মিয়ানমারকে ছাড়াই শুরু আসিয়ান সম্মেলন

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট : ১০:৫২:৫৫ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৬ অক্টোবর ২০২১
  • / 148
দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশগুলোর জোট আশিয়ানের বার্ষিক সম্মেলন মিয়ানমারকে ছাড়াই শুরু হয়েছে। করোনা মহামারির কারণে মঙ্গলবার তিন দিনব্যাপী এ সম্মেলন ভার্চ্যুয়াল পদ্ধতিতে শুরু হয়।

সম্মেলনে উপস্থিত হওয়ার ক্ষেত্রে মিয়ানমারের সামরিক জান্তা সরকারের প্রধান মিন অং হল্যাইংয়ের ওপর আগেই নিষেধাজ্ঞা দিয়েছিল আসিয়ান কর্তৃপক্ষ। তবে তারা বলেছিল, একজন নিরপেক্ষ প্রতিনিধি পাঠাতে। এ প্রস্তাবে সাড়া দেয়নি মিয়ানমার সরকার।

গত ১ ফেব্রুয়ারি মিয়ানমারের গণতন্ত্রপন্থী অং সান সু চি সরকারকে হটিয়ে ক্ষমতা দখল করে দেশটির সামরিক বাহিনী। এর পর থেকেই দেশটিতে বিক্ষোভ, সহিংসতা লেগে আছে। এতে ১ হাজারের বেশি বিক্ষোভকারী নিহত হয়েছেন। সম্প্রতি মিয়ানমারের অনেক স্থানে, বিশেষ করে সীমান্ত এলাকাগুলোতে বিদ্রোহ মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছে।

আল জাজিরার প্রতিবেদনে বলা হয়, এবারের ভার্চ্যুয়াল আসিয়ান সম্মেলনের উদ্বোধনী বক্তব্যেও মিয়ানমারের কথা উল্লেখ করা হয়নি।

আসিয়ান জোট ব্রুনাই, কম্বোডিয়া, ইন্দোনেশিয়া, লাওস, মালয়েশিয়া, মিয়ানমার, ফিলিপাইন, সিঙ্গাপুর, থাইল্যান্ড ও ভিয়েতনাম নিয়ে গঠিত। পূর্ববর্তীতে ১৯৯৭ সালে সামরিক শাসনামলে মিয়ানমার এ জোটে যোগ দেয়।

দুজন কূটনীতিক বার্তাসংস্থা এপিকে জানান, মিয়ানমারের প্রবীণ কূটনীতিক চেন আইকে ‘অরাজনৈতিক প্রতিনিধি’ হিসেবে নিমন্ত্রণ জানিয়েছিল ব্রুনাই। কিন্তু তিনি যাননি। তবে মিয়ানমার বলেছে, সেখানে কেবল মিয়ানমারের সেনা প্রধান মিন অং হল্যাইং যেতে পারবেন।

সেনা অভ্যুত্থানের পর অং সান সু চি ও তার সরকারের শীর্ষ কর্মকর্তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। বর্তমানে সু চি গৃহবন্দী অবস্থায় রয়েছেন। বিদেশি কূটনীতিকদেরও তাদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে দেয়া হচ্ছে না। সম্প্রতি ব্রুানাইয়ের উপ-পররাষ্ট্রমন্ত্রী আরিয়ান ইউসুফ অং সান সু চির সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে চাইলে তাকে তা করতে দেয়নি জান্তা সরকার।

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্যাগস :

মিয়ানমারকে ছাড়াই শুরু আসিয়ান সম্মেলন

আপডেট : ১০:৫২:৫৫ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৬ অক্টোবর ২০২১
দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশগুলোর জোট আশিয়ানের বার্ষিক সম্মেলন মিয়ানমারকে ছাড়াই শুরু হয়েছে। করোনা মহামারির কারণে মঙ্গলবার তিন দিনব্যাপী এ সম্মেলন ভার্চ্যুয়াল পদ্ধতিতে শুরু হয়।

সম্মেলনে উপস্থিত হওয়ার ক্ষেত্রে মিয়ানমারের সামরিক জান্তা সরকারের প্রধান মিন অং হল্যাইংয়ের ওপর আগেই নিষেধাজ্ঞা দিয়েছিল আসিয়ান কর্তৃপক্ষ। তবে তারা বলেছিল, একজন নিরপেক্ষ প্রতিনিধি পাঠাতে। এ প্রস্তাবে সাড়া দেয়নি মিয়ানমার সরকার।

গত ১ ফেব্রুয়ারি মিয়ানমারের গণতন্ত্রপন্থী অং সান সু চি সরকারকে হটিয়ে ক্ষমতা দখল করে দেশটির সামরিক বাহিনী। এর পর থেকেই দেশটিতে বিক্ষোভ, সহিংসতা লেগে আছে। এতে ১ হাজারের বেশি বিক্ষোভকারী নিহত হয়েছেন। সম্প্রতি মিয়ানমারের অনেক স্থানে, বিশেষ করে সীমান্ত এলাকাগুলোতে বিদ্রোহ মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছে।

আল জাজিরার প্রতিবেদনে বলা হয়, এবারের ভার্চ্যুয়াল আসিয়ান সম্মেলনের উদ্বোধনী বক্তব্যেও মিয়ানমারের কথা উল্লেখ করা হয়নি।

আসিয়ান জোট ব্রুনাই, কম্বোডিয়া, ইন্দোনেশিয়া, লাওস, মালয়েশিয়া, মিয়ানমার, ফিলিপাইন, সিঙ্গাপুর, থাইল্যান্ড ও ভিয়েতনাম নিয়ে গঠিত। পূর্ববর্তীতে ১৯৯৭ সালে সামরিক শাসনামলে মিয়ানমার এ জোটে যোগ দেয়।

দুজন কূটনীতিক বার্তাসংস্থা এপিকে জানান, মিয়ানমারের প্রবীণ কূটনীতিক চেন আইকে ‘অরাজনৈতিক প্রতিনিধি’ হিসেবে নিমন্ত্রণ জানিয়েছিল ব্রুনাই। কিন্তু তিনি যাননি। তবে মিয়ানমার বলেছে, সেখানে কেবল মিয়ানমারের সেনা প্রধান মিন অং হল্যাইং যেতে পারবেন।

সেনা অভ্যুত্থানের পর অং সান সু চি ও তার সরকারের শীর্ষ কর্মকর্তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। বর্তমানে সু চি গৃহবন্দী অবস্থায় রয়েছেন। বিদেশি কূটনীতিকদেরও তাদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে দেয়া হচ্ছে না। সম্প্রতি ব্রুানাইয়ের উপ-পররাষ্ট্রমন্ত্রী আরিয়ান ইউসুফ অং সান সু চির সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে চাইলে তাকে তা করতে দেয়নি জান্তা সরকার।