দেশে হেলমেটের মাণ নিয়ন্ত্রণে কোনো কর্তৃপক্ষ নেই

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট : ০৩:০৯:২৯ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৯ ডিসেম্বর ২০২১
  • / 155
বাংলাদেশ পুলিশের মহাপরিদর্শক ড. বেনজীর আহমেদ বলেছেন, আমাদের দেশে হেলমেটের কোনো সার্টিফিকেশন কর্তৃপক্ষ নেই। মোটরসাইকেল ও সাইকেলচালকদের মানসম্পন্ন হেলমেট ছাড়া রাস্তায় বের না হওয়ার আহবান জানান তিনি।

বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় রাজধানীর একটি হোটেলে ব্র্যাক আয়োজিত বাংলাদেশে ইউএন স্ট্যান্ডার্ড হেলমেট চালুকরণ অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।

তিনি বলেন, দেশ যত উন্নত হচ্ছে, রাস্তায় বিভিন্ন ধরনের যানবাহনের সংখ্যা তত বাড়ছে। সড়কে নিরাপত্তাও দিন দিন চ্যালেঞ্জ হয়ে উঠছে।

পুলিশপ্রধান বলেন, আমাদের দেশে হেলমেটের কোনো সার্টিফিকেশন কর্তৃপক্ষ নেই। তিনি ইউরোপীয় ইউনিয়ন অথবা ইউএস স্ট্যান্ডার্ড হেলমেট আমদানি অথবা দেশে অ্যাসেম্বলিংয়ের ওপর গুরুত্বারোপ করেন।

আইজিপি বলেন, দেশে এখন অনেক প্রতিষ্ঠান মোটরসাইকেল উৎপাদন করছে। তিনি মোটরসাইকেলের সঙ্গে হেলমেট যুক্ত করে প্যাকেজ মূল্য নির্ধারণের জন্য মোটরসাইকেল উৎপাদনকারীদের প্রতি আহবান জানান। এসময় নিম্নমানের হেলমেট আমদানি বন্ধেরও দাবি জানান তিনি।

এক পরিসংখ্যান উল্লেখ করে আইজিপি বলেন, সড়ক দুর্ঘটনার শিকারের ৭০ ভাগই পথচারী। অন্যদিকে, মোটরসাইকেল ভিকটিমদের বেশিরভাগই তরুণ, যাদের বয়স ২০ থেকে ৩০ বছরের মধ্যে। তারা দেশের উৎপাদনক্ষম জনশক্তি।

তিনি বলেন, গত ছয় মাসে দেশে ১ হাজার ৪৯৪টি সড়ক দুর্ঘটনা ঘটেছে। এরমধ্যে মোটরসাইকেল দুর্ঘটনা ঘটেছে ৪৭৮টি। গত ৬ মাসে মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় ৩৩৬ জন প্রাণ হারিয়েছেন। এদের মধ্যে ২৩৯ জনের হেলমেট ছিল। আহত হয়েছেন ৩০৫ জন, এর মধ্যে ২২৪ জনের হেলমেট ছিল না। এটা হল হেলমেট থাকা না থাকার একটা দিক। অন্যদিক হল হেলমেটের কোয়ালিটি।

তিনি বলেন, সড়ক দুর্ঘটনায় মৃত্যু বা আহত হলে এটা শুধু একটা পরিবারেরই ক্ষতি নয়, এতে দেশের অর্থনীতিও ক্ষতির সম্মুখীন হয়।

অনুষ্ঠানে পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী ড. শামসুল আলম, বিআরটিএ’র চেয়ারম্যান নূর মোহাম্মদ মজুমদার ও বিশ্বব্যাংকের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্যাগস :

দেশে হেলমেটের মাণ নিয়ন্ত্রণে কোনো কর্তৃপক্ষ নেই

আপডেট : ০৩:০৯:২৯ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৯ ডিসেম্বর ২০২১
বাংলাদেশ পুলিশের মহাপরিদর্শক ড. বেনজীর আহমেদ বলেছেন, আমাদের দেশে হেলমেটের কোনো সার্টিফিকেশন কর্তৃপক্ষ নেই। মোটরসাইকেল ও সাইকেলচালকদের মানসম্পন্ন হেলমেট ছাড়া রাস্তায় বের না হওয়ার আহবান জানান তিনি।

বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় রাজধানীর একটি হোটেলে ব্র্যাক আয়োজিত বাংলাদেশে ইউএন স্ট্যান্ডার্ড হেলমেট চালুকরণ অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।

তিনি বলেন, দেশ যত উন্নত হচ্ছে, রাস্তায় বিভিন্ন ধরনের যানবাহনের সংখ্যা তত বাড়ছে। সড়কে নিরাপত্তাও দিন দিন চ্যালেঞ্জ হয়ে উঠছে।

পুলিশপ্রধান বলেন, আমাদের দেশে হেলমেটের কোনো সার্টিফিকেশন কর্তৃপক্ষ নেই। তিনি ইউরোপীয় ইউনিয়ন অথবা ইউএস স্ট্যান্ডার্ড হেলমেট আমদানি অথবা দেশে অ্যাসেম্বলিংয়ের ওপর গুরুত্বারোপ করেন।

আইজিপি বলেন, দেশে এখন অনেক প্রতিষ্ঠান মোটরসাইকেল উৎপাদন করছে। তিনি মোটরসাইকেলের সঙ্গে হেলমেট যুক্ত করে প্যাকেজ মূল্য নির্ধারণের জন্য মোটরসাইকেল উৎপাদনকারীদের প্রতি আহবান জানান। এসময় নিম্নমানের হেলমেট আমদানি বন্ধেরও দাবি জানান তিনি।

এক পরিসংখ্যান উল্লেখ করে আইজিপি বলেন, সড়ক দুর্ঘটনার শিকারের ৭০ ভাগই পথচারী। অন্যদিকে, মোটরসাইকেল ভিকটিমদের বেশিরভাগই তরুণ, যাদের বয়স ২০ থেকে ৩০ বছরের মধ্যে। তারা দেশের উৎপাদনক্ষম জনশক্তি।

তিনি বলেন, গত ছয় মাসে দেশে ১ হাজার ৪৯৪টি সড়ক দুর্ঘটনা ঘটেছে। এরমধ্যে মোটরসাইকেল দুর্ঘটনা ঘটেছে ৪৭৮টি। গত ৬ মাসে মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় ৩৩৬ জন প্রাণ হারিয়েছেন। এদের মধ্যে ২৩৯ জনের হেলমেট ছিল। আহত হয়েছেন ৩০৫ জন, এর মধ্যে ২২৪ জনের হেলমেট ছিল না। এটা হল হেলমেট থাকা না থাকার একটা দিক। অন্যদিক হল হেলমেটের কোয়ালিটি।

তিনি বলেন, সড়ক দুর্ঘটনায় মৃত্যু বা আহত হলে এটা শুধু একটা পরিবারেরই ক্ষতি নয়, এতে দেশের অর্থনীতিও ক্ষতির সম্মুখীন হয়।

অনুষ্ঠানে পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী ড. শামসুল আলম, বিআরটিএ’র চেয়ারম্যান নূর মোহাম্মদ মজুমদার ও বিশ্বব্যাংকের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।