যুক্তরাষ্ট্রের সাথে আলোচনার আগে ১০ বিলিয়ন ডলার ফেরত চায় ইরান

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট : ১০:৩২:৫৭ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ৩ অক্টোবর ২০২১
  • / 134
ইরানের সাথে যুক্তরাষ্ট্রের পারমাণবিক চুক্তি নিয়ে বিরোধ দীর্ঘদিনের। এদিকে জাতিসংঘের ৭৬তম সাধারণ অধিবেশনে ইরানের সঙ্গে আলোচনায় বসার ইঙ্গিত দিয়েছিল মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। তার জেরেই শনিবার ইরান পররাষ্ট্রমন্ত্রী হোসেইন আমির-আবদোল্লাহিয়ান জানিয়েছে, এ বিষয়ে যেকোনো ধরনের আলোচনার আগে বিদেশে আটকে থাকা ইরানের ১০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার ছাড়ের ব্যবস্থা করতে হবে ওয়াশিংটনকে।

ইরানের রাষ্ট্রীয় একটি টেলিভিশন চ্যানেলের বরাত দিয়ে খবর প্রচার করেছে রয়টার্স।

ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের বৈঠকে মার্কিনিরা বিভিন্ন মাধ্যমে আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ করতে চেয়েছে। আমি বলেছি, আলোচনা নিয়ে যুক্তরাষ্ট্র যদি আন্তরিক হয়, তাহলে তাদের একটি বিষয়ে আগে আন্তরিকতা দেখাতে হবে। ইরানের আটকে থাকা অর্থের মধ্যে অন্তত ১০ বিলিয়ন ডলার ছাড় করতে হবে।’

পারমাণবিক ইস্যুতে টানাপোড়েনের জেরে ইরানের ব্যাংক ও জ্বালানি খাতের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছিল যুক্তরাষ্ট্র। ফলে বিদেশের বিভিন্ন ব্যাংকে দেশটির বিশাল অঙ্কের অর্থ আটকা পড়ে যায়। জ্বালানি তেল ও গ্যাস রপ্তানির বিনিময়ে ওই অর্থ পাওয়ার কথা ছিল ইরানের। হোসেইন আমির-আবদোল্লাহিয়ান বলেন, ‘ইরানের ১০ বিলিয়ন ডলার ছাড় দেওয়ার কোনো ইচ্ছাই নেই যুক্তরাষ্ট্রের। অর্থ ছাড় দিলে বলা যেত, গত কয়েক দশকের মধ্যে অন্তত একবার হলেও ইরানের স্বার্থের বিষয়টি বিবেচনায় এনেছে তারা।’

এদিকে শিগগির অস্ট্রিয়ার রাজধানী ভিয়েনাতে পরমাণু বিষয়ে থেমে থাকা আলোচনা শুরু হবে বলে জানিয়েছেন হোসেইন আমির-আবদোল্লাহিয়ান। তবে সুনির্দিষ্ট করে কোনো দিনক্ষণ ঘোষণা করেননি তিনি।

উল্লেখ্য, ২০১৫ সালে পারমাণবিক অস্ত্র নির্মাণে ব্যবহার হওয়া ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণ কমিয়ে আনতে ইরানের সঙ্গে চুক্তি করে যুক্তরাষ্ট্রসহ কয়েকটি দেশ। এর বিনিময়ে তেহরানের ওপর আরোপিত নানা নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করা হয়। তবে ডোনাল্ড ট্রাম্প যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হওয়ার পর নতুন পথে হাঁটেন। তিনি ওই চুক্তি থেকে সরে ইরানের ওপর আবার নিষেধাজ্ঞা জারি করেন। বর্তমান জো বাইডেন প্রশাসন ২০১৫ সালের ওই চুক্তি আবার বহাল করতে আলোচনায় বসতে চাচ্ছে। কিন্তু চুক্তি আবার বহাল করার আগে অনেক বিষয়েরই সমাধান করা প্রয়োজন বলে মনে করছে ইরান ও পশ্চিমা দেশগুলো।

