‘থাইল্যান্ডে বাংলাদেশী পণ্যের প্রচারে উদ্যোগ নেবে থাই দূতাবাস’
- আপডেট : ০১:০৫:১৭ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৩ নভেম্বর ২০২১
- / 151
থাইল্যান্ডের বাজারে বাংলাদেশী পণ্যের বিক্রি বাড়াতে আগ্রহী বাংলাদেশে নিযুক্ত থাইল্যান্ডের রাষ্ট্রদূত মাকাওয়াদে সুমিতমোর। মঙ্গলবার সকালে বাংলাদেশের শীর্ষ বাণিজ্য সংগঠন এফবিসিসিআই সভাপতি মো. জসিম উদ্দিনের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাতকালে এ আগ্রহের কথা প্রকাশ করেন তিনি।
রাষ্ট্রদূত জানান থাইল্যান্ড ও বাংলাদেশের মধ্যে মুক্ত বাণিজ্য চুক্তির বিষয়ে ইতিবাচক অগ্রগতি হয়েছে। তবে এফবিসিসিআই সভাপতি মো. জসিম উদ্দিন বলেন, স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উন্নয়নশীল দেশ হবার পর, বিশ্ববাজারে বেশকিছু বাজার সুবিধা হারাবে বাংলাদেশ। তাই ২০২৬ পরবর্তী সময়ে অর্থনৈতিক উন্নয়নের জন্য এফটিএ বা পিটিএ অপরিহার্য হবে। তবে মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি করার আগে সংশ্লিষ্ট দুই দেশের মধ্যে বাণিজ্য ভারসাম্য প্রতিষ্ঠা করতে হবে।
দুইদেশের দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য দীর্ঘদিন ধরেই থাইল্যান্ডের অনুকূলে রয়েছে। এসময় তিনি থাই বিনিয়োগকারীদের বাংলাদেশের বিনিয়োগের আহ্বান জানান। বিশেষ করে কৃষি প্রক্রিয়াজাত শিল্পে থাই বিনিয়োগ লাভজনক হতে পারে। একই সাথে চীন, জাপান, কোরিয়া ও ভারতের উদাহরণ দিয়ে বলেন, অনেক দেশই তাদের নিজেদের ব্যবসায়ীদের জন্য আলাদা অর্থনৈতিক অঞ্চল নিয়েছে। থাইল্যান্ডও চাইলে এমন পদক্ষেপ নিতে পারে। এছাড়াও থাইল্যান্ডে বাংলাদেশী পণ্যের বাজার বাড়াতে বিভিন্ন উদ্যোগ নেয়ার আহ্বান জানান এফবিসিসিআই সভাপতি।
থাই রাষ্ট্রদূত বলেন, পণ্যের ব্র্যান্ডিং করা গেলে, দেশটিতে বাংলাদেশী পন্যের ব্যাপক চাহিদা তৈরির সম্ভাবনা রয়েছে। বিশেষ করে বাংলাদেশের তৈরি পোশাক, চামড়াজাত পণ্য, ও মাছ রপ্তানির বিশাল সুযোগ রয়েছে।
এ সময় দেশটিতে রোড শো আয়োজন এবং যৌথ ওয়ার্কিং গ্রুপ গঠনের প্রস্তাব দেন এফবিসিসিআই’র সহসভাপতি এম এ মোমেন।
ব্যাংকক ও ঢাকার মধ্যে কূটনৈতিক সম্পর্কের ৫০ বছর উদযাপনের অংশ হিসেবে আগামী বছর বাংলাদেশ সফরে আসবেন দেশটির উপ-প্রধানমন্ত্রী এবং বাণিজ্য মন্ত্রী। ঐ সময় এফবিসিসিআই’র সাথে প্রতিনিধি দলের বৈঠক আয়োজনের প্রস্তাব দেন থাই রাষ্ট্রদূত। ঐ বৈঠকেই দুই দেশের বাণিজ্য বাড়াতে করনীয় ঠিক করা হবে।
সাক্ষাত অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন এফবিসিসিআই’র সিনিয়র সহ-সভাপতি জনাব মোস্তফা আজাদ চৌধুরী বাবু, সহ-সভাপতি মো. হাবীব উল্লাহ ডন এবং মহাসচিব মোহাম্মদ মাহফুজুল হক।