ট্রাম্পের সামাজিক যোগাযোগ ফার্মের সিইও হচ্ছেন কংগ্রেসম্যান

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট : ০১:৪৮:৩৩ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৭ ডিসেম্বর ২০২১
  • / 119
যুক্তরাষ্ট্রের কংগ্রেসম্যান ডেভিন নানিস সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম কোম্পানির সিইও (প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা) হতে যাচ্ছেন। এ কারণে শিগগিরই তিনি মার্কিন কংগ্রেস ছাড়বেন। এক ঘোষণার বরাত দিয়ে মঙ্গলবার আল জাজিরা এ খবর জানিয়েছে।

স্থানীয় সময় সোমবার ট্রাম্প মিডিয়া এন্ড টেকনোলজি গ্রুপের (টিএমটিজি) তরফ থেকে এক ঘোষণায় বলা হয়, কংগ্রেসম্যান ডেভিন নানিস ২০২২ সালের জানুয়ারিতে (আগামী মাস) নতুন এ দায়িত্ব গ্রহণ করবেন।

মার্কিন পার্লামেন্ট ভবন ক্যাপিটলে ডোনাল্ড ট্রাম্পের যে কয়েকজন ঘনিষ্ট মিত্র রয়েছেন, নানিস তাদের মধ্যে অন্যতম। ট্রাম্প মার্কিন ইতিহাসে দুইবার অভিশংসিত হওয়া প্রথম কোনো প্রেসিডেন্ট।

এক বিবৃতিতে ট্রাম্প বলেন, ‘ডেভিন এটা উপলব্ধি করেছেন যে, আমাদেরকে অবশ্যই উদারপন্থী গণমাধ্যম ও বিগ টেককে যুক্তরাষ্ট্রকে মহান করা স্বাধীনতা হরণ করা থেকে ঠেকাতে হবে।’

এ নিয়ে মুখ খুলেছেন ডেভিন নানিসও। তিনি বলেন, ‘ইন্টারনেট নতুন করে খোলা এবং মতামত ও ভাবনাকে কোনো সেন্সরশীপ ছাড়া স্বাভাবিক প্রক্রিয়ায় প্রকাশের সুযোগ করে দেয়ার সময় এসেছে।’

তিনি বলেন, ‘এটা যুক্তরাষ্ট্র, যে ইন্টারনেটের স্বপ্নকে বাস্তাবে নিয়ে এসেছে এবং মার্কিন একটি কোম্পানিই এ স্বপ্নকে আবার পুনস্থাপিত করবে।’

যুক্তরাষ্ট্রে রক্ষণশীলরা বরাবরই ফেসবুক ও টুইটারের সমালোচনায় মুখর। ব্যাপকভাবে জনপ্রিয় এসব সামাজিকমাধ্যম নিয়ে ক্ষোভ রয়েছে সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পেরও।

৬ জানুয়ারিতে ক্যাপিটল হিলে হামলার ঘটনায় সহিংসতায় উস্কানি দেয়ার অভিযোগে ট্রাম্পের ফেসবুক অ্যাকাউন্ট দুই বছরের জন্য বাতিল করে ফেসবুক। ট্রাম্পের ওই অ্যাকাউন্টে তার অনুসারি (ফলোয়ার) রয়েছেন ৩ কোটি ৫০ লাখ।

একইভাবে টুইটারও ট্রাম্পের বিরুদ্ধে একই পদক্ষেপ নেয়। টুইটারে ট্রাম্পের অনুসারি ছিলেন ৮ কোটি ৮০ লাখের মতো। এতে চরমভাবে ক্ষেপে যান রিপাবলিকান পার্টি থেকে নির্বাচিত এ প্রেসিডেন্ট।

তখনই তিনি একটি নতুন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের প্লাটফর্ম গঠনের কথা জানান। কার্যত তার ওই ঘোষণা আগামী জানুয়ারি থেকে হয়তো সফল হতে যাচ্ছে। তাহলে কি ফেসবুক, টুইটারের বিকল্প আসছে?

