সোনার বাংলা গড়তে সবাইকে এগিয়ে আসার আহ্বান অর্থমন্ত্রীর
- আপডেট : ০২:০০:২৩ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৪ নভেম্বর ২০২১
- / 184
স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীতে সোনার বাংলা গড়তে সকলকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়েছেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল।
বুধবার (২৪ নভেম্বর) দুপুরে অফিসার্স ক্লাবে সেরা করদাতার সম্মাননা স্মারক ও ট্যাক্সকার্ড প্রদান অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন তিনি।
আবু হেনা মো. রহমাতুল মুনিমের সভাপতিত্বে সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন এফবিসিসিআই সভাপতি জসিম উদ্দিন।
অর্থমন্ত্রী বলেন, খাঁটি মুসলমান হতে হলে পিছিয়ে পড়া মানুষদের এগিয়ে নিতে হবে। ব্যবসায়ী, অর্থশালী ও বিত্তশালীদের প্রতি আহ্বান থাকবে তারা যেন তাদের প্রতিবেশীদের সহায়তা করে। আত্মীয়-স্বজন ও পাড়া-প্রতিবেশীদের সহায়তা করা আমাদের ঈমানি দায়িত্ব। আমাদের এগিয়ে যেতে অনেক কাজ করতে হবে। আপনার সম্পদে গরিবের হক আছে। আপনারা যে অর্থ কর হিসেবে দেন তা দিয়ে সরকার উন্নয়ন কাজে বিনিয়োগ করে। আসুন সুবর্ণজয়ন্তীতে আমরা একটু একটু করে দেশ গঠনে অংশগ্রহণ করে সোনার বাংলা গড়তে এগিয়ে আসি।
এফবিসিসিআই সভাপতি জসিম উদ্দিন বলেন, জরিপের মাধ্যমে করদাতা চিহ্নিত করার কাজকে সাধুবাদ জানাই। করদাতা বাড়াতে হলে সচেতনতামূলক কাজ বাড়াতে হবে পাশাপাশি উপজেলা পর্যায়ে এনবিআরের অফিস করা প্রয়োজন।
এনবিআর চেয়ারম্যান আবু হেনা মো. রহমাতুল মুনিম বলেন, করদাতা পরিষ্কারভাবে দেখতে পান, কর প্রদানের মাধ্যমে দেশের অর্থনৈতিক ও অবকাঠামোগত উন্নতি হয়। কেন আমি কর দেই, কর দিয়ে কী হবে? এই প্রশ্নের উত্তর করদাতারা পেয়েছেন বলেই, তারা করদিতে উৎসাহী হন। আমাদের ব্যক্তিপর্যায়ে করপ্রদানের সক্ষমতা বাড়ছে। সবাইকে করজালের আওতায় নিয়ে আসব। আর তা হলে করহার কমবে। করজাল বাড়াতে এনবিআরকে ডিজিটাল ও অটোমেশন করার কাজ শুরু করা হয়েছে৷
২০২০-২০২১ কর বছরে ব্যক্তি ৭৫ জন, কোম্পানি ৫৪টি ও অন্যান্য ক্যাটাগরিসহ ১৪১টি ট্যাক্সকার্ড প্রদান করা হয়।
সিনিয়র সিটিজেন ক্যাটাগরি: বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজী, খাজা তাজমহল, ইঞ্জিনিয়ার খন্দকার বদরুল হাসান, ট্রান্সকম লিমিটেডের লতিফুর রহমান ও পপুলার ডায়াগনস্টিকের ডা. মোস্তাফিজুর রহমান। গেজেটভুক্ত যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা ক্যাটাগরি : মো. নাসির উদ্দিন মৃধা, মো. জয়নাল আবেদীন, মো. কোহিনুর ইসলাম খান ও এস এম আবদুল ওয়াহাব।
প্রতিবন্ধী ক্যাটাগরি: আকরাম মাহমুদ, ডা. মো. মামুনুর রশীদ ও লুবনা নিগার।
নারী ক্যাটাগরি: আনোয়ারা হোসেন, শাহনাজ রহমান, সেলিনা মাহবুব, ফারহানা মোনেম ও মোরশেদা নাসমিন।
তরুণ ক্যাটাগরি: আহমেদ ইমতিয়াজ খান, এস এম মঞ্জুরুল আলম অভি, মো. লুৎফর রহমান, মো. ফয়সাল হোসেন, আনিকা তারান্নুম আনাম।
ব্যবসায়ী ক্যাটাগরি: হাকিমপুরী জর্দার ব্যবসায়ী মো. কাউছ মিয়া, নজরুল ইসলাম মজুমদার, নাফিস সিকদার, মো. শওকত আলী চৌধুরী ও আলহাজ্ব আনোয়ার খান।
বেতনভোগী ক্যাটাগরি: মোহাম্মাদ ইউসুফ, হোসনে আরা হোসেন, রুবাইয়াৎ ফারজানা হোসেন, লায়লা হোসেন ও এম এ হায়দার হোসেন।
ডাক্তার ক্যাটাগরি: ডা. জাহাঙ্গীর কবির, অধ্যাপক ডা. একেএম ফজলুল হক, ডা. প্রাণ গোপাল দত্ত, ডা. এন এ এম মোমেনুজ্জামান ও নার্গিস ফাতেমা।
সাংবাদিক ক্যাটাগরি: ফরিদুর রেজা সাগর,আব্দুল মুকিত মজুমদার, মাহ্ফুজ আনাম, মোহাম্মদ আবদুল মালেক, মতিউর রহমান।
আইনজীবী ক্যাটাগরি: শেখ ফজলে নূর তাপস, কাজী মোহাম্মদ তানজিবুল আলম, আহসানুল করিম, নিহাদ কবির ও তৌফিকা আফতাব।
প্রকৌশলী ক্যাটাগরি: মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ, প্রকৌশলী মো. মোখলেছুর রহমান ও মো. জহুরুল ইসলাম।
স্থপতি ক্যাটাগরি: মোহাম্মদ ফয়েজ উল্লাহ, মো. রফিক আজম ও এনামুল করিম নির্ঝর।
অ্যাকাউন্ট্যান্ট ক্যাটাগরি: মো. ফারুক, মাশুক আহমেদ এফসিএ, মো. মুশতাক আহমেদ।
খেলোয়াড় ক্যাটাগরি: ক্রিকেটার মো. মাহমুদউল্লাহ, তামিম ইকবাল খান ও সৌম্য সরকার।
অভিনেতা-অভিনেত্রী ক্যাটাগরি: সুর্বণা মোস্তফা, বিদ্যা সিনহা মীম ও বাবুল আহমেদ।
গায়ক-গায়িকা ক্যাটাগরি: তাহসান রহমান খান, এসডি রুবেল ও কুমার বিশ্বজিৎ।
অন্যান্য ক্যাটাগরি : মাহমুদুল হক, খন্দকার মনির উদ্দিন ও সাইফুল ইসলাম।
টেলিকমিউনিকেশনে: গ্রামীণ ফোন।
প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়াতে: মিডিয়া স্টার, ইস্ট ওয়েস্ট মিডিয়া গ্রুপ, ট্রান্সক্রাফট লিমিটেড ও সময় মিডিয়া।