চিকিৎসায় নতুন দিগন্ত, টিকা ঠেকাবে জরায়ুমুখ ক্যান্সার

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট : ১১:৫৭:৪১ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৪ নভেম্বর ২০২১
  • / 154
ক্যান্সার নিয়ে গবেষণায় নতুন এক দিগন্ত উন্মোচিত হয়েছে। যুক্তরাজ্যের গবেষকরা দেখেছেন, নতুন একটি টিকা বা ভ্যাকসিন ভয়ানক জরায়ুমুখ ক্যান্সার প্রতিরোধে অনেকটাই কার্যকরী।

তারা বলছেন, হিউম্যান প্যাপিলোমাভাইরাস বা এইচপিভি ভ্যাকসিন জরায়ুমুখ ক্যান্সার ৯০ শতাংশ প্রতিরোধ করতে সক্ষম। যুক্তরাজ্যের গবেষকরা এটাকে ‘ঐতিহাসিক ঘটনা’ বলে বর্ণনা করেছেন। তারা বলছেন, এ ভ্যাকসিন মানুষের জীবন বাঁচাতে সহায়ক।

বিবিসির প্রতিবেদনে বুধবার বলা হয়, প্রায় সব জরায়ুমুখ ক্যান্সারই ভাইরাসের কারণে হয়। গবেষকদের প্রত্যাশা ভ্যাকসিনের মাধ্যমে এ রোগটিকে একেবারেই নিঃশেষ করে দিতে সক্ষম হবেন তারা।

নারীদের যেসব ক্যান্সার হয়, তার মধ্যে জরায়ুমুখ ক্যান্সার অন্যতম। বিশ্বব্যাপী এ ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে প্রতি বছর মৃত্যু হয় তিন লাখের বেশি মানুষের।

নিম্ন ও মধ্য আয়ের দেশগুলোতে এ মৃত্যুর হার সবচেয়ে বেশি। জরায়ু ক্যান্সারে প্রতি ১০ জনের মধ্যে ৯ জনের মৃত্যুই হয় এসব দেশে। কারণ, এসব দেশে এ ক্যান্সার পরীক্ষার সুযোগ-সুবিধা কম।

গবেষকদের প্রত্যাশা, নিম্ন ও মধ্য আয়ের দেশগুলোতে এ টিকা পৌঁছাবে। এইচপিভি ভাইরাসের মাধ্যমে এ ক্যান্সার হয় বলে টিকাটির নামও রাখা হয়েছে এইচপিভি ভ্যাকসিন।

এ রোগটিকে একেবারে নিঃশেষ করে দেয়ার পরিকল্পনা রয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার। এ কারণে বিশ্বের ১০০টির বেশি দেশে তারা এ ভ্যাকসিন সরবরাহ করতে যাচ্ছেন।

গবেষণা প্রতিবেদনটি চিকিৎসা বিষয়ক সাময়িকী দ্য ল্যানসেটে প্রকাশিত হয়েছে। যুক্তরাজ্যে ১১ থেকে ১৩ বছরের মেয়েদের এ টিকা প্রয়োগ করা হয়। এ ভ্যাকসিন প্রয়োগের পর ওই মেয়েদের ওপর এর প্রভাব নিরীক্ষা করেই প্রতিবেদনটি তৈরি করা হয়েছে।

যাদের ওপর এ টিকা প্রয়োগ করা হয়েছিল, তাদের বয়স এখন ২০। এ গবেষণা প্রসঙ্গে কিংস কলেজ লন্ডনের গবেষক অধ্যাপক পিটার সাসেইনি বলেন, ‘এর (টিকা) প্রভাব ব্যাপক।’

বিশ্বে প্রতি বছর ক্যান্সার আক্রান্ত হয়ে কয়েক লাখ মানুষের মৃত্যু হয়। এর মধ্যে ফুসফুস, গলার ভেতর ও মুখে ক্যান্সারে বহু মানুষের মৃত্যু হয়। নারীদের ক্ষেত্রে স্তন ও জরায়ুমুখ ক্যান্সার বেশ সাধারণ।

