পরমাণু বোমার সংখ্যা প্রকাশ করলো যুক্তরাষ্ট্র

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট : ০১:৩৮:০৯ অপরাহ্ন, বুধবার, ৬ অক্টোবর ২০২১
  • / 130
ডোনাল্ড ট্রাম্প যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট থাকার সময় তার দেশের পরমাণু বোমার সংখ্যা প্রকাশ করতে দেননি। তবে প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন তা প্রকাশ করেছেন।

স্থানীয় সময় মঙ্গলবার প্রকাশিত তথ্যে জানা যাচ্ছে, এ বছরের ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্রের কাছে তিন হাজার ৭৫০টি পরমাণু বোমা ছিল। ২০০৩ সালে এই সংখ্যা ছিল ১০ হাজারের বেশি।

তবে সবচেয়ে বেশি পরমাণু বোমা ছিল শীতল যুদ্ধের সময়, ১৯৬৭ সালে (৩১ হাজার ২৫৫টি)। ১৯৮৯ সালে বার্লিন প্রাচীর পতনের সময় যুক্তরাষ্ট্রের কাছে ২২ হাজার ২১৭টি পরমাণু অস্ত্র ছিল বলে মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের প্রকাশ করা তথ্যে জানা গেছে।

জার্মান সংবাদমাধ্যম ডয়চে ভেলের প্রতিবেদনে বলা হয়, সবশেষ ২০১৭ সালের সেপ্টেম্বরে পরমাণু অস্ত্রের তথ্য জানিয়েছিল যুক্তরাষ্ট্র। এরপর থেকে এমন তথ্য প্রকাশে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছিল ট্রাম্প প্রশাসন। এমনকি ‘ফেডারেশন অফ অ্যামেরিকান সায়েন্টিস্টসের’ অনুরোধও প্রত্যাখ্যান করা হয়েছিল।

মঙ্গলবার আবার তথ্য প্রকাশ শুরু হওয়ার বিষয়টিকে স্বাগত জানিয়েছেন ফেডারেশন অফ অ্যামেরিকান সায়েন্টিস্টসের নিউক্লিয়ার ইনফরমেশন প্রজেক্টের পরিচালক হান্স ক্রিস্টেনসেন। টুইটারে তিনি লিখেছেন, ‘স্বচ্ছতায় ফেরা।’

রাশিয়ার সঙ্গে অস্ত্র নিয়ন্ত্রণ আলোচনাও বন্ধ রেখেছিলেন ট্রাম্প। বাইডেন প্রশাসন আবার তা শুরু করতে চাইছে। সেই প্রক্রিয়ার অংশ হিসেবে মঙ্গলবার পরমাণু অস্ত্রের তথ্য প্রকাশ করে য্ক্তুরাষ্ট্র। এছাড়া পরমাণু অস্ত্রগুলোর অবস্থা এবং এ সংক্রান্ত নীতি পর্যালোচনাও শুরু করেছে মার্কিন প্রশাসন। আগামী বছরের শুরুর দিকে তা শেষ হওয়ার কথা।

এ বছরের ফেব্রুয়ারিতে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্থনি ব্লিংকেন বলেছিলেন, ‘প্রেসিডেন্ট বাইডেন একটি কথা পরিষ্কার জানিয়ে দিয়েছেন: গণবিধ্বংসী অস্ত্রের হুমকি কমিয়ে এক পর্যায়ে তা শেষ করার নৈতিক দায়িত্ব রয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের।’

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্যাগস :

পরমাণু বোমার সংখ্যা প্রকাশ করলো যুক্তরাষ্ট্র

আপডেট : ০১:৩৮:০৯ অপরাহ্ন, বুধবার, ৬ অক্টোবর ২০২১
ডোনাল্ড ট্রাম্প যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট থাকার সময় তার দেশের পরমাণু বোমার সংখ্যা প্রকাশ করতে দেননি। তবে প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন তা প্রকাশ করেছেন।

স্থানীয় সময় মঙ্গলবার প্রকাশিত তথ্যে জানা যাচ্ছে, এ বছরের ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্রের কাছে তিন হাজার ৭৫০টি পরমাণু বোমা ছিল। ২০০৩ সালে এই সংখ্যা ছিল ১০ হাজারের বেশি।

তবে সবচেয়ে বেশি পরমাণু বোমা ছিল শীতল যুদ্ধের সময়, ১৯৬৭ সালে (৩১ হাজার ২৫৫টি)। ১৯৮৯ সালে বার্লিন প্রাচীর পতনের সময় যুক্তরাষ্ট্রের কাছে ২২ হাজার ২১৭টি পরমাণু অস্ত্র ছিল বলে মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের প্রকাশ করা তথ্যে জানা গেছে।

জার্মান সংবাদমাধ্যম ডয়চে ভেলের প্রতিবেদনে বলা হয়, সবশেষ ২০১৭ সালের সেপ্টেম্বরে পরমাণু অস্ত্রের তথ্য জানিয়েছিল যুক্তরাষ্ট্র। এরপর থেকে এমন তথ্য প্রকাশে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছিল ট্রাম্প প্রশাসন। এমনকি ‘ফেডারেশন অফ অ্যামেরিকান সায়েন্টিস্টসের’ অনুরোধও প্রত্যাখ্যান করা হয়েছিল।

মঙ্গলবার আবার তথ্য প্রকাশ শুরু হওয়ার বিষয়টিকে স্বাগত জানিয়েছেন ফেডারেশন অফ অ্যামেরিকান সায়েন্টিস্টসের নিউক্লিয়ার ইনফরমেশন প্রজেক্টের পরিচালক হান্স ক্রিস্টেনসেন। টুইটারে তিনি লিখেছেন, ‘স্বচ্ছতায় ফেরা।’

রাশিয়ার সঙ্গে অস্ত্র নিয়ন্ত্রণ আলোচনাও বন্ধ রেখেছিলেন ট্রাম্প। বাইডেন প্রশাসন আবার তা শুরু করতে চাইছে। সেই প্রক্রিয়ার অংশ হিসেবে মঙ্গলবার পরমাণু অস্ত্রের তথ্য প্রকাশ করে য্ক্তুরাষ্ট্র। এছাড়া পরমাণু অস্ত্রগুলোর অবস্থা এবং এ সংক্রান্ত নীতি পর্যালোচনাও শুরু করেছে মার্কিন প্রশাসন। আগামী বছরের শুরুর দিকে তা শেষ হওয়ার কথা।

এ বছরের ফেব্রুয়ারিতে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্থনি ব্লিংকেন বলেছিলেন, ‘প্রেসিডেন্ট বাইডেন একটি কথা পরিষ্কার জানিয়ে দিয়েছেন: গণবিধ্বংসী অস্ত্রের হুমকি কমিয়ে এক পর্যায়ে তা শেষ করার নৈতিক দায়িত্ব রয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের।’