ফের বাড়ল এলপিজির দাম

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট : ০৯:২১:৪১ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১০ অক্টোবর ২০২১
  • / 143
দেশে ভোক্তাপর্যায়ে তরলীকৃত পেট্রোলিয়াম গ্যাসের (এলপিজি) মূল্য সমন্বয় করেছে জ্বালানি খাতের নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন (বিইআরসি)। বেসরকারি খাতে ১২ কেজি সিলিন্ডারের এলপি গ্যাসের মূল্য ১ হাজার ৩৩ টাকা থেকে ১ হাজার ২৫৯ টাকা করা হয়েছে। ফলে প্রতি সিলিন্ডারে দাম বেড়েছে ২২৬, যা সর্বোচ্চ খুচরা মূল্য। আর গাড়িতে ব্যবহৃত এলপিজির নতুন দাম প্রতি লিটার ৫৮ টাকা ৬৮ পয়সা, যা আগে ছিল ৫০ টাকা ৫৬ পয়সা।

রোববার এক অনলাইন সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে এলপিজির নতুন দাম ঘোষণা করে বিইআরসি।

গত ১২ এপ্রিল দেশে প্রথমবারের মতো এলপিজির দাম নির্ধারণ করেছিল বিইআরসি। তার পর থেকে প্রতি মাসে একবার দাম সমন্বয় করা হচ্ছে।

সংবাদ সম্মেলনে দাম ঘোষণা করেন বিইআরসির চেয়ারম্যান মো. আবদুল জলিল। তিনি বলেন, বিশ্ববাজারে এলপিজির দাম অনেক বেড়ে গেছে। সেটিকে ধরেই দেশে যথাযথভাবে দাম সমন্বয় করা হয়েছে। অপারেটররা নিশ্চয়ই এটি কার্যকর করবেন।

তিনি বলেন, এলপিজি তৈরির মূল উপাদান প্রপেন ও বিউটেন বিভিন্ন দেশ থেকে আমদানি করা হয়। প্রতি মাসে এলপিজির এই দুই উপাদানের মূল্য প্রকাশ করে সৌদি আরামকো। এটি সৌদি কার্গো মূল্য (সিপি) নামে পরিচিত। সৌদি সিপি অনুসারে আগস্টের তুলনায় সেপ্টেম্বরে প্রোপেন ও বিউটেনের দাম যথাক্রমে প্রতি টন ৬৬০ থেকে বেড়ে ৮০০ ডলার এবং ৬৫৫ থেকে বেড়ে ৭৯৫ ডলার হয়েছে। মিশ্রণ অনুপাত ৩৫:৬৫ বিবেচনায় অক্টোবরের জন্য এই নতুন মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে।

সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন বিইআরসির সদস্য মোহম্মদ আবু ফারুক, মকবুল ই ইলাহি চৌধুরী, মোহাম্মদ বজলুর রহমান, মো. কামরুজ্জামান প্রমুখ। সংবাদ সম্মেলনের শুরুতে সবাইকে স্বাগত জানিয়ে বক্তব্য দেন কমিশনের সচিব রুবিনা ফেরদৌসী।

দাম ঘোষণার আগে মকবুল ই ইলাহি বলেন, ‘এক কেজি এলপিজির ব্যবহার মানে হলো ১৮ কেজি গাছ বাঁচানো। তাই এর ব্যবহার বাড়ানো দরকার। কম দামে এলপিজি আমদানি করতে হবে। প্রতিবেশী দেশ অনেক কম দামে এলপিজি আমদানি করছে।’

বাজারে এলপিজির নতুন দাম কার্যকরের বিষয়ে মকবুল ই ইলাহি বলেন, বাড়তি দামে না কেনার বিষয়ে ভোক্তাদের সচেতন হতে হবে।

গত ডিসেম্বরে বিইআরসিতে মূল্যবৃদ্ধির প্রস্তাব করে এলপিজি সরবরাহকারী কোম্পানিগুলো। তাদের প্রস্তাব মূল্যায়ন করে বিইআরসি গঠিত কারিগরি মূল্যায়ন কমিটি। গত ১৪ জানুয়ারি এলপিজির দাম নির্ধারণ নিয়ে গণশুনানি করে বিইআরসি। এরপর ব্যবসায়ীদের দাবির মুখে নতুন করে আবার গত মাসে গণশুনানি করে কমিশন।

