মহামারি মোকাবিলায় আন্তর্জাতিক চুক্তি চায় হু

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট : ১০:৪০:০৬ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১ জুন ২০২১
  • / 253
::যুগের কন্ঠ ডেস্ক::

মহামারি মোকাবিলায় আরো জোরালো প্রস্তুতি গ্রহণ করতে একটি আন্তর্জাতিক চুক্তি করতে চায় বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (হু)। এ জন্য চলতি বছরই আলোচনা শুরুর আহ্বান জানিয়েছে ডব্লিউএইচওর প্রধান তেদ্রোস আধানম গেব্রিয়াসুস।

রয়টার্স প্রতিবেদনে জানা যায়, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার বার্ষিক মন্ত্রিপরিষদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন। গত এক সপ্তাহ ধরে মন্ত্রিপরিষদের সম্মেলন চলছে। সোমবার সম্মেলনের শেষ দিন ছিল।

সোমবার ডব্লিউএইচওর বার্ষিক মন্ত্রিপরিষদ সম্মেলনে সংস্থাটির মহাপরিচালক বলেন, বর্তমানে জাতিসংঘের বিভিন্ন সংস্থাকে করোনার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণে গুরুতর চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করতে হচ্ছে। এ ধরনের সঙ্কট মোকাবেলায় নমনীয় এবং টেকসই তহবিল প্রয়োজন।

আগামী ২৯ নভেম্বর আন্তর্জাতিক মহামারি চুক্তির বিষয়ে আলোচনা শুরু করার প্রয়োজন কিনা সে বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে ডব্লিউএইচওর ১৯৪ সদস্য দেশের মন্ত্রীরা বৈঠকে বসবেন বলেও এদিন সিদ্ধান্ত হয়।

গত এক সপ্তাহ ধরে মন্ত্রিপরিষদের সম্মেলন চলছে। সোমবার সম্মেলনের শেষ দিন। এদিন স্বাস্থ্যমন্ত্রীরা নতুন নতুন ভাইরাস দমনে বিভিন্ন দেশ এবং ডব্লিউএইচও উভয়ের সক্ষমতা বাড়াতে স্বাধীন গবেষকদের দ্বারা আরও বেশি উচ্চাকাঙ্ক্ষী গবেষণার প্রয়োজনের বিষয়ে একমত হন।

তেদ্রোস বলেন, আমার বিশ্বাস এই একটি সুপারিশ ডব্লিউএইচও এবং বৈশ্বিক স্বাস্থ্য সুরক্ষা ব্যবস্থা উভয়কে আরও বেশি শক্তিশালী করতে সব থেকে বেশি কাজ করবে। সেই সুপারিশ হলো, মহামারি মোকাবেলার প্রস্তুতি এবং ব্যবস্থা গ্রহণের বিষয়ে একটি আন্তর্জাতিক চুক্তি।

এটা এমন একটি পরিকল্পনা যেটা নিয়ে সামনে অগ্রসর হওয়ার সময় এসে গেছে। যদিও এ ধরনের কোনো আন্তর্জাতিক চুক্তিতে পৌঁছাতে হলে লম্বা পথ পাড়ি দিতে হবে সে বিষয়ে কোনো সন্দেহ নেই।

বিশ্বের প্রথম গণস্বাস্থ্য বিষয়ক চুক্তি হচ্ছে ডব্লিউএইচও-র ফ্রেমওয়ার্ক কনভেনশন অন টোবাকো কন্ট্রোল। ২০০৩ সালে এই চুক্তিতে উপনীত হওয়ার আগে দীর্ঘ চার বছর ধরে এটি নিয়ে আলোচনা চলে।

কোভিড-১৯ মহামারি মোকাবেলায় যথাসময়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করতে না পারার ফলে আজ পুরো বিশ্বকে ভুগতে হচ্ছে। এই যথাসময়ে ব্যবস্থা গ্রহণ করতে না পারার দায় ডব্লিউএইচওর ঘাড়েই সবচেয়ে বেশি।

এখন পর্যন্ত বিশ্বজুড়ে ১৭ কোটির বেশি মানুষ কোভিড-১৯ এ আক্রান্ত হয়েছেন, মারা গেছেন প্রায় সাড়ে ৩৫ লাখ মানুষ।

২০১৯ সালের ডিসেম্বরে চীনের হুবেই প্রদেশের উহান শহরে প্রথম করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়। যা পরে বিশ্বজুড়ে মহামারী আকারে ছড়িয়ে পড়ে।

