সু চির মামলার রায় পেছালো

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট : ১০:৫৬:১৫ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ৩০ নভেম্বর ২০২১
  • / 119
মিয়ানমারের একটি আদালত দেশটির গণতন্ত্রপন্থী নেত্রী অং সান সু চির বিরুদ্ধে করা কয়েকটি মামলার রায় ঘোষণা করার কথা ছিল মঙ্গলবার। বার্তাসংস্থা রয়টার্স জানায়, মামলার রায় ঘোষণার দিনক্ষণ পিছিয়ে আগামী ৬ ডিসেম্বর নির্ধারণ করা হয়েছে।

সু চি আটক হওয়ার পর মিয়ানমারের সামরিক সরকার তার বিরুদ্ধে এ মামলাগুলো করে। এসব মামলায় এখনও কোনো রায় ঘোষণা হয়নি আদালতে।

এনডিটিভির খবরে বলা হয়, সু চির বিরুদ্ধে যে মামলাগুলো রয়েছে, তার সবক’টিতে দোষী প্রমাণিত হলে তার ১০০ বছরের বেশি মেয়াদে কারাবাসের সাজা হতে পারে।

গত ফেব্রুয়ারিতে অং সান সু চি সরকারকে হটিয়ে মিয়ানমারে ক্ষমতায় আসে দেশটির সেনা বাহিনী। এর পরই সু চিসহ তার দল ন্যাশনাল লিগ ফর ডেমোক্র্যাসির (এনএলডি) অনেক নেতাকে আটক করা হয়।

বর্তমানে গৃহবন্দী অবস্থায় রয়েছেন সু চি। এ অবস্থায় তার বিচারকাজ চলছে। তিনি ও তার দলের নেতাদের মুক্তি চেয়ে মিয়ানমারের বিভিন্ন শহরের বহুদিন ধরেই বিক্ষোভ করছেন গণতন্ত্রপন্থীরা। এসব বিক্ষোভে গুলি চালিয়ে এক হাজারের বেশি মানুষকে হত্যা করেছে সামরিক জান্তা সরকার।

গত জুন মাস থেকে সু চির বিরুদ্ধে করা মামলাগুলোর বিচারকাজ শুরু হয় মিয়ানমারের আদালতে। রুদ্ধদ্বার আদালতে সু চির মামলার শুনানি হয়ে আসছে।

সু চির দল এনএলডির অন্যতম শীর্ষ উইন মিন্টেরও বিচার করা হচ্ছে। তিনি সু চি সরকারের প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। অভিযোগ প্রমাণিত হলে সু চির মতো তারও একই সাজা হতে পারে।

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্যাগস :

সু চির মামলার রায় পেছালো

আপডেট : ১০:৫৬:১৫ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ৩০ নভেম্বর ২০২১
মিয়ানমারের একটি আদালত দেশটির গণতন্ত্রপন্থী নেত্রী অং সান সু চির বিরুদ্ধে করা কয়েকটি মামলার রায় ঘোষণা করার কথা ছিল মঙ্গলবার। বার্তাসংস্থা রয়টার্স জানায়, মামলার রায় ঘোষণার দিনক্ষণ পিছিয়ে আগামী ৬ ডিসেম্বর নির্ধারণ করা হয়েছে।

সু চি আটক হওয়ার পর মিয়ানমারের সামরিক সরকার তার বিরুদ্ধে এ মামলাগুলো করে। এসব মামলায় এখনও কোনো রায় ঘোষণা হয়নি আদালতে।

এনডিটিভির খবরে বলা হয়, সু চির বিরুদ্ধে যে মামলাগুলো রয়েছে, তার সবক’টিতে দোষী প্রমাণিত হলে তার ১০০ বছরের বেশি মেয়াদে কারাবাসের সাজা হতে পারে।

গত ফেব্রুয়ারিতে অং সান সু চি সরকারকে হটিয়ে মিয়ানমারে ক্ষমতায় আসে দেশটির সেনা বাহিনী। এর পরই সু চিসহ তার দল ন্যাশনাল লিগ ফর ডেমোক্র্যাসির (এনএলডি) অনেক নেতাকে আটক করা হয়।

বর্তমানে গৃহবন্দী অবস্থায় রয়েছেন সু চি। এ অবস্থায় তার বিচারকাজ চলছে। তিনি ও তার দলের নেতাদের মুক্তি চেয়ে মিয়ানমারের বিভিন্ন শহরের বহুদিন ধরেই বিক্ষোভ করছেন গণতন্ত্রপন্থীরা। এসব বিক্ষোভে গুলি চালিয়ে এক হাজারের বেশি মানুষকে হত্যা করেছে সামরিক জান্তা সরকার।

গত জুন মাস থেকে সু চির বিরুদ্ধে করা মামলাগুলোর বিচারকাজ শুরু হয় মিয়ানমারের আদালতে। রুদ্ধদ্বার আদালতে সু চির মামলার শুনানি হয়ে আসছে।

সু চির দল এনএলডির অন্যতম শীর্ষ উইন মিন্টেরও বিচার করা হচ্ছে। তিনি সু চি সরকারের প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। অভিযোগ প্রমাণিত হলে সু চির মতো তারও একই সাজা হতে পারে।