মুক্তিযুদ্ধ মন্ত্রীর সাথে তুরস্ক রাষ্ট্রদূতের সাক্ষাৎ 

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট : ১১:৩১:৩৬ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ৩ নভেম্বর ২০২১
  • / 153

মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হকের সঙ্গে ঢাকায় নিযুক্ত তুরস্কের রাষ্ট্রদূত মুস্তাফা ওসমান তুরান ( Mustafa Osman Turan) মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ে মন্ত্রীর দপ্তরে সাক্ষাৎ করেছেন। এসময় মন্ত্রণালয়ের সচিব খাজা মিয়াসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। বুধবার (৩ নভেম্বর) সাক্ষাৎকালে বাংলাদেশের সঙ্গে তুরস্কের সৌহার্দ্যপূর্ণ সম্পর্ক, দুই দেশের ইতিহাস-ঐতিহ্য এবং দ্বিপাক্ষিক বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা করা হয়।

মন্ত্রী এ সময় রোহিঙ্গা ইস্যুতে তুরস্কের সরকার এবং জনগণের সহযোগিতার কথা কৃতজ্ঞচিত্তে স্মরণ করেন। ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের স্বাধীনতালাভ প্রসঙ্গ উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ মুসলিম ঐক্য বিনষ্ট করছে এমন বহু প্রোপাগান্ডা ছড়ানো হয়েছিল । এখন বাংলাদেশ সম্পর্কে প্রকৃত সত্য প্রকাশ্যে এসেছে এবং সব ভুল বোঝাবুঝি দূর হয়েছে। এখন বাংলাদেশ-তুরস্ক সম্পর্ক ভিন্ন মাত্রা পেয়েছে।

মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক সচিব খাজা মিয়া এ সময় বাংলাদেশের মহান মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে প্যানারমিক জাদুঘর তৈরিতে তুরস্কের কারিগরি সহযোগিতা প্রত্যাশা করেন

তুরস্কের রাষ্ট্রদূত বলেন, বাংলাদেশ-তুরস্কের সম্পর্ক পরীক্ষিত। বাংলাদেশ এবং তুরস্ক দুই দেশের মুসলিম জনগোষ্ঠীই সুন্নি এবং হানাফী মাযহাবের অনুসারী। দুই দেশের সংস্কৃতিতে অনেক সাদৃশ্য রয়েছে। এসময় রাষ্ট্রদূত তুরস্কের স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় উপমহাদেশের বহু মানুষ, বিশেষ করে বাঙালিদের সোনাদানা বিক্রি করে সহযোগিতা করার কথা কৃতজ্ঞচিত্তে স্মরণ করেন। এছাড়া বাংলাদেশের জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের তুরস্কের প্রতিষ্ঠাতা মুস্তফা কামাল আতাতুর্ককে নিয়ে লেখা কবিতার কথাও উল্লেখ করেন ।

মন্ত্রী উল্লেখ করেন, তুরস্কের কোনিয়া অঞ্চল থেকে হযরত শাহজালাল (র:) এ উপমহাদেশে ইসলাম ধর্ম প্রচারে আসেন। একই ধারাবাহিকতায় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের পূর্বপুরুষরা এদেশে এসে সুন্নি মতবাদের ইসলাম প্রচারে অবদান রাখেন। দু’দেশের সরকারই সব ধর্মের ধর্মীয় স্বাধীনতায় বিশ্বাসী এবং ধর্মীয় মূল্যবোধের নামে যেকোনো ধরনের বিভ্রান্তিকর অপব্যাখ্যার বিরুদ্ধে।

রাষ্ট্রদূত তুরস্কে বঙ্গবন্ধু এভিনিউ এবং পার্ক করা হচ্ছে বলে জানান। এছাড়া দু’দেশের মধ্যে সংস্কৃতি বিনিময়, বাণিজ্য বৃদ্ধিসহ মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে প্যানারমিক জাদুঘর তৈরিতে সহযোগিতার আশ্বাস দেন।

তুরস্কের রাষ্ট্রদূত এসময় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশের অভূতপূর্ণ উন্নয়নের ভূয়সী প্রশংসা করেন। এছাড়া ২০১৬ সালে তুরস্কের গণতান্ত্রিক সরকারের বিরুদ্ধে সামরিক অভ্যুত্থানের প্রচেষ্টার সময় তুরস্কের গণতান্ত্রিক সরকারের প্রতি বাংলাদেশ সরকারের সমর্থনের কথা কৃতজ্ঞচিত্তে স্মরণ করেন।

