এক লাফে দ্বিগুণ হলো দক্ষিণ আফ্রিকার করোনা সংক্রমণ

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট : ১১:১০:২০ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২ ডিসেম্বর ২০২১
  • / 122
করোনা ভাইরাসের নতুন ধরন ওমিক্রনের জেরে দক্ষিণ আফ্রিকায় লাফিয়ে বাড়ছে সংক্রমণ। স্থানীয় সময় বুধবার সেখানে একদিনে করোনা শনাক্তের হার বেড়ে দ্বিগুণ হয়েছে।

গত ৮ নভেম্বর দক্ষিণ আফ্রিকার গাউতেং প্রদেশে (রাজধানী জোহান্সবার্গ) প্রথম করোনার নতুন ধরন ওমিক্রন শনাক্ত হয়। পরে তা বিভিন্ন দেশে ছড়িয়ে পড়ে। সর্বশেষ যুক্তরাষ্ট্রের একজনের দেহে ওমিক্রন শনাক্ত হয়েছে।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (হু) উদ্ধৃতি দিয়ে এনডিটিভি অনলাইনের খবরে বলা হয়, ইতোমধ্যে বিশ্বের কমপক্ষে ২৪টি দেশে ওমিক্রন ছড়িয়ে পড়েছে। এ সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলেও আশঙ্কা করা হচ্ছে।

বিশ্বের অনেক দেশ দক্ষিণ আফ্রিকা ও এর আশাপাশের কয়েকটি দেশের সঙ্গে তাদের বিমান যোগাযোগ বন্ধ করে দিয়েছে। কিন্তু তাতেও তেমন কাজ হচ্ছে না।

ভাইরাস বিশেষজ্ঞরা ইতোমধ্যে সতর্ক করেছেন যে, ওমিক্রন করোনা ভাইরাসের অন্য ধরনগুলো থেকে বেশ আলাদা। এটি দ্রুত ছড়িয়ে পড়তে সক্ষম। এর সংক্রমণ-ক্ষমতা করোনার অতিসংক্রমণশীল ধরন ডেল্টার চেয়েও বেশি বলে জানিয়েছেন তারা।

দক্ষিণ আফ্রিকার সংক্রামক রোগ বিষয়ক জাতীয় ইনস্টিটিউট (এনআইসিডি) বলছে, ওমিক্রনের প্রোফাইল এবং মহামারি বিষয়ক প্রাথমিক তথ্য থেকে জানা গেছে, কিছু রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাকে (ইমুউনিটি) ফাঁকি দিতে এটা সক্ষম। তথাপি গুরুতর অসুস্থতা ও মৃত্যু ঠেকাতে প্রচলিত ভ্যাকসিন কাজ করতে পারে।

এনআইসিডি বলছে, গত মাসে যেসব নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে, তার মধ্যে ৭৪ শতাংশই ছিল নতুন ধরনের (ওমিক্রন)। গত সপ্তাহে আনুষ্ঠানিকভাবে ওমিক্রনের ঘোষণা এলেও তা প্রথম পাওয়া গিয়েছিল ৮ নভেম্বর দক্ষিণ আফ্রিকার গাউতেং প্রদেশে।

গত মঙ্গলবার দক্ষিণ আফ্রিকায় যে সংখ্যক লোকের করোনা শনাক্ত হয়েছে, বুধবার ছিল তার দ্বিগুণ। ওয়ার্ল্ডডোমিটার্স এর তথ্য অনুযায়ী, দক্ষিণ আফ্রিকায় বুধবার করোনা আক্রান্ত হয়েছেন ৮ হাজার ৫৬১ জন। এর আগের দিন এ সংখ্য ছিল ৪ হাজার ৩৭৩ জন।

পুরো মহামারি পর্বে দক্ষিণ আফ্রিকায় এ পর্যন্ত করোনা প্রাণ গেছে ৮৯ হাজার ৮৭১ জনের। করোনা শনাক্ত হয়েছে ২৯ লাখ ৭৬ হাজার ৬১৩ জনের। সেরে উঠেছেন ২৮ লাখ ৫০ হাজার ১৪২ জন।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মহামারি বিশেষজ্ঞ মারিয়া ভ্যান কেরখোভ এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, নথি ঘেঁটে বলা যায়, ওমিক্রন কতোটা সংক্রামক তা ‘কয়েক দিনের’ মধ্যেই জানা যাবে।

তবে ভ্যাকসিন প্রস্তুতকারী কোম্পানি বায়োএনটেকের প্রধান নির্বাহী বলেছেন, ফাইজারের সঙ্গে অংশিদ্বারিত্বে তারা যে ভ্যাকসিন বানিয়েছেন, তা ওমিক্রনের কারণে গুরুতর অসুস্থতা ঠেকাবে।

