সৌদি-সাংবাদিক হত্যার সন্দেহভাজন প্যারিসে গ্রেপ্তার

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট : ১০:৫০:৪৭ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ৮ ডিসেম্বর ২০২১
  • / 162
সাংবাদিক জামাল খাসোগজির হত্যায় জড়িত বলে সন্দেহভাজন এক সৌদি নাগরিককে ফ্রান্সে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। ফরাসি সংবাদ মাধ্যমের খবরে বলা হয়, প্যারিসের চালর্স দ্য গল বিমানবন্দরে খালেদ আয়েধ আল-ওতাইবি নামে ওই ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করা হয়। খবর বিবিসির।

আল-ওতাইবিকে রিয়াদগামী বিমানে ওঠার সময় গ্রেপ্তার করা হয়। তাকে তুরস্কে প্রত্যর্পন করা হতে পারে। জামাল খাসোগজির হত্যার ঘটনায় যে ২৬ সৌদি নাগরিককে তুরস্ক সরকার খুঁজছিল, আল-ওতাইবি তাদের একজন।

সৌদি রাজপরিবারের সাবেক রক্ষী ৩৩ বছর বয়সী আল-ওতাইবি তার নিজ পরিচয়ে ভ্রমণ করছিলেন। আরটিএল রেডিওর খবরে বলা হয়, তাকে বিচারবিভাগের হেফাজতে নেয়া হয়েছে।

সৌদি সরকারের কড়া সমালোচক খাসোগজিকে ২০১৮ সালের অক্টোবর মাসে ইস্তানবুলে হত্যা করা হয়। সৌদি আরব জানিয়েছিল, ওয়াশিংটন পোস্টের এ সাবেক সাংবাদিক একদল গুপ্তচরের ‘বেপরোয়া অভিযান’ এ নিহত হয়েছেন।

তাদের বক্তব্য ছিল ওই গুপ্তচরদের পাঠানো হয়েছিল খাসোগজিকে সৌদি আরবে ফিরতে রাজি করনোর জন্য। কিন্তু তুরস্কের কর্মকর্তারা বলেন, ওই গুপ্তচররা সৌদি সরকারের উচ্চ পর্যায়ের নির্দেশে এ হত্যাকাণ্ড চালিয়েছেন।

এ হত্যার ঘটনা বিশ্বজুড়ে প্রবল আলোড়ন সৃষ্টি করেছিল এবং এ ঘটনায় সৌদি আরবের পরোক্ষ শাসক যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমানের ভাবমূর্তি ধুলিসাৎ হয়েছিল।

সৌদি আরবের একটি আদালত ২০১৯ সালে আটজন অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিকে দোষী সাব্যস্ত করে। এদের মধ্যে পাঁচজনকে হত্যার ঘটনার সাথে সরাসরিভাবে জড়িত থাকার দায়ে দোষী সাব্যস্ত করা হয় এবং তাদের মৃত্যুদণ্ড দেয়া হয়।

পরে তাদের মৃত্যুদণ্ডাদেশ কমিয়ে ২০ বছরের কারাদণ্ডে রূপান্তরিত করা হয়। অন্য তিন আসামীকে এই অপরাধ গোপন করার দায়ে সাত থেকে ১০ বছর পর্যন্ত কারাদণ্ডে দণ্ডিত করা হয়।

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্যাগস :

সৌদি-সাংবাদিক হত্যার সন্দেহভাজন প্যারিসে গ্রেপ্তার

আপডেট : ১০:৫০:৪৭ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ৮ ডিসেম্বর ২০২১
সাংবাদিক জামাল খাসোগজির হত্যায় জড়িত বলে সন্দেহভাজন এক সৌদি নাগরিককে ফ্রান্সে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। ফরাসি সংবাদ মাধ্যমের খবরে বলা হয়, প্যারিসের চালর্স দ্য গল বিমানবন্দরে খালেদ আয়েধ আল-ওতাইবি নামে ওই ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করা হয়। খবর বিবিসির।

আল-ওতাইবিকে রিয়াদগামী বিমানে ওঠার সময় গ্রেপ্তার করা হয়। তাকে তুরস্কে প্রত্যর্পন করা হতে পারে। জামাল খাসোগজির হত্যার ঘটনায় যে ২৬ সৌদি নাগরিককে তুরস্ক সরকার খুঁজছিল, আল-ওতাইবি তাদের একজন।

সৌদি রাজপরিবারের সাবেক রক্ষী ৩৩ বছর বয়সী আল-ওতাইবি তার নিজ পরিচয়ে ভ্রমণ করছিলেন। আরটিএল রেডিওর খবরে বলা হয়, তাকে বিচারবিভাগের হেফাজতে নেয়া হয়েছে।

সৌদি সরকারের কড়া সমালোচক খাসোগজিকে ২০১৮ সালের অক্টোবর মাসে ইস্তানবুলে হত্যা করা হয়। সৌদি আরব জানিয়েছিল, ওয়াশিংটন পোস্টের এ সাবেক সাংবাদিক একদল গুপ্তচরের ‘বেপরোয়া অভিযান’ এ নিহত হয়েছেন।

তাদের বক্তব্য ছিল ওই গুপ্তচরদের পাঠানো হয়েছিল খাসোগজিকে সৌদি আরবে ফিরতে রাজি করনোর জন্য। কিন্তু তুরস্কের কর্মকর্তারা বলেন, ওই গুপ্তচররা সৌদি সরকারের উচ্চ পর্যায়ের নির্দেশে এ হত্যাকাণ্ড চালিয়েছেন।

এ হত্যার ঘটনা বিশ্বজুড়ে প্রবল আলোড়ন সৃষ্টি করেছিল এবং এ ঘটনায় সৌদি আরবের পরোক্ষ শাসক যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমানের ভাবমূর্তি ধুলিসাৎ হয়েছিল।

সৌদি আরবের একটি আদালত ২০১৯ সালে আটজন অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিকে দোষী সাব্যস্ত করে। এদের মধ্যে পাঁচজনকে হত্যার ঘটনার সাথে সরাসরিভাবে জড়িত থাকার দায়ে দোষী সাব্যস্ত করা হয় এবং তাদের মৃত্যুদণ্ড দেয়া হয়।

পরে তাদের মৃত্যুদণ্ডাদেশ কমিয়ে ২০ বছরের কারাদণ্ডে রূপান্তরিত করা হয়। অন্য তিন আসামীকে এই অপরাধ গোপন করার দায়ে সাত থেকে ১০ বছর পর্যন্ত কারাদণ্ডে দণ্ডিত করা হয়।