একমাত্র জীবিত ক্যাপ্টেন বরুণ ‘লাইফ সাপোর্টে’
- আপডেট : ১২:১৭:০২ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৯ ডিসেম্বর ২০২১
- / 197
ভারতের পার্লামেন্টে রাজনাথ সিং জানান, তার (বরুণ সিং) শারীরিক অবস্থা ‘স্থিতিশীল, তবে জটিল’। তার জীবন রক্ষার জন্য সম্ভাব্য সব চেষ্টাই করা হচ্ছে বলে জানান তিনি।
বর্তমানে ওয়েলিংটনের সামরিক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন বরুণ। তিনি একইসঙ্গে গুরুতর আহত ও দগ্ধ হয়েছেন।
তার বাবা কর্নেল কেপি সিং (অব.) বার্তাসংস্থা পিটিআইকে বলেন, ‘ক্যাপ্টেন বরুণকে বেঙ্গালুরুতে স্থানান্তর করা হতে পারে।’ পুত্রের শারীরিক অবস্থার কথা জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘আমি এ নিয়ে কিছুই বলতে পারছি না। আমি নিশ্চিত না।’
বুধবার দুপুর ১২টা ৪০ মিনিট নাগাদ তামিলনাড়ু রাজ্যের কুন্নুরে হেলিকপ্টার বিধ্বস্ত হয়ে দেশটির প্রতিরক্ষা প্রধান বিপিন রাওয়াত, তার স্ত্রী মধুলিকা এবং আরও ১১ জন সেনা কর্মকর্তা নিহত হন।
বিধ্বস্ত হওয়ার পর পরই কপ্টারটিতে আগুন লেগে যায়। এর ১৪ আরোহীর মধ্যে ১৩ জনই নিহত হয়েছেন। গুরুতর আহত হয়ে বেঁচে যান ক্যাপ্টেন বরুণ। এমআই- ১৭ কপ্টারটি রাশিয়ার কাছ থেকে কিনেছিল ভারত।
কপ্টার বিধ্বস্ত হয়ে নিহত বিপিন রাওয়াত ছিলেন ভারতের প্রথম প্রতিরক্ষা প্রধান (চিফ অব ডিফেন্স স্টাফ বা সিডিএস)।
তামিলনাড়ুর কুন্নুরের নীলগিরি জঙ্গলে হঠাৎই বিধ্বস্ত হয় ওই হেলিকপ্টার। কৃষ্ণস্বামী নামে কুন্নুরের এক বাসিন্দা জানান, প্রথমেই একটি বিকট আওয়াজ পান তিনি। আওয়াজে চমকে উঠে ঘর থেকে বেরোতেই তার চোখে পড়ে একটি হেলিকপ্টার ধাক্কা মারল একটি গাছে। ধাক্কার অভিঘাতে মুহূর্তে আগুন জ্বলে যায় হেলিকপ্টারে। আগুনের গোলার মতো তা ধাক্কা মারে আরও একটি গাছে।
কৃষ্ণস্বামীর দাবি, এই ঘটনা দেখে তারা হেলিকপ্টারের দিকে ছোটেন। যখন সেখানে পৌঁছান, দেখতে পান কয়েকজন দুর্ঘটনাগ্রস্ত হেলিকপ্টারটি থেকে বেরিয়ে আসার চেষ্টা করছেন। তাদের দেহের সিংহভাগই অগ্নিদগ্ধ।