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্যাগস :

মুক্তিযুদ্ধ মন্ত্রীর সাথে তুরস্ক রাষ্ট্রদূতের সাক্ষাৎ 

আপডেট : ১১:৩১:৩৬ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ৩ নভেম্বর ২০২১

মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হকের সঙ্গে ঢাকায় নিযুক্ত তুরস্কের রাষ্ট্রদূত মুস্তাফা ওসমান তুরান ( Mustafa Osman Turan) মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ে মন্ত্রীর দপ্তরে সাক্ষাৎ করেছেন। এসময় মন্ত্রণালয়ের সচিব খাজা মিয়াসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। বুধবার (৩ নভেম্বর) সাক্ষাৎকালে বাংলাদেশের সঙ্গে তুরস্কের সৌহার্দ্যপূর্ণ সম্পর্ক, দুই দেশের ইতিহাস-ঐতিহ্য এবং দ্বিপাক্ষিক বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা করা হয়।

মন্ত্রী এ সময় রোহিঙ্গা ইস্যুতে তুরস্কের সরকার এবং জনগণের সহযোগিতার কথা কৃতজ্ঞচিত্তে স্মরণ করেন। ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের স্বাধীনতালাভ প্রসঙ্গ উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ মুসলিম ঐক্য বিনষ্ট করছে এমন বহু প্রোপাগান্ডা ছড়ানো হয়েছিল । এখন বাংলাদেশ সম্পর্কে প্রকৃত সত্য প্রকাশ্যে এসেছে এবং সব ভুল বোঝাবুঝি দূর হয়েছে। এখন বাংলাদেশ-তুরস্ক সম্পর্ক ভিন্ন মাত্রা পেয়েছে।

মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক সচিব খাজা মিয়া এ সময় বাংলাদেশের মহান মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে প্যানারমিক জাদুঘর তৈরিতে তুরস্কের কারিগরি সহযোগিতা প্রত্যাশা করেন

তুরস্কের রাষ্ট্রদূত বলেন, বাংলাদেশ-তুরস্কের সম্পর্ক পরীক্ষিত। বাংলাদেশ এবং তুরস্ক দুই দেশের মুসলিম জনগোষ্ঠীই সুন্নি এবং হানাফী মাযহাবের অনুসারী। দুই দেশের সংস্কৃতিতে অনেক সাদৃশ্য রয়েছে। এসময় রাষ্ট্রদূত তুরস্কের স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় উপমহাদেশের বহু মানুষ, বিশেষ করে বাঙালিদের সোনাদানা বিক্রি করে সহযোগিতা করার কথা কৃতজ্ঞচিত্তে স্মরণ করেন। এছাড়া বাংলাদেশের জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের তুরস্কের প্রতিষ্ঠাতা মুস্তফা কামাল আতাতুর্ককে নিয়ে লেখা কবিতার কথাও উল্লেখ করেন ।

মন্ত্রী উল্লেখ করেন, তুরস্কের কোনিয়া অঞ্চল থেকে হযরত শাহজালাল (র:) এ উপমহাদেশে ইসলাম ধর্ম প্রচারে আসেন। একই ধারাবাহিকতায় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের পূর্বপুরুষরা এদেশে এসে সুন্নি মতবাদের ইসলাম প্রচারে অবদান রাখেন। দু’দেশের সরকারই সব ধর্মের ধর্মীয় স্বাধীনতায় বিশ্বাসী এবং ধর্মীয় মূল্যবোধের নামে যেকোনো ধরনের বিভ্রান্তিকর অপব্যাখ্যার বিরুদ্ধে।

রাষ্ট্রদূত তুরস্কে বঙ্গবন্ধু এভিনিউ এবং পার্ক করা হচ্ছে বলে জানান। এছাড়া দু’দেশের মধ্যে সংস্কৃতি বিনিময়, বাণিজ্য বৃদ্ধিসহ মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে প্যানারমিক জাদুঘর তৈরিতে সহযোগিতার আশ্বাস দেন।

তুরস্কের রাষ্ট্রদূত এসময় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশের অভূতপূর্ণ উন্নয়নের ভূয়সী প্রশংসা করেন। এছাড়া ২০১৬ সালে তুরস্কের গণতান্ত্রিক সরকারের বিরুদ্ধে সামরিক অভ্যুত্থানের প্রচেষ্টার সময় তুরস্কের গণতান্ত্রিক সরকারের প্রতি বাংলাদেশ সরকারের সমর্থনের কথা কৃতজ্ঞচিত্তে স্মরণ করেন।