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্যাগস :

মহামারি মোকাবিলায় আন্তর্জাতিক চুক্তি চায় হু

আপডেট : ১০:৪০:০৬ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১ জুন ২০২১
::যুগের কন্ঠ ডেস্ক::

মহামারি মোকাবিলায় আরো জোরালো প্রস্তুতি গ্রহণ করতে একটি আন্তর্জাতিক চুক্তি করতে চায় বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (হু)। এ জন্য চলতি বছরই আলোচনা শুরুর আহ্বান জানিয়েছে ডব্লিউএইচওর প্রধান তেদ্রোস আধানম গেব্রিয়াসুস।

রয়টার্স প্রতিবেদনে জানা যায়, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার বার্ষিক মন্ত্রিপরিষদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন। গত এক সপ্তাহ ধরে মন্ত্রিপরিষদের সম্মেলন চলছে। সোমবার সম্মেলনের শেষ দিন ছিল।

সোমবার ডব্লিউএইচওর বার্ষিক মন্ত্রিপরিষদ সম্মেলনে সংস্থাটির মহাপরিচালক বলেন, বর্তমানে জাতিসংঘের বিভিন্ন সংস্থাকে করোনার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণে গুরুতর চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করতে হচ্ছে। এ ধরনের সঙ্কট মোকাবেলায় নমনীয় এবং টেকসই তহবিল প্রয়োজন।

আগামী ২৯ নভেম্বর আন্তর্জাতিক মহামারি চুক্তির বিষয়ে আলোচনা শুরু করার প্রয়োজন কিনা সে বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে ডব্লিউএইচওর ১৯৪ সদস্য দেশের মন্ত্রীরা বৈঠকে বসবেন বলেও এদিন সিদ্ধান্ত হয়।

গত এক সপ্তাহ ধরে মন্ত্রিপরিষদের সম্মেলন চলছে। সোমবার সম্মেলনের শেষ দিন। এদিন স্বাস্থ্যমন্ত্রীরা নতুন নতুন ভাইরাস দমনে বিভিন্ন দেশ এবং ডব্লিউএইচও উভয়ের সক্ষমতা বাড়াতে স্বাধীন গবেষকদের দ্বারা আরও বেশি উচ্চাকাঙ্ক্ষী গবেষণার প্রয়োজনের বিষয়ে একমত হন।

তেদ্রোস বলেন, আমার বিশ্বাস এই একটি সুপারিশ ডব্লিউএইচও এবং বৈশ্বিক স্বাস্থ্য সুরক্ষা ব্যবস্থা উভয়কে আরও বেশি শক্তিশালী করতে সব থেকে বেশি কাজ করবে। সেই সুপারিশ হলো, মহামারি মোকাবেলার প্রস্তুতি এবং ব্যবস্থা গ্রহণের বিষয়ে একটি আন্তর্জাতিক চুক্তি।

এটা এমন একটি পরিকল্পনা যেটা নিয়ে সামনে অগ্রসর হওয়ার সময় এসে গেছে। যদিও এ ধরনের কোনো আন্তর্জাতিক চুক্তিতে পৌঁছাতে হলে লম্বা পথ পাড়ি দিতে হবে সে বিষয়ে কোনো সন্দেহ নেই।

বিশ্বের প্রথম গণস্বাস্থ্য বিষয়ক চুক্তি হচ্ছে ডব্লিউএইচও-র ফ্রেমওয়ার্ক কনভেনশন অন টোবাকো কন্ট্রোল। ২০০৩ সালে এই চুক্তিতে উপনীত হওয়ার আগে দীর্ঘ চার বছর ধরে এটি নিয়ে আলোচনা চলে।

কোভিড-১৯ মহামারি মোকাবেলায় যথাসময়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করতে না পারার ফলে আজ পুরো বিশ্বকে ভুগতে হচ্ছে। এই যথাসময়ে ব্যবস্থা গ্রহণ করতে না পারার দায় ডব্লিউএইচওর ঘাড়েই সবচেয়ে বেশি।

এখন পর্যন্ত বিশ্বজুড়ে ১৭ কোটির বেশি মানুষ কোভিড-১৯ এ আক্রান্ত হয়েছেন, মারা গেছেন প্রায় সাড়ে ৩৫ লাখ মানুষ।

২০১৯ সালের ডিসেম্বরে চীনের হুবেই প্রদেশের উহান শহরে প্রথম করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়। যা পরে বিশ্বজুড়ে মহামারী আকারে ছড়িয়ে পড়ে।