ঢাকা ০৬:২৩ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

ভয়াবহ হয়ে উঠছে জয়পুরহাটের করোনা পরিস্থিতি

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট : ১১:৪৯:৫২ পূর্বাহ্ন, সোমাবার, ৭ জুন ২০২১
  • / 217

জয়পুরহাট শহরের জিরো পয়েন্ট

::অনলাইন ডেস্ক::

জয়পুরহাটে দিন দিন ভয়াবহ রূপ ধারণ করছে প্রাণঘাতি করোনাভাইরাস। উত্তরের সীমান্তবর্তী এ জেলায় গত কয়েকদিন থেকে আশঙ্কাজনক হারে বেড়েই চলেছে আক্রান্তের সংখ্যা।

এমন পরিস্থিতিতে জয়পুরহাট পৌরসভা ও পাঁচবিবি পৌরসভায় সোমবার বিকেল ৫টা থেকে প্রতিদিন সকাল ৬টা পর্যন্ত ওষুধের দোকান ও জরুরিসেবা বাদে সকল প্রকার ব্যবসা প্রতিষ্ঠান, শপিংমল, মার্কেট, কাঁচাবাজার, খুচরা-পাইকারি বাজার, মুদি দোকান, রেস্টুরেন্ট, গণপরিবহন, চায়ের দোকান ও গণজমায়েত বন্ধ ঘোষণা করেছে প্রশাসন।

এদিকে এ জেলায় একদিনে আরও ৬১ জন করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছে। এ নিয়ে জেলায় করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১ হাজার ৯৮৯ জনে। জেলা সিভিল সার্জন ডা. ওয়াজেদ আলী এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

সিভিল সার্জন জানান, সোমবার অ্যান্টিজেন ও আরটিপিসিআর থেকে ২২৪ জনের নমুনা পরীক্ষার রিপোর্ট এসেছে। এদের মধ্যে ৬১ জনের শরীরে করোনা শনাক্ত হয়েছে। আক্রান্তদের হাসপাতালে ও বাড়ির আইসোলেশনে রেখে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। এখন পর্যন্ত জেলায় মোট সুস্থ হয়েছেন ১ হাজার ৬১৭ জন করোনা রোগী। এছাড়া জেলায় করোনায় ১২ জনের মৃত্যু হয়েছে।

জেলা প্রশাসক মো. শরীফুল ইসলাম বাংলাদেশ জার্নালকে জানান, জয়পুরহাটে কয়েকদিন থেকে করোনার সংক্রমণ বাড়ছে। এর মধ্যে জয়পুরহাট পৌরসভা ও পাঁচবিবি পৌরসভায় সংক্রমণ বেশি হওয়ায় এই দুই পৌরসভায় জরুরি সেবা ছাড়া প্রতিদিন বিকেল ৫টা থেকে সকাল ৬টা পর্যন্ত সব কিছুবন্ধ থাকবে। তবে কৃষিপণ্য/খাদ্যসামগ্রী পরিবহন ও দূরপাল্লার আন্তঃজেলা পরিবহন এ আদেশের আওতায় থাকবে না।

সামনে পূর্ণাঙ্গ লকডাউন দেয়া হবে কিনা- এমন প্রশ্নে ডিসি বলেন, পূর্ণাঙ্গ লকডাউন দেয়া হবে কিনা তা নির্ভর করছে জনগণের ওপর। জনগণ মাস্ক পরিধানসহ স্বাস্থ্যবিধি না মানলে আমরা পূর্ণাঙ্গ লকডাউনে যাবো।

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্যাগস :

ভয়াবহ হয়ে উঠছে জয়পুরহাটের করোনা পরিস্থিতি

আপডেট : ১১:৪৯:৫২ পূর্বাহ্ন, সোমাবার, ৭ জুন ২০২১
::অনলাইন ডেস্ক::

জয়পুরহাটে দিন দিন ভয়াবহ রূপ ধারণ করছে প্রাণঘাতি করোনাভাইরাস। উত্তরের সীমান্তবর্তী এ জেলায় গত কয়েকদিন থেকে আশঙ্কাজনক হারে বেড়েই চলেছে আক্রান্তের সংখ্যা।

এমন পরিস্থিতিতে জয়পুরহাট পৌরসভা ও পাঁচবিবি পৌরসভায় সোমবার বিকেল ৫টা থেকে প্রতিদিন সকাল ৬টা পর্যন্ত ওষুধের দোকান ও জরুরিসেবা বাদে সকল প্রকার ব্যবসা প্রতিষ্ঠান, শপিংমল, মার্কেট, কাঁচাবাজার, খুচরা-পাইকারি বাজার, মুদি দোকান, রেস্টুরেন্ট, গণপরিবহন, চায়ের দোকান ও গণজমায়েত বন্ধ ঘোষণা করেছে প্রশাসন।

এদিকে এ জেলায় একদিনে আরও ৬১ জন করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছে। এ নিয়ে জেলায় করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১ হাজার ৯৮৯ জনে। জেলা সিভিল সার্জন ডা. ওয়াজেদ আলী এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

সিভিল সার্জন জানান, সোমবার অ্যান্টিজেন ও আরটিপিসিআর থেকে ২২৪ জনের নমুনা পরীক্ষার রিপোর্ট এসেছে। এদের মধ্যে ৬১ জনের শরীরে করোনা শনাক্ত হয়েছে। আক্রান্তদের হাসপাতালে ও বাড়ির আইসোলেশনে রেখে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। এখন পর্যন্ত জেলায় মোট সুস্থ হয়েছেন ১ হাজার ৬১৭ জন করোনা রোগী। এছাড়া জেলায় করোনায় ১২ জনের মৃত্যু হয়েছে।

জেলা প্রশাসক মো. শরীফুল ইসলাম বাংলাদেশ জার্নালকে জানান, জয়পুরহাটে কয়েকদিন থেকে করোনার সংক্রমণ বাড়ছে। এর মধ্যে জয়পুরহাট পৌরসভা ও পাঁচবিবি পৌরসভায় সংক্রমণ বেশি হওয়ায় এই দুই পৌরসভায় জরুরি সেবা ছাড়া প্রতিদিন বিকেল ৫টা থেকে সকাল ৬টা পর্যন্ত সব কিছুবন্ধ থাকবে। তবে কৃষিপণ্য/খাদ্যসামগ্রী পরিবহন ও দূরপাল্লার আন্তঃজেলা পরিবহন এ আদেশের আওতায় থাকবে না।

সামনে পূর্ণাঙ্গ লকডাউন দেয়া হবে কিনা- এমন প্রশ্নে ডিসি বলেন, পূর্ণাঙ্গ লকডাউন দেয়া হবে কিনা তা নির্ভর করছে জনগণের ওপর। জনগণ মাস্ক পরিধানসহ স্বাস্থ্যবিধি না মানলে আমরা পূর্ণাঙ্গ লকডাউনে যাবো।