সৌদিতে লেবাননের রাষ্ট্রদূত বহিষ্কার, আমদানি নিষেধাজ্ঞা
- আপডেট : ১১:৫০:০০ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ৩০ অক্টোবর ২০২১
- / 141
সেইসঙ্গে লেবানন থেকে সব ধরনের আমদানিও বন্ধ করে দিয়েছে মধ্যপ্রাচ্যের তেলসমৃদ্ধ দেশটি। শনিবার বার্তাসংস্থা এপি এ খবর জানায়।
সম্প্রতি লেবাননের এক মন্ত্রী ইয়েমেন যুদ্ধ নিয়ে কথা বলেন। যেখানে তিনি ইয়েমেন যুদ্ধকে ‘সৌদির আগ্রাসন’ বলে বর্ণনা করেন। এর জেরে লেবাননের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নিতে দেখা যাচ্ছে সৌদিকে।
সৌদি আরবের পক্ষ থেকে এ পদক্ষেপ নেয়ার কয়েক ঘণ্টা পর বাহরাইনও লেবাননের রাষ্ট্রদূতকে বহিষ্কার করে। রাষ্ট্রদূত বহিষ্কারের ক্ষেত্রে তারাও একই কারণ দেখিয়েছে। বাহরাইনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় খবরটি নিশ্চিত করে।
মার্কিন সংবাদমাধ্যম দ্য ওয়াশিংটন পোস্ট জানায়, সৌদি আরবের এ সিদ্ধান্ত নিয়ে লেবানন সরকারের ভেতরে ইতোমধ্যে আলোচনা হয়েছে। লেবাননের প্রধানমন্ত্রী নাজিব মিকাতি ও প্রেসিডেন্ট মাইকেল আউন বিষয়টি আলোচনা করছেন। যে মন্ত্রী এ মন্তব্য করেছেন, তার পদত্যাগে এ সমস্যার সমাধান হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।
সৌদি আরবের রাষ্ট্রিয় সংবাদমাধ্যম এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, এ দ্বন্দ্বের জেরে বৈরুত থেকেও সৌদি তাদের রাষ্ট্রদূতকে দেশে ডেকে পাঠানো হয়েছে। তবে প্রতিবেদনে বলা হয়, এ ধরনের পদক্ষেপে সৌদিতে বসবাসকারী লেবাননের কয়েক লাখ নাগরিকের ওপর কোনো প্রভাব পড়বে না।
সাম্প্রতিক সময়ে বড় ধরনের অর্থনৈতিক সংকটে রয়েছে লেবানন। এরই মধ্যে সৌদি আরবের আমদানি নিষেধাজ্ঞা আরোপ দেশটির অর্থনীতির ওপর আরও বাজে প্রভাব ফেলবে।
২০১৯ সালের শেষদিকে লেবাননের অর্থনীতি খারাপের দিকে যেতে শুরু করে। লেবাননের পাউন্ডের মূল্য ৯০ শতাংশ পড়ে যায়; হাজার হাজার বাসিন্দা চাকরি হারাতে থাকেন।
বর্তমানে দেশটির এক তৃতীয়াংশ বাসিন্দা দরিদ্রতার মধ্যে বাস করছেন। আঞ্চলিক সমৃদ্ধ অর্থনীতির দেশ সৌদি বহু যুগ ধরেই লেবাননের পণ্যের বড় বাজার।
সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে একটি ভিডিও ভাইরাল হলে দুই দেশের মধ্যে এ সম্পর্ক-সংকট দেখা দেয়। ভিডিওতে লেবাননের তথ্যমন্ত্রী জর্জ কোর্দাহিকে বলতে শোনা যায়, ইয়েমেনে যুদ্ধ সৌদি আরব ও সংযুক্ত আরব আমিরাতের আগ্রাসন।
লেবাননের তথ্যমন্ত্রী এ যুদ্ধকে ‘অযৌক্তিক’ বলে বর্ণনা করেছেন এবং এ যুদ্ধ থামানোর আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি বলেন, তিনি আরবদের মধ্যে যুদ্ধের বিরোধী।