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্যাগস :

এক লাফে দ্বিগুণ হলো দক্ষিণ আফ্রিকার করোনা সংক্রমণ

আপডেট : ১১:১০:২০ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২ ডিসেম্বর ২০২১
করোনা ভাইরাসের নতুন ধরন ওমিক্রনের জেরে দক্ষিণ আফ্রিকায় লাফিয়ে বাড়ছে সংক্রমণ। স্থানীয় সময় বুধবার সেখানে একদিনে করোনা শনাক্তের হার বেড়ে দ্বিগুণ হয়েছে।

গত ৮ নভেম্বর দক্ষিণ আফ্রিকার গাউতেং প্রদেশে (রাজধানী জোহান্সবার্গ) প্রথম করোনার নতুন ধরন ওমিক্রন শনাক্ত হয়। পরে তা বিভিন্ন দেশে ছড়িয়ে পড়ে। সর্বশেষ যুক্তরাষ্ট্রের একজনের দেহে ওমিক্রন শনাক্ত হয়েছে।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (হু) উদ্ধৃতি দিয়ে এনডিটিভি অনলাইনের খবরে বলা হয়, ইতোমধ্যে বিশ্বের কমপক্ষে ২৪টি দেশে ওমিক্রন ছড়িয়ে পড়েছে। এ সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলেও আশঙ্কা করা হচ্ছে।

বিশ্বের অনেক দেশ দক্ষিণ আফ্রিকা ও এর আশাপাশের কয়েকটি দেশের সঙ্গে তাদের বিমান যোগাযোগ বন্ধ করে দিয়েছে। কিন্তু তাতেও তেমন কাজ হচ্ছে না।

ভাইরাস বিশেষজ্ঞরা ইতোমধ্যে সতর্ক করেছেন যে, ওমিক্রন করোনা ভাইরাসের অন্য ধরনগুলো থেকে বেশ আলাদা। এটি দ্রুত ছড়িয়ে পড়তে সক্ষম। এর সংক্রমণ-ক্ষমতা করোনার অতিসংক্রমণশীল ধরন ডেল্টার চেয়েও বেশি বলে জানিয়েছেন তারা।

দক্ষিণ আফ্রিকার সংক্রামক রোগ বিষয়ক জাতীয় ইনস্টিটিউট (এনআইসিডি) বলছে, ওমিক্রনের প্রোফাইল এবং মহামারি বিষয়ক প্রাথমিক তথ্য থেকে জানা গেছে, কিছু রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাকে (ইমুউনিটি) ফাঁকি দিতে এটা সক্ষম। তথাপি গুরুতর অসুস্থতা ও মৃত্যু ঠেকাতে প্রচলিত ভ্যাকসিন কাজ করতে পারে।

এনআইসিডি বলছে, গত মাসে যেসব নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে, তার মধ্যে ৭৪ শতাংশই ছিল নতুন ধরনের (ওমিক্রন)। গত সপ্তাহে আনুষ্ঠানিকভাবে ওমিক্রনের ঘোষণা এলেও তা প্রথম পাওয়া গিয়েছিল ৮ নভেম্বর দক্ষিণ আফ্রিকার গাউতেং প্রদেশে।

গত মঙ্গলবার দক্ষিণ আফ্রিকায় যে সংখ্যক লোকের করোনা শনাক্ত হয়েছে, বুধবার ছিল তার দ্বিগুণ। ওয়ার্ল্ডডোমিটার্স এর তথ্য অনুযায়ী, দক্ষিণ আফ্রিকায় বুধবার করোনা আক্রান্ত হয়েছেন ৮ হাজার ৫৬১ জন। এর আগের দিন এ সংখ্য ছিল ৪ হাজার ৩৭৩ জন।

পুরো মহামারি পর্বে দক্ষিণ আফ্রিকায় এ পর্যন্ত করোনা প্রাণ গেছে ৮৯ হাজার ৮৭১ জনের। করোনা শনাক্ত হয়েছে ২৯ লাখ ৭৬ হাজার ৬১৩ জনের। সেরে উঠেছেন ২৮ লাখ ৫০ হাজার ১৪২ জন।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মহামারি বিশেষজ্ঞ মারিয়া ভ্যান কেরখোভ এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, নথি ঘেঁটে বলা যায়, ওমিক্রন কতোটা সংক্রামক তা ‘কয়েক দিনের’ মধ্যেই জানা যাবে।

তবে ভ্যাকসিন প্রস্তুতকারী কোম্পানি বায়োএনটেকের প্রধান নির্বাহী বলেছেন, ফাইজারের সঙ্গে অংশিদ্বারিত্বে তারা যে ভ্যাকসিন বানিয়েছেন, তা ওমিক্রনের কারণে গুরুতর অসুস্থতা ঠেকাবে।