এ সময় আরও বলা হয়, এলপিজির সাড়ে ৫ কেজি সিলিন্ডার ৪৭৩ থেকে বাড়িয়ে ৫৭৭ টাকা, সাড়ে ১২ কেজি এক হাজার ৭৬ থেকে বাড়িয়ে এক হাজার ৩১২ টাকা, ১৫ কেজি এক হাজার ২৯১ থেকে বাড়িয়ে এক হাজার ৫৭৪ টাকা, ১৬ কেজি এক হাজার ৩৭৭ থেকে বাড়িয়ে এক হাজার ৬৭৯ টাকা, ১৮ কেজি এক হাজার ৫৪৯ থেকে বাড়িয়ে এক হাজার ৮৮৮ টাকা। এছাড়াও ২০ কেজি এক হাজার ৭২২ থেকে বাড়িয়ে ২ হাজার ৯৯ টাকা, ২২ কেজি এক হাজার ৮৯৩ থেকে বাড়িয়ে ২ হাজার ৩০৯ টাকা, ২৫ কেজি দুই হাজার ১৫১ থেকে বাড়িয়ে ২ হাজার ৬২২ টাকা, ৩০ কেজি দুই হাজার ৫৮৩ থেকে বাড়িয়ে ৩ হাজার ১৪৭ টাকা, ৩৩ কেজি দুই হাজার ৮৪১ থেকে বাড়িয়ে ৩ হাজার ৪৬২ টাকা, ৩৫ কেজি তিন হাজার ১৩ টাকা থেকে বাড়িয়ে ৩ হাজার ৬৭৩ এবং ৪৫ কেজি তিন হাজার ৮৭৩ টাকা থেকে বাড়িয়ে ৪ হাজার ৭২১ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্যাগস :

ফের বাড়ল এলপিজির দাম

আপডেট : ০৯:২১:৪১ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১০ অক্টোবর ২০২১
দেশে ভোক্তাপর্যায়ে তরলীকৃত পেট্রোলিয়াম গ্যাসের (এলপিজি) মূল্য সমন্বয় করেছে জ্বালানি খাতের নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন (বিইআরসি)। বেসরকারি খাতে ১২ কেজি সিলিন্ডারের এলপি গ্যাসের মূল্য ১ হাজার ৩৩ টাকা থেকে ১ হাজার ২৫৯ টাকা করা হয়েছে। ফলে প্রতি সিলিন্ডারে দাম বেড়েছে ২২৬, যা সর্বোচ্চ খুচরা মূল্য। আর গাড়িতে ব্যবহৃত এলপিজির নতুন দাম প্রতি লিটার ৫৮ টাকা ৬৮ পয়সা, যা আগে ছিল ৫০ টাকা ৫৬ পয়সা।

রোববার এক অনলাইন সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে এলপিজির নতুন দাম ঘোষণা করে বিইআরসি।

গত ১২ এপ্রিল দেশে প্রথমবারের মতো এলপিজির দাম নির্ধারণ করেছিল বিইআরসি। তার পর থেকে প্রতি মাসে একবার দাম সমন্বয় করা হচ্ছে।

সংবাদ সম্মেলনে দাম ঘোষণা করেন বিইআরসির চেয়ারম্যান মো. আবদুল জলিল। তিনি বলেন, বিশ্ববাজারে এলপিজির দাম অনেক বেড়ে গেছে। সেটিকে ধরেই দেশে যথাযথভাবে দাম সমন্বয় করা হয়েছে। অপারেটররা নিশ্চয়ই এটি কার্যকর করবেন।

