছেন নেতানিয়াহু।

নাফতালি এর আগে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন তিনি বামপন্থী, মধ্যপন্থী ও আরব দলগুলোর সঙ্গে জোট করবেন না। কিন্তু বুধবার বিরোধী দলের নেতা ইয়াইর লাপিদের সঙ্গে তিনি ঘোষণা দেন, তারা অবশিষ্ট রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে জোট করবেন।

চুক্তি অনুযায়ী, লাপিদের পর নাফতালি প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন।

নতুন সরকারকে অনুমোদন দিতে সংসদে ভোটের কোনো তারিখ এখনও চূড়ান্ত করা হয়নি। গত ২৩ মার্চ একটি অমিমাংসিত নির্বাচনের পর এই ভোটাভুটি অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। তবে আশা প্রকাশ করা হচ্ছে, আগামী ১৪ জুন নতুন সরকার শপথ গ্রহণ করবে।

নেতানিয়াহু নিজের ডানপন্থী দল লিকুদ পার্টির আইনপ্রণেতাদের উদ্দেশ্যে বলেন, আমরা আমাদের দেশের ইতিহাসের, আমার মতে- গণতন্ত্রের ইতিহাসের সবচেয়ে বড় নির্বাচনী জালিয়াতির সাক্ষী হতে যাচ্ছি।

তিনি আরও বলেন, এ কারণেই জনগণ ন্যায়সঙ্গতভাবে নিজেকে প্রতারিত মনে করে এবং তারা প্রতিক্রিয়া জানায়, তাদের অবশ্যই চুপ থাকা উচিত নয়।

তার এই বক্তব্য টেলিভিশনে সরাসরি প্রচারিত হয়েছে। লাপিদের ও অন্যান্যদের সঙ্গে জোট গড়ায় পরোক্ষভাবে নাফতালিকে উদ্দেশ্য করেই এসব বলেন তিনি।

নেতানিয়াহু ২০০৯ সালে ক্ষমতায় আসেন। দেশটিতে সবচেয়ে দীর্ঘ সময় ধরে প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করছেন তিনি। তার বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগে আদালতে মামলা চলমান রয়েছে, তবে এই অভিযোগ তিনি বরাবরই অস্বীকার করে আসছেন।

নতুন জোটের বিরোধী পক্ষের কিছু লোক রাস্তায় বিক্ষোভ করেছেন। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তারা হুমকি দেয়ায় দেশটিতে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে।

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্যাগস :

গণতন্ত্রের ইতিহাসে সবচেয়ে বড় নির্বাচনী জালিয়াতি: নেতানিয়াহু

আপডেট : ১১:৪৩:২১ পূর্বাহ্ন, সোমাবার, ৭ জুন ২০২১
::যুগের কন্ঠ ডেস্ক::

ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুর বিরুদ্ধে গঠিত নতুন জোটকে তিনি ‘গণতন্ত্রের ইতিহাসে সবচেয়ে বড় নির্বাচনী জালিয়াতি’র ফলাফল বলে উল্লেখ করেছেন। এই জোটটি বর্তমানে নেতানিয়াহুকে ক্ষমতাচ্যুত করার কাজ প্রায় সম্পন্ন করে ফেলেছে।

রয়টার্সের প্রতিবেদনে জানা যায়, এই মন্তব্য নেতানিয়াহু এমন এক সময়ে করলেন যখন ইসরায়েলের অভ্যন্ত্ররীণ নিরাপত্তা সংস্থার প্রধান সম্ভাব্য রাজনৈতিক সহিংসতার বিষয়ে সতর্ক করে দিয়েছেন।

নেতানিয়াহুর স্থলাভিষিক্ত হতে যাচ্ছেন নাফতালি বেনেট। নির্বাচনী জোট তৈরির ব্যাপারে নাফতালির প্রতিশ্রুতি ভঙ্গকে ইঙ্গিত করেই এ মন্তব্য করেছেন নেতানিয়াহু।

নাফতালি এর আগে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন তিনি বামপন্থী, মধ্যপন্থী ও আরব দলগুলোর সঙ্গে জোট করবেন না। কিন্তু বুধবার বিরোধী দলের নেতা ইয়াইর লাপিদের সঙ্গে তিনি ঘোষণা দেন, তারা অবশিষ্ট রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে জোট করবেন।

চুক্তি অনুযায়ী, লাপিদের পর নাফতালি প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন।

নতুন সরকারকে অনুমোদন দিতে সংসদে ভোটের কোনো তারিখ এখনও চূড়ান্ত করা হয়নি। গত ২৩ মার্চ একটি অমিমাংসিত নির্বাচনের পর এই ভোটাভুটি অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। তবে আশা প্রকাশ করা হচ্ছে, আগামী ১৪ জুন নতুন সরকার শপথ গ্রহণ করবে।

নেতানিয়াহু নিজের ডানপন্থী দল লিকুদ পার্টির আইনপ্রণেতাদের উদ্দেশ্যে বলেন, আমরা আমাদের দেশের ইতিহাসের, আমার মতে- গণতন্ত্রের ইতিহাসের সবচেয়ে বড় নির্বাচনী জালিয়াতির সাক্ষী হতে যাচ্ছি।

তিনি আরও বলেন, এ কারণেই জনগণ ন্যায়সঙ্গতভাবে নিজেকে প্রতারিত মনে করে এবং তারা প্রতিক্রিয়া জানায়, তাদের অবশ্যই চুপ থাকা উচিত নয়।

তার এই বক্তব্য টেলিভিশনে সরাসরি প্রচারিত হয়েছে। লাপিদের ও অন্যান্যদের সঙ্গে জোট গড়ায় পরোক্ষভাবে নাফতালিকে উদ্দেশ্য করেই এসব বলেন তিনি।

নেতানিয়াহু ২০০৯ সালে ক্ষমতায় আসেন। দেশটিতে সবচেয়ে দীর্ঘ সময় ধরে প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করছেন তিনি। তার বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগে আদালতে মামলা চলমান রয়েছে, তবে এই অভিযোগ তিনি বরাবরই অস্বীকার করে আসছেন।

নতুন জোটের বিরোধী পক্ষের কিছু লোক রাস্তায় বিক্ষোভ করেছেন। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তারা হুমকি দেয়ায় দেশটিতে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে।