ওমিক্রন: ‘উচ্চ ঝুঁকি’র দেশের ভারতীয় তালিকায় বাংলাদেশ

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট : ০১:০৯:১০ অপরাহ্ন, সোমাবার, ২৯ নভেম্বর ২০২১
  • / 119
করোনার নতুন যে ধরনটিকে ‘ভয়াবহ’ বলে মনে করা হচ্ছে, সেই ওমিক্রন ঠেকাতে ভারত ‘উচ্চ ঝুঁকি’র দেশের একটি তালিকা প্রকাশ করেছে। হিন্দুস্তান টাইমসের ওই প্রতিবেদনে বলা হয়, ওই তালিকায় রয়েছে বাংলাদেশের নামও।

কয়েকটি দেশে আন্তর্জাতিক ফ্লাইট চালুকে কেন্দ্র করে রোববার এ নির্দেশনামূলক তালিকা প্রকাশ করেছে ভারত সরকার। করোনার এ নতুন ধরন প্রথম শনাক্ত হয় দক্ষিণ আফ্রিকায়। পরে তা বেশ কয়েকটি দেশে ছড়িয়ে পড়ে।

ভারত সরকারের নতুন নির্দেশনা অনুযায়ী, যুক্তরাজ্যসহ ইউরোপের সবগুলো দেশকে উচ্চ ঝুঁকিতে রাখা হয়েছে। সেইসঙ্গে বাংলাদেশসহ আরও ১১টি দেশকে এ তালিকায় অন্তর্ভূক্ত করা হয়েছে।

তালিকায় থাকা ওমিক্রনের ‘উচ্চ ঝুঁকি’র দেশগুলো হলো- যুক্তরাজ্যসহ পুরো ইউরোপ, দক্ষিণ আফ্রিকা, ব্রাজিল, বাংলাদেশ, বোতসোওয়ানা, চীন, মরিশাসম নিউজিল্যান্ড, জিম্বাবুয়ে, সিঙ্গাপুর, হং কং ও ইসরায়েল।

ভারতের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের নতুন নির্দেশনা অনুযায়ী, এসব দেশ থেকে যাত্রীরা ভারতে প্রবেশ করামাত্র বিমানবন্দরে আরটি-পিসিআর টেস্ট করতে হবে। তাদেরকে বিমানবন্দরে থেকেই এ টেস্টের ফলাফল জানার জন্য অপেক্ষা করতে হবে।

যাত্রীদের মধ্যে যাদের করোনা পজেটিভ দেখাবে, তাদেরকে হাসপাতালে নেয়া হবে। সেখানে তারা কোয়ারেন্টিনে থাকবেন। যতক্ষণ না তাদের করোনা নেগেটিভ আসছে, ততক্ষণ তাদের সেখানে থাকতে হবে।

এ ছাড়াও ‘উচ্চ ঝুঁকির’ এসব দেশ থেকে ভারতে যাওয়া যাত্রীদের করোনা পজেটিভ না হলেও ‘হোম কোয়ারেন্টিনে’ থাকতে হবে এবং আটদিন পর একটি টেস্ট করিয়ে করোনা নেগেটিভ দেখাতে হবে।

ভারতে এখনও ওমিক্রনে আক্রান্ত কারো সন্ধান পাওয়া যায়নি। তবে মহারাষ্ট্রের থানেতে এক দক্ষিণ আফ্রিকা ফেরত ব্যক্তির করোনা শনাক্ত হওয়ায় তার ওপর বিশেষ নজর রাখা হচ্ছে।

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্যাগস :

ওমিক্রন: ‘উচ্চ ঝুঁকি’র দেশের ভারতীয় তালিকায় বাংলাদেশ

আপডেট : ০১:০৯:১০ অপরাহ্ন, সোমাবার, ২৯ নভেম্বর ২০২১
করোনার নতুন যে ধরনটিকে ‘ভয়াবহ’ বলে মনে করা হচ্ছে, সেই ওমিক্রন ঠেকাতে ভারত ‘উচ্চ ঝুঁকি’র দেশের একটি তালিকা প্রকাশ করেছে। হিন্দুস্তান টাইমসের ওই প্রতিবেদনে বলা হয়, ওই তালিকায় রয়েছে বাংলাদেশের নামও।

কয়েকটি দেশে আন্তর্জাতিক ফ্লাইট চালুকে কেন্দ্র করে রোববার এ নির্দেশনামূলক তালিকা প্রকাশ করেছে ভারত সরকার। করোনার এ নতুন ধরন প্রথম শনাক্ত হয় দক্ষিণ আফ্রিকায়। পরে তা বেশ কয়েকটি দেশে ছড়িয়ে পড়ে।

ভারত সরকারের নতুন নির্দেশনা অনুযায়ী, যুক্তরাজ্যসহ ইউরোপের সবগুলো দেশকে উচ্চ ঝুঁকিতে রাখা হয়েছে। সেইসঙ্গে বাংলাদেশসহ আরও ১১টি দেশকে এ তালিকায় অন্তর্ভূক্ত করা হয়েছে।

তালিকায় থাকা ওমিক্রনের ‘উচ্চ ঝুঁকি’র দেশগুলো হলো- যুক্তরাজ্যসহ পুরো ইউরোপ, দক্ষিণ আফ্রিকা, ব্রাজিল, বাংলাদেশ, বোতসোওয়ানা, চীন, মরিশাসম নিউজিল্যান্ড, জিম্বাবুয়ে, সিঙ্গাপুর, হং কং ও ইসরায়েল।

ভারতের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের নতুন নির্দেশনা অনুযায়ী, এসব দেশ থেকে যাত্রীরা ভারতে প্রবেশ করামাত্র বিমানবন্দরে আরটি-পিসিআর টেস্ট করতে হবে। তাদেরকে বিমানবন্দরে থেকেই এ টেস্টের ফলাফল জানার জন্য অপেক্ষা করতে হবে।

যাত্রীদের মধ্যে যাদের করোনা পজেটিভ দেখাবে, তাদেরকে হাসপাতালে নেয়া হবে। সেখানে তারা কোয়ারেন্টিনে থাকবেন। যতক্ষণ না তাদের করোনা নেগেটিভ আসছে, ততক্ষণ তাদের সেখানে থাকতে হবে।

এ ছাড়াও ‘উচ্চ ঝুঁকির’ এসব দেশ থেকে ভারতে যাওয়া যাত্রীদের করোনা পজেটিভ না হলেও ‘হোম কোয়ারেন্টিনে’ থাকতে হবে এবং আটদিন পর একটি টেস্ট করিয়ে করোনা নেগেটিভ দেখাতে হবে।

ভারতে এখনও ওমিক্রনে আক্রান্ত কারো সন্ধান পাওয়া যায়নি। তবে মহারাষ্ট্রের থানেতে এক দক্ষিণ আফ্রিকা ফেরত ব্যক্তির করোনা শনাক্ত হওয়ায় তার ওপর বিশেষ নজর রাখা হচ্ছে।