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্যাগস :

ট্রাম্পের সামাজিক যোগাযোগ ফার্মের সিইও হচ্ছেন কংগ্রেসম্যান

আপডেট : ০১:৪৮:৩৩ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৭ ডিসেম্বর ২০২১
যুক্তরাষ্ট্রের কংগ্রেসম্যান ডেভিন নানিস সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম কোম্পানির সিইও (প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা) হতে যাচ্ছেন। এ কারণে শিগগিরই তিনি মার্কিন কংগ্রেস ছাড়বেন। এক ঘোষণার বরাত দিয়ে মঙ্গলবার আল জাজিরা এ খবর জানিয়েছে।

স্থানীয় সময় সোমবার ট্রাম্প মিডিয়া এন্ড টেকনোলজি গ্রুপের (টিএমটিজি) তরফ থেকে এক ঘোষণায় বলা হয়, কংগ্রেসম্যান ডেভিন নানিস ২০২২ সালের জানুয়ারিতে (আগামী মাস) নতুন এ দায়িত্ব গ্রহণ করবেন।

মার্কিন পার্লামেন্ট ভবন ক্যাপিটলে ডোনাল্ড ট্রাম্পের যে কয়েকজন ঘনিষ্ট মিত্র রয়েছেন, নানিস তাদের মধ্যে অন্যতম। ট্রাম্প মার্কিন ইতিহাসে দুইবার অভিশংসিত হওয়া প্রথম কোনো প্রেসিডেন্ট।

এক বিবৃতিতে ট্রাম্প বলেন, ‘ডেভিন এটা উপলব্ধি করেছেন যে, আমাদেরকে অবশ্যই উদারপন্থী গণমাধ্যম ও বিগ টেককে যুক্তরাষ্ট্রকে মহান করা স্বাধীনতা হরণ করা থেকে ঠেকাতে হবে।’

এ নিয়ে মুখ খুলেছেন ডেভিন নানিসও। তিনি বলেন, ‘ইন্টারনেট নতুন করে খোলা এবং মতামত ও ভাবনাকে কোনো সেন্সরশীপ ছাড়া স্বাভাবিক প্রক্রিয়ায় প্রকাশের সুযোগ করে দেয়ার সময় এসেছে।’

তিনি বলেন, ‘এটা যুক্তরাষ্ট্র, যে ইন্টারনেটের স্বপ্নকে বাস্তাবে নিয়ে এসেছে এবং মার্কিন একটি কোম্পানিই এ স্বপ্নকে আবার পুনস্থাপিত করবে।’

যুক্তরাষ্ট্রে রক্ষণশীলরা বরাবরই ফেসবুক ও টুইটারের সমালোচনায় মুখর। ব্যাপকভাবে জনপ্রিয় এসব সামাজিকমাধ্যম নিয়ে ক্ষোভ রয়েছে সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পেরও।

৬ জানুয়ারিতে ক্যাপিটল হিলে হামলার ঘটনায় সহিংসতায় উস্কানি দেয়ার অভিযোগে ট্রাম্পের ফেসবুক অ্যাকাউন্ট দুই বছরের জন্য বাতিল করে ফেসবুক। ট্রাম্পের ওই অ্যাকাউন্টে তার অনুসারি (ফলোয়ার) রয়েছেন ৩ কোটি ৫০ লাখ।

একইভাবে টুইটারও ট্রাম্পের বিরুদ্ধে একই পদক্ষেপ নেয়। টুইটারে ট্রাম্পের অনুসারি ছিলেন ৮ কোটি ৮০ লাখের মতো। এতে চরমভাবে ক্ষেপে যান রিপাবলিকান পার্টি থেকে নির্বাচিত এ প্রেসিডেন্ট।

তখনই তিনি একটি নতুন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের প্লাটফর্ম গঠনের কথা জানান। কার্যত তার ওই ঘোষণা আগামী জানুয়ারি থেকে হয়তো সফল হতে যাচ্ছে। তাহলে কি ফেসবুক, টুইটারের বিকল্প আসছে?