ওমিক্রন: ‘উচ্চ ঝুঁকি’র ভারতীয় তালিকা থেকে বাদ বাংলাদেশ
- আপডেট : ১০:৫২:৫০ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ৩০ নভেম্বর ২০২১
- / 147
বাংলাদেশকে বাদ দিয়ে মঙ্গলবার হালনাগাদ তালিকা প্রকাশ করে ভারতের স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়। নতুন তালিকায় বাংলাদেশের নাম ছিল না। এ তালিকায় বাকি সবগুলো দেশ আগের অবস্থানেই রয়েছে। এর আগে রোববার করোনার নতুন যে ধরনকে ‘ভয়াবহ’ বলে মনে করা হচ্ছে, সেই ওমিক্রন ঠেকাতে ভারত ‘উচ্চ ঝুঁকি’র দেশের একটি তালিকা প্রকাশ করে। ওই তালিকায় বাংলাদেশকেও রাখা হয়।
কয়েকটি দেশে আন্তর্জাতিক ফ্লাইট চালুকে কেন্দ্র করে এ নির্দেশনামূলক তালিকা প্রকাশ করেছিল ভারত সরকার। করোনার এ নতুন ধরন প্রথম শনাক্ত হয় দক্ষিণ আফ্রিকায়। পরে তা বেশ কয়েকটি দেশে ছড়িয়ে পড়ে।
ভারত সরকারের নতুন নির্দেশনা অনুযায়ী, যুক্তরাজ্যসহ ইউরোপের সবগুলো দেশকে উচ্চ ঝুঁকিতে রাখা হয়েছে। সেইসঙ্গে বাংলাদেশসহ আরও ১১টি দেশকে এ তালিকায় অন্তর্ভূক্ত করা হয়েছিল। সেখান থেকে বাদ দেয়া হয়েছে বাংলাদেশকে।
হালনাগাদ হওয়া তালিকায় থাকা ওমিক্রনের ‘উচ্চ ঝুঁকি’র দেশগুলো হলো- যুক্তরাজ্যসহ পুরো ইউরোপ, দক্ষিণ আফ্রিকা, ব্রাজিল, বোতসোওয়ানা, চীন, মরিশাসম নিউজিল্যান্ড, জিম্বাবুয়ে, সিঙ্গাপুর, হং কং ও ইসরায়েল।
ভারতের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের নতুন নির্দেশনা অনুযায়ী, এসব দেশ থেকে যাত্রীরা ভারতে প্রবেশ করামাত্র বিমানবন্দরে আরটি-পিসিআর টেস্ট করতে হবে। তাদেরকে বিমানবন্দরে থেকেই এ টেস্টের ফলাফল জানার জন্য অপেক্ষা করতে হবে।
যাত্রীদের মধ্যে যাদের করোনা পজেটিভ দেখাবে, তাদেরকে হাসপাতালে নেয়া হবে। সেখানে তারা কোয়ারেন্টিনে থাকবেন। যতক্ষণ না তাদের করোনা নেগেটিভ আসছে, ততক্ষণ তাদের সেখানে থাকতে হবে।
এ ছাড়াও ‘উচ্চ ঝুঁকির’ এসব দেশ থেকে ভারতে যাওয়া যাত্রীদের করোনা পজেটিভ না হলেও ‘হোম কোয়ারেন্টিনে’ থাকতে হবে এবং আটদিন পর একটি টেস্ট করিয়ে করোনা নেগেটিভ দেখাতে হবে।
ভারতে এখনও ওমিক্রনে আক্রান্ত কারো সন্ধান পাওয়া যায়নি। তবে মহারাষ্ট্রের থানেতে এক দক্ষিণ আফ্রিকা ফেরত ব্যক্তির করোনা শনাক্ত হওয়ায় তার ওপর বিশেষ নজর রাখা হচ্ছে।