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্যাগস :

চিকিৎসায় নতুন দিগন্ত, টিকা ঠেকাবে জরায়ুমুখ ক্যান্সার

আপডেট : ১১:৫৭:৪১ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৪ নভেম্বর ২০২১
ক্যান্সার নিয়ে গবেষণায় নতুন এক দিগন্ত উন্মোচিত হয়েছে। যুক্তরাজ্যের গবেষকরা দেখেছেন, নতুন একটি টিকা বা ভ্যাকসিন ভয়ানক জরায়ুমুখ ক্যান্সার প্রতিরোধে অনেকটাই কার্যকরী।

তারা বলছেন, হিউম্যান প্যাপিলোমাভাইরাস বা এইচপিভি ভ্যাকসিন জরায়ুমুখ ক্যান্সার ৯০ শতাংশ প্রতিরোধ করতে সক্ষম। যুক্তরাজ্যের গবেষকরা এটাকে ‘ঐতিহাসিক ঘটনা’ বলে বর্ণনা করেছেন। তারা বলছেন, এ ভ্যাকসিন মানুষের জীবন বাঁচাতে সহায়ক।

বিবিসির প্রতিবেদনে বুধবার বলা হয়, প্রায় সব জরায়ুমুখ ক্যান্সারই ভাইরাসের কারণে হয়। গবেষকদের প্রত্যাশা ভ্যাকসিনের মাধ্যমে এ রোগটিকে একেবারেই নিঃশেষ করে দিতে সক্ষম হবেন তারা।

নারীদের যেসব ক্যান্সার হয়, তার মধ্যে জরায়ুমুখ ক্যান্সার অন্যতম। বিশ্বব্যাপী এ ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে প্রতি বছর মৃত্যু হয় তিন লাখের বেশি মানুষের।

নিম্ন ও মধ্য আয়ের দেশগুলোতে এ মৃত্যুর হার সবচেয়ে বেশি। জরায়ু ক্যান্সারে প্রতি ১০ জনের মধ্যে ৯ জনের মৃত্যুই হয় এসব দেশে। কারণ, এসব দেশে এ ক্যান্সার পরীক্ষার সুযোগ-সুবিধা কম।

গবেষকদের প্রত্যাশা, নিম্ন ও মধ্য আয়ের দেশগুলোতে এ টিকা পৌঁছাবে। এইচপিভি ভাইরাসের মাধ্যমে এ ক্যান্সার হয় বলে টিকাটির নামও রাখা হয়েছে এইচপিভি ভ্যাকসিন।

এ রোগটিকে একেবারে নিঃশেষ করে দেয়ার পরিকল্পনা রয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার। এ কারণে বিশ্বের ১০০টির বেশি দেশে তারা এ ভ্যাকসিন সরবরাহ করতে যাচ্ছেন।

গবেষণা প্রতিবেদনটি চিকিৎসা বিষয়ক সাময়িকী দ্য ল্যানসেটে প্রকাশিত হয়েছে। যুক্তরাজ্যে ১১ থেকে ১৩ বছরের মেয়েদের এ টিকা প্রয়োগ করা হয়। এ ভ্যাকসিন প্রয়োগের পর ওই মেয়েদের ওপর এর প্রভাব নিরীক্ষা করেই প্রতিবেদনটি তৈরি করা হয়েছে।

যাদের ওপর এ টিকা প্রয়োগ করা হয়েছিল, তাদের বয়স এখন ২০। এ গবেষণা প্রসঙ্গে কিংস কলেজ লন্ডনের গবেষক অধ্যাপক পিটার সাসেইনি বলেন, ‘এর (টিকা) প্রভাব ব্যাপক।’

বিশ্বে প্রতি বছর ক্যান্সার আক্রান্ত হয়ে কয়েক লাখ মানুষের মৃত্যু হয়। এর মধ্যে ফুসফুস, গলার ভেতর ও মুখে ক্যান্সারে বহু মানুষের মৃত্যু হয়। নারীদের ক্ষেত্রে স্তন ও জরায়ুমুখ ক্যান্সার বেশ সাধারণ।