দুইদিন আগে পরিকল্পনা, কিলিং স্কোয়াডে ছিল ৫ অস্ত্রধারী

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট : ১১:১৬:১২ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৩ অক্টোবর ২০২১
  • / 200
কক্সবাজারের উখিয়ায় রোহিঙ্গাদের শীর্ষ নেতা ও আরাকান রোহিঙ্গা সোসাইটি ফর পিস অ্যান্ড হিউম্যান রাইটস’র চেয়ারম্যান মুহিবুল্লাহ হত্যার ঘটনায় ‘কিলিং স্কোয়াডে’ ৫ জন অস্ত্রধারী ছিল। তারা মাত্র দুই মিনিটেই মুহিবুল্লাহকে হত্যা করে। এ হত্যাকাণ্ডে সর্বমোট ১৯ জন কাজ করেছে বলে জানতে পেরেছে পুলিশ। হত্যার পরিকল্পনা হয় দুইদিন আগে।

শনিবার দুপুরে উখিয়ায় মুহিবুল্লাহ হত্যার কিলিং স্কোয়াডের সদস্য আজিজুল হককে গ্রেপ্তারের পর প্রেস ব্রিফিংয়ে এসব কথা জানান ১৪ আমর্ড পুলিশ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক এসপি নাঈমুল হক।

আজিজুল হক ছাড়া কুতুপালং ক্যাম্প-১ এর ডি-৮ ব্লকের আব্দুল মাবুদের ছেলে মোহাম্মদ রশিদ প্রকাশ মুরশিদ আমিন ও একই ক্যাম্পের বি ব্লকের ফজল হকের ছেলে মোহাম্মদ আনাছ ও নুর ইসলামের ছেলে নুর মোহাম্মদকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

এসপি নাঈমুল হক বলেন, মুহিবুল্লার হত্যার দুইদিন আগে মরকজ পাহাড়ে কিলিং মিশনের জন্য বৈঠক করে দুর্বৃত্তরা। সেখান থেকে ৫ জনকে অস্ত্রসহ মোট ১৯ জনকে নির্দেশ দেয়া হয় মিশন শেষ করার জন্য।

তিনি আরও জানান, প্রথমে একটি, তার পরের জন দুইটিসহ চারটি গুলি করা হয় মুহিবুল্লাহকে। তারপর মুহিবুল্লার বাড়ির পেছন দিয়ে পালিয়ে যায় স্কোয়াডের ৫ জন। পরে সবাই সতর্ক হয়ে যায়। বিভিন্ন জনের ওপর দোষ চাপাতে থাকে।

উল্লেখ্য, গত ২৯ সেপ্টেম্বর রাত সাড়ে ৮টার দিকে উখিয়ার কুতুপালং ক্যাম্প-১ ইস্ট-ওয়েস্ট (ডি ব্লকে) নিজ অফিসে অবস্থান করছিলেন মুহিবুল্লাহ। এ সময় বন্দুকধারীরা গুলি করে হত্যা করে তাকে। এখন পর্যন্ত এ হত্যা মামলায় ৯ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়। তার মধ্যে মোহাম্মদ ইলিয়াছ নামে একজন ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন।

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্যাগস :

দুইদিন আগে পরিকল্পনা, কিলিং স্কোয়াডে ছিল ৫ অস্ত্রধারী

আপডেট : ১১:১৬:১২ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৩ অক্টোবর ২০২১
কক্সবাজারের উখিয়ায় রোহিঙ্গাদের শীর্ষ নেতা ও আরাকান রোহিঙ্গা সোসাইটি ফর পিস অ্যান্ড হিউম্যান রাইটস’র চেয়ারম্যান মুহিবুল্লাহ হত্যার ঘটনায় ‘কিলিং স্কোয়াডে’ ৫ জন অস্ত্রধারী ছিল। তারা মাত্র দুই মিনিটেই মুহিবুল্লাহকে হত্যা করে। এ হত্যাকাণ্ডে সর্বমোট ১৯ জন কাজ করেছে বলে জানতে পেরেছে পুলিশ। হত্যার পরিকল্পনা হয় দুইদিন আগে।

শনিবার দুপুরে উখিয়ায় মুহিবুল্লাহ হত্যার কিলিং স্কোয়াডের সদস্য আজিজুল হককে গ্রেপ্তারের পর প্রেস ব্রিফিংয়ে এসব কথা জানান ১৪ আমর্ড পুলিশ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক এসপি নাঈমুল হক।

আজিজুল হক ছাড়া কুতুপালং ক্যাম্প-১ এর ডি-৮ ব্লকের আব্দুল মাবুদের ছেলে মোহাম্মদ রশিদ প্রকাশ মুরশিদ আমিন ও একই ক্যাম্পের বি ব্লকের ফজল হকের ছেলে মোহাম্মদ আনাছ ও নুর ইসলামের ছেলে নুর মোহাম্মদকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

এসপি নাঈমুল হক বলেন, মুহিবুল্লার হত্যার দুইদিন আগে মরকজ পাহাড়ে কিলিং মিশনের জন্য বৈঠক করে দুর্বৃত্তরা। সেখান থেকে ৫ জনকে অস্ত্রসহ মোট ১৯ জনকে নির্দেশ দেয়া হয় মিশন শেষ করার জন্য।

তিনি আরও জানান, প্রথমে একটি, তার পরের জন দুইটিসহ চারটি গুলি করা হয় মুহিবুল্লাহকে। তারপর মুহিবুল্লার বাড়ির পেছন দিয়ে পালিয়ে যায় স্কোয়াডের ৫ জন। পরে সবাই সতর্ক হয়ে যায়। বিভিন্ন জনের ওপর দোষ চাপাতে থাকে।

উল্লেখ্য, গত ২৯ সেপ্টেম্বর রাত সাড়ে ৮টার দিকে উখিয়ার কুতুপালং ক্যাম্প-১ ইস্ট-ওয়েস্ট (ডি ব্লকে) নিজ অফিসে অবস্থান করছিলেন মুহিবুল্লাহ। এ সময় বন্দুকধারীরা গুলি করে হত্যা করে তাকে। এখন পর্যন্ত এ হত্যা মামলায় ৯ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়। তার মধ্যে মোহাম্মদ ইলিয়াছ নামে একজন ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন।