করোনার প্লাজমা চিকিৎসায় আপত্তি হু’র

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট : ০১:৪০:১৭ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৭ ডিসেম্বর ২০২১
  • / 121
করোনা-আরোগ্য ব্যক্তির রক্ত থেকে প্লাজমা নিয়ে অসুস্থ (কোভিড) রোগীর দেহে ব্যবহার করে যে চিকিৎসা করা হয়, তা না করার জন্য মত দিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (হু)। মঙ্গলবার তারা বলেছে, মধ্যম ও মৃদু লক্ষণের করোনা রোগীদের ক্ষেত্রে এ চিকিৎসা দেয়া ঠিক নয়।

যে ব্যক্তি করোনা থেকে সুস্থ হয়ে উঠেছেন, কেবল তার শরীরের রক্ত থেকে এই প্লাজমা সংগ্রহ করা হয়। প্লাজমা রক্তের তরল অংশ। ধারণা করা হয়, করোনা-আরোগ্যের এ প্লাজমা অসুস্থ ব্যক্তির শরীরে প্রবেশের পর রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়িয়ে দেয়।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার এ পরামর্শ প্রতিবেদনটি ব্রিটিশ চিকিৎসা সাময়িকীতে প্রকাশিত হয়েছে। হু বলছে, ‘তাদের কাছে প্রমাণ আছে যে এটা (প্লাজমা) করোনা থেকে সারিয়ে তুলে না, অথবা কৃত্তিম শ্বাস-প্রশ্বাস দেয়ার প্রয়োজনীয়তাকে হ্রাস করে দেয় না।’

প্লাজমা চিকিৎসার খরচ বেশি ও এতে অনেক বেশি সময়ও লাগে বলেও জানিয়েছে হু। এ কারণে যাদের কোভিডের মৃদু বা মাঝারি ধরনের লক্ষণ রয়েছে, তাদেরকে এ চিকিৎসা না দেয়ার জন্য ‘জোর পরামর্শ’ দিয়েছে হু।

তাহলে গুরুতর কোভিড রোগীদের নিয়ে কী বলছে হু? সংস্থাটির পরামর্শ, গুরুতর ও মারাত্মক রোগীদের ক্ষেত্রে ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল হিসেবে কেবল এ চিকিৎসা দেয়া যেতে পারে।

হু বলছে, গুরুতর, মাঝারি ও মারাত্মক কোভিড আক্রান্ত ১৬ হাজার ২৩৬ জন রোগীর ওপর ১৬ ট্রায়ালের ভিত্তিতে তারা এ পরামর্শ দিয়েছে।

২০১৯ সালের ডিসেম্বরে করোনার মহামারি শুরু হওয়ার পর এর কোনো চিকিৎসা ছিল না। প্রাথমিকভাবে প্লাজমার মাধ্যমেই করোনা রোগীদের চিকিৎসা দেয়া হয়েছে। পরে টিকা এবং সর্বশেষ করোনার পিলও আবিস্কৃত হয়েছে।

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্যাগস :

করোনার প্লাজমা চিকিৎসায় আপত্তি হু’র

আপডেট : ০১:৪০:১৭ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৭ ডিসেম্বর ২০২১
করোনা-আরোগ্য ব্যক্তির রক্ত থেকে প্লাজমা নিয়ে অসুস্থ (কোভিড) রোগীর দেহে ব্যবহার করে যে চিকিৎসা করা হয়, তা না করার জন্য মত দিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (হু)। মঙ্গলবার তারা বলেছে, মধ্যম ও মৃদু লক্ষণের করোনা রোগীদের ক্ষেত্রে এ চিকিৎসা দেয়া ঠিক নয়।

যে ব্যক্তি করোনা থেকে সুস্থ হয়ে উঠেছেন, কেবল তার শরীরের রক্ত থেকে এই প্লাজমা সংগ্রহ করা হয়। প্লাজমা রক্তের তরল অংশ। ধারণা করা হয়, করোনা-আরোগ্যের এ প্লাজমা অসুস্থ ব্যক্তির শরীরে প্রবেশের পর রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়িয়ে দেয়।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার এ পরামর্শ প্রতিবেদনটি ব্রিটিশ চিকিৎসা সাময়িকীতে প্রকাশিত হয়েছে। হু বলছে, ‘তাদের কাছে প্রমাণ আছে যে এটা (প্লাজমা) করোনা থেকে সারিয়ে তুলে না, অথবা কৃত্তিম শ্বাস-প্রশ্বাস দেয়ার প্রয়োজনীয়তাকে হ্রাস করে দেয় না।’

প্লাজমা চিকিৎসার খরচ বেশি ও এতে অনেক বেশি সময়ও লাগে বলেও জানিয়েছে হু। এ কারণে যাদের কোভিডের মৃদু বা মাঝারি ধরনের লক্ষণ রয়েছে, তাদেরকে এ চিকিৎসা না দেয়ার জন্য ‘জোর পরামর্শ’ দিয়েছে হু।

তাহলে গুরুতর কোভিড রোগীদের নিয়ে কী বলছে হু? সংস্থাটির পরামর্শ, গুরুতর ও মারাত্মক রোগীদের ক্ষেত্রে ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল হিসেবে কেবল এ চিকিৎসা দেয়া যেতে পারে।

হু বলছে, গুরুতর, মাঝারি ও মারাত্মক কোভিড আক্রান্ত ১৬ হাজার ২৩৬ জন রোগীর ওপর ১৬ ট্রায়ালের ভিত্তিতে তারা এ পরামর্শ দিয়েছে।

২০১৯ সালের ডিসেম্বরে করোনার মহামারি শুরু হওয়ার পর এর কোনো চিকিৎসা ছিল না। প্রাথমিকভাবে প্লাজমার মাধ্যমেই করোনা রোগীদের চিকিৎসা দেয়া হয়েছে। পরে টিকা এবং সর্বশেষ করোনার পিলও আবিস্কৃত হয়েছে।