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্যাগস :

যুক্তরাষ্ট্রের সাথে আলোচনার আগে ১০ বিলিয়ন ডলার ফেরত চায় ইরান

আপডেট : ১০:৩২:৫৭ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ৩ অক্টোবর ২০২১
ইরানের সাথে যুক্তরাষ্ট্রের পারমাণবিক চুক্তি নিয়ে বিরোধ দীর্ঘদিনের। এদিকে জাতিসংঘের ৭৬তম সাধারণ অধিবেশনে ইরানের সঙ্গে আলোচনায় বসার ইঙ্গিত দিয়েছিল মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। তার জেরেই শনিবার ইরান পররাষ্ট্রমন্ত্রী হোসেইন আমির-আবদোল্লাহিয়ান জানিয়েছে, এ বিষয়ে যেকোনো ধরনের আলোচনার আগে বিদেশে আটকে থাকা ইরানের ১০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার ছাড়ের ব্যবস্থা করতে হবে ওয়াশিংটনকে।

ইরানের রাষ্ট্রীয় একটি টেলিভিশন চ্যানেলের বরাত দিয়ে খবর প্রচার করেছে রয়টার্স।

ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের বৈঠকে মার্কিনিরা বিভিন্ন মাধ্যমে আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ করতে চেয়েছে। আমি বলেছি, আলোচনা নিয়ে যুক্তরাষ্ট্র যদি আন্তরিক হয়, তাহলে তাদের একটি বিষয়ে আগে আন্তরিকতা দেখাতে হবে। ইরানের আটকে থাকা অর্থের মধ্যে অন্তত ১০ বিলিয়ন ডলার ছাড় করতে হবে।’

পারমাণবিক ইস্যুতে টানাপোড়েনের জেরে ইরানের ব্যাংক ও জ্বালানি খাতের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছিল যুক্তরাষ্ট্র। ফলে বিদেশের বিভিন্ন ব্যাংকে দেশটির বিশাল অঙ্কের অর্থ আটকা পড়ে যায়। জ্বালানি তেল ও গ্যাস রপ্তানির বিনিময়ে ওই অর্থ পাওয়ার কথা ছিল ইরানের। হোসেইন আমির-আবদোল্লাহিয়ান বলেন, ‘ইরানের ১০ বিলিয়ন ডলার ছাড় দেওয়ার কোনো ইচ্ছাই নেই যুক্তরাষ্ট্রের। অর্থ ছাড় দিলে বলা যেত, গত কয়েক দশকের মধ্যে অন্তত একবার হলেও ইরানের স্বার্থের বিষয়টি বিবেচনায় এনেছে তারা।’

এদিকে শিগগির অস্ট্রিয়ার রাজধানী ভিয়েনাতে পরমাণু বিষয়ে থেমে থাকা আলোচনা শুরু হবে বলে জানিয়েছেন হোসেইন আমির-আবদোল্লাহিয়ান। তবে সুনির্দিষ্ট করে কোনো দিনক্ষণ ঘোষণা করেননি তিনি।

উল্লেখ্য, ২০১৫ সালে পারমাণবিক অস্ত্র নির্মাণে ব্যবহার হওয়া ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণ কমিয়ে আনতে ইরানের সঙ্গে চুক্তি করে যুক্তরাষ্ট্রসহ কয়েকটি দেশ। এর বিনিময়ে তেহরানের ওপর আরোপিত নানা নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করা হয়। তবে ডোনাল্ড ট্রাম্প যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হওয়ার পর নতুন পথে হাঁটেন। তিনি ওই চুক্তি থেকে সরে ইরানের ওপর আবার নিষেধাজ্ঞা জারি করেন। বর্তমান জো বাইডেন প্রশাসন ২০১৫ সালের ওই চুক্তি আবার বহাল করতে আলোচনায় বসতে চাচ্ছে। কিন্তু চুক্তি আবার বহাল করার আগে অনেক বিষয়েরই সমাধান করা প্রয়োজন বলে মনে করছে ইরান ও পশ্চিমা দেশগুলো।