তিনি বলেন, এলপিজি তৈরির মূল উপাদান প্রপেন ও বিউটেন বিভিন্ন দেশ থেকে আমদানি করা হয়। প্রতি মাসে এলপিজির এই দুই উপাদানের মূল্য প্রকাশ করে সৌদি আরামকো। এটি সৌদি কার্গো মূল্য (সিপি) নামে পরিচিত। সৌদি সিপি অনুসারে আগস্টের তুলনায় সেপ্টেম্বরে প্রোপেন ও বিউটেনের দাম যথাক্রমে প্রতি টন ৬৬০ থেকে বেড়ে ৮০০ ডলার এবং ৬৫৫ থেকে বেড়ে ৭৯৫ ডলার হয়েছে। মিশ্রণ অনুপাত ৩৫:৬৫ বিবেচনায় অক্টোবরের জন্য এই নতুন মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে।

সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন বিইআরসির সদস্য মোহম্মদ আবু ফারুক, মকবুল ই ইলাহি চৌধুরী, মোহাম্মদ বজলুর রহমান, মো. কামরুজ্জামান প্রমুখ। সংবাদ সম্মেলনের শুরুতে সবাইকে স্বাগত জানিয়ে বক্তব্য দেন কমিশনের সচিব রুবিনা ফেরদৌসী।

দাম ঘোষণার আগে মকবুল ই ইলাহি বলেন, ‘এক কেজি এলপিজির ব্যবহার মানে হলো ১৮ কেজি গাছ বাঁচানো। তাই এর ব্যবহার বাড়ানো দরকার। কম দামে এলপিজি আমদানি করতে হবে। প্রতিবেশী দেশ অনেক কম দামে এলপিজি আমদানি করছে।’

বাজারে এলপিজির নতুন দাম কার্যকরের বিষয়ে মকবুল ই ইলাহি বলেন, বাড়তি দামে না কেনার বিষয়ে ভোক্তাদের সচেতন হতে হবে।

গত ডিসেম্বরে বিইআরসিতে মূল্যবৃদ্ধির প্রস্তাব করে এলপিজি সরবরাহকারী কোম্পানিগুলো। তাদের প্রস্তাব মূল্যায়ন করে বিইআরসি গঠিত কারিগরি মূল্যায়ন কমিটি। গত ১৪ জানুয়ারি এলপিজির দাম নির্ধারণ নিয়ে গণশুনানি করে বিইআরসি। এরপর ব্যবসায়ীদের দাবির মুখে নতুন করে আবার গত মাসে গণশুনানি করে কমিশন।

এ সময় আরও বলা হয়, এলপিজির সাড়ে ৫ কেজি সিলিন্ডার ৪৭৩ থেকে বাড়িয়ে ৫৭৭ টাকা, সাড়ে ১২ কেজি এক হাজার ৭৬ থেকে বাড়িয়ে এক হাজার ৩১২ টাকা, ১৫ কেজি এক হাজার ২৯১ থেকে বাড়িয়ে এক হাজার ৫৭৪ টাকা, ১৬ কেজি এক হাজার ৩৭৭ থেকে বাড়িয়ে এক হাজার ৬৭৯ টাকা, ১৮ কেজি এক হাজার ৫৪৯ থেকে বাড়িয়ে এক হাজার ৮৮৮ টাকা। এছাড়াও ২০ কেজি এক হাজার ৭২২ থেকে বাড়িয়ে ২ হাজার ৯৯ টাকা, ২২ কেজি এক হাজার ৮৯৩ থেকে বাড়িয়ে ২ হাজার ৩০৯ টাকা, ২৫ কেজি দুই হাজার ১৫১ থেকে বাড়িয়ে ২ হাজার ৬২২ টাকা, ৩০ কেজি দুই হাজার ৫৮৩ থেকে বাড়িয়ে ৩ হাজার ১৪৭ টাকা, ৩৩ কেজি দুই হাজার ৮৪১ থেকে বাড়িয়ে ৩ হাজার ৪৬২ টাকা, ৩৫ কেজি তিন হাজার ১৩ টাকা থেকে বাড়িয়ে ৩ হাজার ৬৭৩ এবং ৪৫ কেজি তিন হাজার ৮৭৩ টাকা থেকে বাড়িয়ে ৪ হাজার ৭২১ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।