ইউক্রেন সীমান্তে উত্তেজনা কমাতে পুতিনের উদ্যোগ চান বাইডেন
- আপডেট : ১০:৪২:৩৮ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ৮ ডিসেম্বর ২০২১
- / 124
প্রায় দুই ঘণ্টা ধরে দুই রাষ্ট্রপ্রধান কথা বলেছেন। এ আলোচনার কেন্দ্রে ছিল ইউক্রেন সংকট। পুতিনকে বাইডেন বলেন, তিনি যেন অবিলম্বে ইউক্রেন সীমান্তে উত্তেজনা কমাতে পদক্ষেপ গ্রহণ করেন।
বৈঠকের ক্রেমলিন একটি ছোট ভিডিও প্রকাশ করে, যেখানে দেখা যাচ্ছে, পুতিন বলছেন, ‘মিস্টার প্রেসিডেন্ট, আপনাকে শুভেচ্ছা জানাচ্ছি।’ বাইডেনের জবাব, ‘আপনাকে দেখে ভালো লাগছে। আশা করি, এর পরের বৈঠক মুখোমুখি হবে।’
বৈঠকের আগে যুক্তরাষ্ট্রের কর্মকর্তারা জানিয়ে দিয়েছিলেন, রাশিয়া যদি ইউক্রেন আক্রমণ করে, তাহলে কঠোর আর্থিক নিষেধাজ্ঞা জারি করা হবে।
বৈঠকের পর হোয়াইট হাউস বিবৃতি দিয়ে জানিয়েছে, ‘প্রেসিডেন্ট বাইডেন বৈঠকে জানিয়েছেন, ইউক্রেন নিয়ে যে পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে, তাতে যুক্তরাষ্ট্র ও তার বন্ধু দেশগুলো খুবই উদ্বিগ্ন। কোনোরকম সামরিক অভিযান হলে আর্থিক ও অন্য ব্যবস্থা নেয়া হবে।’
বিবৃতিতে বলা হয়, ‘বাইডেন আবার জানিয়ে দিয়েছেন, ইউক্রেনের সার্বভৌমত্ব ও অখণ্ডতা রক্ষার লড়াইয়ে যুক্তরাষ্ট্র তাদের পাশে আছে। তিনি রাশিয়াকে অবিলম্বে উত্তেজনা কমাতে বলেন এবং কূটনৈতিক পথ নিতে বলেন।’
বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, দুই প্রেসিডেন্টই তাদের টিমকে পরবর্তী ব্যবস্থা নিতে বলেছেন। যুক্তরাষ্ট্র জানিয়ে দিয়েছে, তারা তাদের বন্ধু দেশগুলোর সঙ্গে সহযোগিতা করে চলবে।
ক্রেমলিনও একটি বিবৃতি দিয়েছে। সেখানে বলা হয়েছে, ‘ন্যাটো ইউক্রেনকে নিজেদের স্বার্থসিদ্ধির কাজে ব্যবহার করছে। ইউক্রেনও উসকানিমূলক কাজ করছে।’
পুতিন বৈঠকে জানিয়েছেন, ন্যাটোকেও নিশ্চয়তা দিতে হবে যে তারা আগ্রাসী মনোভাব নেবে না। ন্যাটো এখন বিপজ্জনক পদক্ষেপ নিচ্ছে। তারা রাশিয়ার সীমান্তে ইউক্রেনের এলাকা দখল করতে চাইছে। তাই রাশিয়াও ন্যাটোর কাছ থেকে গ্যারান্টি চায় যে, তারা রাশিয়ার কাছে কোনো অন্ত্র মোতায়েন করবে না এবং সম্প্রসারণের কোনো চেষ্টা করবে না।
ইউক্রেন এর আগে অভিযোগ করেছিল, রাশিয়া তাদের সীমান্তে লাখ খানেক সেনা মোতায়েন করেছে। তারা ইউক্রেন আক্রমণের প্রস্তুতি নিচ্ছে।
মস্কো অবশ্য এই অভিযোগ অস্বীকার করে জানিয়েছে, তারা কোনো আক্রমণ করবে না। দেশের সুরক্ষার জন্যই সেখানে সেনা মোতায়েন করা হয়েছে।
উপগ্রহ ছবিতে দেখা যাচ্ছে, রাশিয়ার সেনা সীমান্তের কাছেই আছে। এটাই ন্যাটো গোষ্ঠীভুক্ত দেশগুলোর চিন্তার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।
হোয়াইট হাউস থেকে জানানো হয়েছে, বাইডেন ও পুতিনের মধ্যে যা আলোচনা হয়েছে, তা জার্মানি, যুক্তরাজ্য, ফ্রান্স, ইতালিকে জানানো হবে।