ঢাবির তিন কর্মকর্তা অস্থায়ী ও একজন স্থায়ী বরখাস্ত

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট : ০২:০৮:৪৮ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২১
  • / 195
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) দুই প্রকৌশলীসহ তিন কর্মকর্তাকে সময়িকভাবে বরখাস্ত করা হয়েছে। এক কর্মকর্তাকে স্থায়ীভাবে বরখাস্ত করা হয়েছে। গত বুধবার উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সিন্ডিকেটের এক সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

বৃহস্পতিবার (৩০ সেপ্টেম্বর) বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ দপ্তর থেকে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তর মাধ্যমে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, তদন্তে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই প্রকৌশলী ও এক কর্মকর্তার বিরুদ্ধে কাজ ভাগাভাগির অভিযোগের সত্যতা পাওয়ায় এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। এছাড়া অনুমতি ছাড়া কর্মস্থলে অনুউপস্থিত থাকা, অসৌজন্যমূলক আচরণ ও অফিস শৃঙ্খলা পরিপন্থী আচরণের প্রমাণ পাওয়ায় সংগীত বিভাগের এক অস্থায়ী কর্মকর্তাকে চাকরি থেকে স্থায়ীভাবে বরখাস্ত করা হয়েছে।

সাময়িকভাবে বরখাস্ত কর্মকর্তারা হলেন, প্রধান প্রকৌশলীর অফিসের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী (বিদ্যুৎ জোন-১) মো. লুৎফর রহমান, নির্বাহী প্রকৌশলী (বিদ্যুৎ) খালেদুর রহমান চৌধুরী ও প্রকৌশলীর অফিসের সহকারী পরিচালক (প্রশাসন) মোহাম্মদ আবদুল হাই।

স্থায়ীভাবে বরখাস্ত কর্মকর্তা হলেন, সংগীত বিভাগের ডেমোনেস্ট্রেটর (অস্থায়ী) জাকির হোসেন।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, তাদের কেন স্থায়ীভাবে চাকরি থেকে বরখাস্ত করা হবে না এই মর্মে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেয়ার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগের বিষয় তদন্তের জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের সহ-উপাচার্য (প্রশাসন) মুহাম্মদ সামাদকে প্রধান করে ৫ সদস্যদের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।

উল্লেখ্য ৩০ আগস্ট ‘প্রথম আলো’ অনলাইনে একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। প্রতিবেদনে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কয়েকটি হল ও আবাসিক ভবনে বৈদ্যুতিক সরঞ্জাম স্থাপনের কাজে প্রায় সাড়ে ১৭ লাখ টাকা অনিয়মের অভিযোগ করা হয়। প্রতিবেদনটি প্রকাশের পর বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন তদন্ত করে অভিযোগের সত্যতা পায়।

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্যাগস :

ঢাবির তিন কর্মকর্তা অস্থায়ী ও একজন স্থায়ী বরখাস্ত

আপডেট : ০২:০৮:৪৮ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২১
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) দুই প্রকৌশলীসহ তিন কর্মকর্তাকে সময়িকভাবে বরখাস্ত করা হয়েছে। এক কর্মকর্তাকে স্থায়ীভাবে বরখাস্ত করা হয়েছে। গত বুধবার উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সিন্ডিকেটের এক সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

বৃহস্পতিবার (৩০ সেপ্টেম্বর) বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ দপ্তর থেকে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তর মাধ্যমে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, তদন্তে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই প্রকৌশলী ও এক কর্মকর্তার বিরুদ্ধে কাজ ভাগাভাগির অভিযোগের সত্যতা পাওয়ায় এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। এছাড়া অনুমতি ছাড়া কর্মস্থলে অনুউপস্থিত থাকা, অসৌজন্যমূলক আচরণ ও অফিস শৃঙ্খলা পরিপন্থী আচরণের প্রমাণ পাওয়ায় সংগীত বিভাগের এক অস্থায়ী কর্মকর্তাকে চাকরি থেকে স্থায়ীভাবে বরখাস্ত করা হয়েছে।

সাময়িকভাবে বরখাস্ত কর্মকর্তারা হলেন, প্রধান প্রকৌশলীর অফিসের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী (বিদ্যুৎ জোন-১) মো. লুৎফর রহমান, নির্বাহী প্রকৌশলী (বিদ্যুৎ) খালেদুর রহমান চৌধুরী ও প্রকৌশলীর অফিসের সহকারী পরিচালক (প্রশাসন) মোহাম্মদ আবদুল হাই।

স্থায়ীভাবে বরখাস্ত কর্মকর্তা হলেন, সংগীত বিভাগের ডেমোনেস্ট্রেটর (অস্থায়ী) জাকির হোসেন।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, তাদের কেন স্থায়ীভাবে চাকরি থেকে বরখাস্ত করা হবে না এই মর্মে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেয়ার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগের বিষয় তদন্তের জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের সহ-উপাচার্য (প্রশাসন) মুহাম্মদ সামাদকে প্রধান করে ৫ সদস্যদের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।

উল্লেখ্য ৩০ আগস্ট ‘প্রথম আলো’ অনলাইনে একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। প্রতিবেদনে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কয়েকটি হল ও আবাসিক ভবনে বৈদ্যুতিক সরঞ্জাম স্থাপনের কাজে প্রায় সাড়ে ১৭ লাখ টাকা অনিয়মের অভিযোগ করা হয়। প্রতিবেদনটি প্রকাশের পর বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন তদন্ত করে অভিযোগের সত্যতা পায়।